পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HNO আছে । দেশের লোকে বলে ঐখানেই মহিল থাকিত ও দেবী তাহাকে ঐ স্থানেই বধ করিয়াছিলেন । ७शन थश्व श्tउtझ छब्र भक्ष ि८कांन् ७ांवां★ *क । शनि সংস্কৃত অথব গ্রাবিড় কোন ভাষার শব্দ হয় তবে ইউফেটিস তীরে ৰ। ইজিপ্টে কখন ও কেমন করিয়া গিয়াছে ? যদি ইহুদীদের ইব্রানী ভাষার শব্দ হয় তবে দক্ষিণ ভারতের শাক্তর কোথায় *ांद्देश ? শ্ৰী অমৃতলাল শীল মীমাংসা ( ১৩২৯ সালের ৩২ নম্বর প্রশ্ন } প্ৰাগজ্যোতিষপুর গত বৎসর শ্রাবণ মাসে শ্ৰীযুক্ত বৈকুণ্ঠনাথ দেব জিজ্ঞাস করিয়াছিলেন যে, প্রাগজ্যোতিষপুর কোথায় ? তিনি যাহ। বলিয়াছিলেন তাহার সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম এই – (১) সাহেবের বলেন যে আসামের গৌহাটিই প্রাগজ্যোতিষপুর। (২) মহাভারতের সভাপর্বে ৭৬৩ অধ্যায়ের ৭-৯ গ্লোকে দেখা যায় যে অর্জন হস্তিনাপুর হইতে উত্তর দিকে গিল্প প্রথমে প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা ভগদত্তকে পরাজিত করেন এবং পরে আরও উত্তরে গিয়া কাশ্মীর জয় করেন। (৩) বনপর্বের ২৫৩ অধ্যায়ে ৪৫ গ্লোকে দেখা ধায় যে কৰ্ণও উত্তর দিকে গিল্প। প্রথমে প্রাগ জ্যোতিষপুরের ভগদত্তকে এবং পরে কাশ্মীর জয় করেন। (৪) রামায়ণে কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ডের ৪২ সর্গে ও• ৩১ শ্লোকে দেখা যায়—সুগ্ৰীব বলিতেছেন যে কিষ্কিন্ধ্য হইতে ৬৪ যোজন দূরে সমুদ্র মধ্যে বরাহ পৰ্ব্বতে প্রাগজ্যোতিষপুর অবস্থিত। সেখানকার স্লাজার সাম নরক । স্বত্তরাং তিনটি পৃথক্ এবং পরস্পর অতিদূরবর্তী স্থান প্রাগজ্যোতিষপুর বলিয়া নির্দেশিত হয় । এইজস্যই বৈকুণ্ঠ-বাবু জানিতে চাহিয়াছিলেন যে প্রকৃত প্রাগজ্যোতিষপুর কোনট। বৈকুণ্ঠ-বাবুর জিজ্ঞাসার উত্তর আমি নিম্নে দিতে চেষ্টা করিতে ॐवृख झहेलtभ । কেবল যে সাহেবেরাই গোহাটি, কামাখ্য' বা কামরূপকে প্রাগজ্যোভিধপুর বলিয়া মনে করেন তাহী নহে । কলিক। পুরাণে এবং কালিদাসের রঘুবংশের চতুর্থ অধ্যায়ে রঘুর দিগ্বিজয়ে ও লৌহিত্য মদীতীরস্থ গৌহাটিকেই প্ৰাগজ্যোতিপুর বলা হইয়াছে । মহাভারতের সময়ে অর্থাৎ আমাদের দেশীয় পণ্ডিতদিগের মতে পাচ সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে অথবা ইয়োরোপীয় পণ্ডিতদিগের মতে ৩৫•• বৎসর পূর্বে যে আর্য্যের পাঞ্জাব হইতে জাসাম পর্যন্ত গিয়াছিলেন তাহ ঐতিহাসিকদিগের মত