পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বতার-ক-ঝোপড়-বহির্ভাগের দৃপ্ত । ফুট প্রস্থ ৩৪ ফুট উচ্চ এবং ৮৬ ফুট গভীর। যে যুগে ডিনামাইট হয় নাই, রেলপথের কোন চিহ্ন ছিল না, সে যুগে যে কি করিয়৷ এই বিশাল পাথরের মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল এবং পাথরে মুক্তি খোদিত হইয়াছিল তাহা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয় । ‘ডু’থাল ও টিন’থাল নিৰ্ম্মাণে শিল্পীদের আশ্চৰ্য্য দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। ডু’থাল দ্বিতল; টিন’থাল ত্রিতল । প্রতিগুহতলই কারুকার্ধ্য-শোভিত। কৈলাস-গুহা সৰ্ব্বাপেক্ষ স্থশোভন । এলোরার গুহাসমুহের মধ্যে কৈলাস-গুহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ । ভারতবর্ষের গুহাগুলির মধ্যে কৈলাস-গুহাই বৃহত্তম । ইহার কলা-কৌশল অন্য সকলগুলিকে ম্ৰিয়মাণ ও নিম্প্রভ করিয়াছে । একটি ১লক্ষ গজ পাহাড় কাটিয়া উহার মধ্যে ৩•• শত ফুট লম্ব, ১৫০ ফুট চওড়া ও ১০৭ ফুট উচ্চ একটি গুহা প্রস্তুত করিয়া তাহাকে কৈলাস-গুহা নাম প্রদান করা হইয়াছে। সেই অসমতল পাহাড়ের বুকেই কোথাও হস্তী কোথাও বা দেব-দেবী মূৰ্ত্তি ফুটাইয়া তোলা

  • ○ーグ

স্বতীব-ক-ঝে পড়া—তাtভ্যন্তরিক দৃষ্ঠ হইয়াছে। যদিও অধিকাংশ মূৰ্ত্তিই মুসলমানেরা নষ্ট করিয়াছে তথাপি তাহীদের ধ্বংসাবশেষ হইতেই শিল্পীদের কলা-কৌশল হৃদয়ঙ্গম হয় । কৈলাসে ঢুকিবার পথেই তোরণ। তোরণের সম্মুখভাগ পাথর দিয়া গাথ। কিন্তু পশ্চাদভাগ সহাদ্রি পৰ্ব্বতের গাত্রদেশ হইতে খুদিয়া বাহির-করা । এই তোরণ দিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলে একটা প্রকাণ্ড চত্বরের মধ্যে পৌছান যায়। সেই চত্বরের একদিকে তোরণ, বাকী তিন দিকে সহাদ্রি পৰ্ব্বতের গায়ে খোদ একতলা ও দোতলা বারান্দা । সেই বারান্দার পিছনের দেওয়ালগাত্র তেত্রিশ কোটি দেবতার মূৰ্ত্তিতে ভরা। নিজাম নিজাম আলির সময়ে মূৰ্ত্তিগুলির কতক ভাঙ্গিয় ফেলা হইয়াছিল । চত্বরের মাঝখানে সহাদ্রি পৰ্ব্বতের গ খুদিয়া দুইটি বাড়ী তোলা হইয়াছে। ইহার প্রথমটি একতলা—ইহা নন্দী অর্থাৎ শিবের বৃষভ-বাহনের মন্দির। এই মন্দিরটি দেখিলে বোম্বাইয়ের দক্ষিণ অংশে