পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ8ხ^ AeMMeAMMMAMAMMMMMMAMMMMMMAMMMMMAAAA প্রবাসী—ফাস্তুন, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড আলমগিরী মসজিদ-আওরঙ্গবাদ নতুবা জৈন-গুহাগুলিতে যাইতে বিশেষ কষ্ট হইত, কারণ জৈন-গুহাগুলি মনমাদ-আওরঙ্গাবাদ রোড হইতে অনেক দূরে অবস্থিত। বড় বড় জৈন গুহাগুলি দ্বিতল। সেগুলির বারান্দার রেলিংএর প্রস্তরে চমৎকার কারুকার্য্য আছে। তাহার নকল করিতে বর্তমানে প্রতি-বর্গফুটে হাজার টাকার বেশী খরচ হয় । যে পথ দিয়া ‘শিবচন্দ্রকলা' পৰ্ব্বতে উঠিতে হয় তাহা অত্যন্ত বন্ধুর। ঐ পৰ্ব্বতে দাড়াইয়া রোজার দিকে তাকাইলে মনে হয় একেবারে হিন্দু যুগ হইতে মুসলমান যুগে আসিয়া পড়িয়াছি । চতুর্দিকে আওরঙ্গজীবের দক্ষিণবাদের স্মৃতিচিহ্ন-বিজড়িত মসজিদ ও অট্টালিকা দৃষ্ট হয় । আওরঙ্গজীবের সমাধি-মন্দির অত্যন্ত অনাড়ম্বর ; তাহার পাশ্বেই মুসলমান সাধু ও ফকিরদের সমাধি । রোজাতে আধুনিক ধরণে নিৰ্ম্মিত নিজাম বাহাদুরের একটি অতিথিশালাও আছে। সেখানে থাকিবার সৰ্ব্বপ্রকার সুবিধা আছে এবং সেখান হইতে সৰ্ব্বত্রই সহজে যাতায়াত করা যায় । রোজা হইতে দৌলতাবাদের পথে পাহাড়ের গায়ে এক বিরাটু দুর্গ আছে। ঐ-দুর্গ চতুর্দিকে পৰ্ব্বতদ্বার দৃঢ় প্রাকারে বেষ্টিত। কোন শত্রু তথায় সহজে প্রবেশলাভ করিতে পারিত না। দুর্গের চতুর্দিকে গভীর পরিখা ছিল এবং পরিখা-মুখে দুৰ্গদ্বারে এক অগ্নিকুণ্ড আওরঙ্গীবাদে জল রাখিবার ঘর সৰ্ব্বদা প্রজ্জলিত থাকিত। কিন্তু দৈবের এমনই গতি যে এই দুর্ভেদ্য দুর্গটি অতি সামান্য কারণে শক্র হস্তগত হইয়াছিল। দুর্গাধিকারী হিন্দু রাজা যখন সংবাদ পাইলেন যে, দুৰ্দ্ধৰ্ষ মুসলমানের দুর্গ আক্রমণ করিতে আসিতেছে তখন তিনি সৈন্তদের রসদ জোগাইবার জন্ত