লছে । ইহা ভিন্ন তারও একটা বিবেচা কথা আছে । কুক্ল পাণ্ডবদের মধ্যে সন্ধিস্থাপনের জন্ত কৃষ্ণের চেষ্টা যখন বিফল হইল তাহার অল্পদিন পরেই কুর"ক্ষেত্রের যুদ্ধ হইয়াছিল । এই অল্প সময়ের মধ্যে ভগদত্ত যে গৌহাটীতে থাকিয় হস্তিনাপুর হইতে প্রেরিত সংবাদ भाश्छ। वह इसी शहेब्रा मूनाषिक २७०० भांश्ण पूतवडौं इसिनाभूत्व গিয়া কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যোগ দিবেন, তাহাও অসম্ভব । বিশেষতঃ কালিক। পুরাণই হউক বা কালিদাসের উক্তিই হউক তাহ রামায়ণ বা মহাভারতের কখীর বিরোধী হইলে কখনই প্রামাণ্য বলিয়া গ্রাঙ্গ হইতে পারে না । সুতরাং গৌহাটি যে প্রাগজ্যোতিষপুর নহে ইহ। নিশ্চিত। ইহাতে কাহারও কোমরূপ সঙ্গেহ হইতে পারে না । এখন বিচাৰ্য্য বিষয় এই যে, রামায়ণের কথা সত্য, ম মহাভারতের প্রবাসী--ফন্তন, ১৩৩০ MAASA SAASAASAA AA ASASASA AAAMAAA AAAA AAAAMAeMA AM MAMAM MAMM AMAMMSMe AAAA AAAA AAAAe AMAMAMAA MAeAAAA { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড কথা সত্য। রামায়ণের কথা যে প্রকৃত মহে তাহা ইহা হইতেই বুঝা যায় যে, প্রাগজ্যোতিষপুর যদি সমুদ্রমধ্যবর্তী দ্বীপ হইত তাঁহা হইলে ভগদত্ত সেথান হইতে র্তাহার বড় বড় হাতী সমুদ্র পার করাষ্ট্রয় ভারতবর্ষে আসিলেন কিরূপে ? কেহ হয়ত বলিতে পারেন যে, স্বগ্রীব অসভ্য বৰ্ব্বর দেশের লোক ছিলেন স্বতরাং প্রাগজ্যোতিষপুরের ভৌগোলিক স্থানটা জানিতেন না বলিয় রামায়ণ-কার উহার মুখ দিয়া এই ভুল কথা বলাইয়াছেন । সুগ্ৰীবের উক্তির মধ্যে যদি নরক রাজার উল্লেখ না থাকিত তাহা হইলে এই যুক্তি অতি সুন্দর বলিয়াই মানির লওয়া যাইতে পারিত । কিন্তু তিনি রামের সমসাময়িক লোক হইয়। রাম হইতে অন্তত দুইতিন শত বৎসরের পরবত্ত কৃষ্ণের সমসামরিক নরকাস্বরের নাম জানিলেন কিরূপে ? যদি তাহার কথাই সত্য হয় তাহt হইলে উtহার কয়েক শত বৎসর পরবত্ত কৃষ্ণেরই বা নরক রাজীকে বধ করিবার সম্ভাবনা কি ? র্যাহার ওএবর এবং হুইলরের মতানুবৰ্ত্তী হইয়া বলেন যে, মহাভারঙের ঘটনার বহু পরে রামায়ণের ঘটনা ঘটিয়াছিল ঠাহীরা অনায়াসেই এই মত দিবেন যে, রামায়ণের বৃত্তান্ত মহাভারতের অনেক পরে। যখন প্রাগ জ্যোতিষপুরের অস্তিত্ব লুপ্ত হইয়াছিল অথচ যখন তাহার এবং নরক রাজার সামাগু স্মৃতিমাত্র অবশিষ্ট ছিল তখনই রামায়ণের বৃত্তাপ্ত রচিত হইয়াছিল স্বতরাং রামায়ণের কথাই ভুল। কিন্তু অধিকাংশ লোকই ওএবর এবং হুইলরের মত মানেন না । তাহাদিগের প্রতি আমার বক্তব্য এই যে প্রচলিত রামায়ণের বহু স্থলে এই মৰ্ম্মের উক্তি আছে যে, “বৃদ্ধ বাল্মীকি এইরূপ বলেন” । স্বয়ং বাল্মীকির এইরূপ লেখা অসম্ভব । ইহা হইতে অপরিহার্য্য সিদ্ধান্ত এই যে আদিরামায়ণ লুপ্ত হইয়াছিল। তাহারই স্মৃতি লইয়া নুতন এক ব্যক্তি বাল্মীকি নাম ধারণ করিয়া মহাভারতের বহু পরে এখনকার প্রচলিত রামায়ণ লিখিয়াছিলেন, যাহাতে মূল রামায়ণের কথা ব্যতীত অপর বহু কথা সন্নিবেশিত করিয়াছিলেন । তিনি যখন লিখিয়াছিলেম তখন নরক রাজ ও প্রাগ জ্যোতিষপুরের নামের অতি ক্ষীণ স্মৃতিমাত্র ছিল। অন্ত পক্ষে মহাভারতে প্রাগজ্যোতিষপুর সম্বন্ধে নানা ঐতিহাসিক কথা আছে । নরক সেখানকার রাজ ছিলেন, ভগদত্ত উtহার পুত্র ছিলেন, তাহার ভগিনী ভানুমতীকে দুৰ্য্যোধন বিবাহ করেন। তিনি দুৰ্য্যোধনের পক্ষ অবলম্বন করিয়৷ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধের কয়েক বৎসর পূর্বে একবার অর্জন ও একবার কর্ণ প্রাগজ্যোতিবে গিয়া সেই দেশ জয় করেন। এসমস্ত কথা মিখ্যা হইতে পারে না । রামায়ণে কিন্তু প্রাগ জ্যোতিষপুর ও নরক রাজার নাম ব্যতীত আর কিছুই নাই । এইসকল পৰ্য্যালোচনা করিয়া মহাভারতে যে প্রাগজ্যোতিষকে দিল্লীর উত্তরে অবস্থিত বলা হইয়াছে তাঁহাই অবগুগ্রহ । কালিদাস যে বাঙ্গালী ছিলেন এবিষয়ে বড় বড় পণ্ডিতের প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়াছেন এবং এখনও করিতেছেন । তিনি যে কামরূপকে প্রাগজ্যোতিষপুর বলিয়া মনে করিতেন ইহা তাহার বাঙ্গালীত্বের অন্ততম প্রমাণ। কেমন বাঙ্গালী ও আসামীদের দৃঢ় বিশ্বাস যে প্রাগ জ্যোতিষপুরই কামরূপের প্রাচীন নাম ছিল । গৌহাটির প্রাচীন নগরের ধ্বংসাবশেষ দেখাইয়া এখনও সেখানকার লোকে বলে যে, সেখানে ভগদত্তের রাজধানী ছিল। এইসকল জনশ্রুতি, কালিদাসের বিশ্বাস এবং কলিকাপুরাণের উক্তি এসমস্তই কি মিথ্য? যদি মহাভারতের কথা সত্য হয় তাহ হইলে উল্লিখিত জনশ্রুতি মিথ্যা বই আর কি হইতে পারে ? বলিদ্বীপের অধিবাসীরা সেখানকার একটা স্থান দেখাইল্পী বলিয়। খাকে যে সেখানেই কুরুপাণ্ডবদের যুদ্ধ হইয়াছিল । দিনাজপুরের জনশ্রুতি এই যে, দিনাজপুরেরই প্রাচীন মাম মৎস্ত দেশ ছিল। অথচ মহাভারতের মতে রাজপুতানার জয়পুরের প্রাচীন নামই মৎস্ত দেশ। মণিপুরের লোকের বিশ্বাস এই যে, উহাই মহাভারতোক্ত মণিপুর। ه۶۹امی عیسه