পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭8 SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A S A S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS ছোট ছোট বুদবুদ রাখিয়া নানাপ্রকার অভূত জিনিষ করিতে পারা যায়। তারের সাহায্য না লইয়াও ছোট ছোট বুদবুদ কোন গোল পাত্রের উপর জমা করিতে পারিলে তাহ বেশ লম্বা হক্টর উঠে, এবং ক্রমশ নিজের ভরে মুইয়া পড়িতে থাকে, তখন তাহ দেখিতে সাপের মত হয়। সাপের মাথায় দুইটি ধোয়া-ভরা বুদবুদ্ধ ঠিক মত রাখিতে পারিলে তাঙ্গ সাপের চোখ হয়। এইরকম বুদ্ধবুদের সাপ বা তোরণ ইত্যাদি করিতে হইলে গ্যাস-ভরা বুদবুদ্ধই প্রকৃষ্ট, তাহাতে ফল ভাল হয় । - গ্যাস-ভর। বড় বুদবুদের মধ্যে রেশমী স্বতীও লাগাইয়া দেওয়৷ যায়, এই রেশমী স্থতায় আবার একটি ছোট কাগজকে প্যারাস্কটের আকারে বঁধিয়া দিলে বুদবুদ্ধটিকে একটি আকাশ-জাহাজ বলিয়৷ মনে হয় । সাবান-গোল পেয়ালার মধ্যে গ্যাসের নল প্রবেশ করাইরা দিলে, পেয়াল হইতে সাবানের বুদবুদ আপনা-আপনিই উপর দিকে ب - مس می "مر প্রবাণী—ফাঙ্কন, >AGO س. ----حیے ہمہ م । २७* छां★, २घ्र ६७ ਚੌਿਣ থাকিবে । দরকারমত গ্যাস চাড়িতে এবং বন্ধ করিতে পারিলে সাবানের ফেনার বুদবুদ অনেক উচু পৰ্য্যন্ত উঠিতে পারে। - উড়ো জাহাজের নতুন কাজ– সমুদ্রে অনেক সময় যুদ্ধ-জাহাজ শক্র যুদ্ধ-জাহাজের সামূনে পড়ে' নানারকমে বিপদগ্ৰস্ত হয় । এখন বিপদগ্ৰস্ত জাহাজকে ধোয়ার উপর পর্দার আড়ালে রক্ষা করিবার এক নতুন উপায় আবিষ্কার হইয়াছে। উড়ো জাহাজ যুদ্ধ জাহাজের আগে আগে ভীষণভাবে ধোয় ছাড়িতে ছাড়িতে যায় এই ধোয় ক্রমশ এত ঘন এবং গভীর হইয় উঠে যে শত্র জাহাজ পরম্বার আড়াল ঢাকা জাহাজের কোন সন্ধানই পায় না । একটি এরোপ্লেন ১ মিনিটে ৯৫ ফুট উচু করিয়৷ ১ মাইল স্থাত এইরকম ঘন ধোয়ায় আবৃত করিতে পারে। হেমন্ত চট্টোপাধ্যায় স্ত্রীশিক্ষা আমাদের দেশে স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে আমি কিছু লিখতে অ! হুত হয়েছি । দেশে স্ত্রীশিক্ষণ সম্বন্ধে কেতাবের অভাব নেই। যে কেউ বাংলায় দু’ অক্ষর লিখতে পারেন, তিনিই নারীধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বই লিখে হাতেখড়ি দিয়ে থাকেন । তাতে আমরা দশ বৎসর বয়সের মধ্যে কিরূপে সীতা সাবিত্ৰী দময়ন্তী তৈরী করতে হয়, গান-বাজনা শিল্পকলা প্রভৃতি শেখান যায়, যেন বারো বৎসরে বিয়ে হ’লেই পতি দেবতা নগদ বরপণ ও কয়েকভরি সোনার সঙ্গে সঙ্গে একটি “গৃহিণী সচি<: সৰ্থী মিথ: প্রিয়ুশিয্যা ললিতে কলাবিধৌ" বিনা ক্লেশে লাভ করতে পারেন, তার সর্ববিধ ব্যবস্থা থাকে । কিন্তু এটা একবারও কেউ মনে করে দেখেন ন যে, প্রকৃতির নিয়ম বলে’ একটা জিনিস আছে সেটাকে কিছুতে লঙ্ঘন করবার জো নেই, এবং যদিও মেয়েদের বুদ্ধিবৃত্তি সাধারণতঃ পুরুষদের অপেক্ষ অল্প বয়সে বিকাশলাভ করে, তথাপি দ্বাদশ বৎসর বয়সে মস্তিষ্কের পরিণতি অসম্ভব, অধিকাংশ শিক্ষণীয় বিষয়ে তখনও তারা বালিকা মাত্র। তাদের মাথায় সে-সকল বিযয় তখন কিছুতে ঢুকতে পারে না । স্বতরাং স্ত্রীশিক্ষা কথাটাই ছেলেথেল হ’য়ে দাড়ায়, যদি বারো বৎসরের মধ্যে সেটা সমাপ্ত করতে ट्प्ले । কোন বিখ্যাত ফরাসী লেখক সত্যই বলেছেন, স্ত্রীজাতির স্থান কোথায়—এইটি হচ্ছে প্রত্যেক দেশে সভ্যতার মাপকাঠি। আমাদের দেশে নারীদের অবস্থাটা মন্ত্রই নির্দেশ করে দিয়ে গিয়েছেন—ন সা স্বাতন্ত্র্যমৰ্হতি — অর্থাৎ চিরকালই তাকে বাপ ভাই ছেলের অধীন হ’য়ে থাকৃতে হবে । এই সনাতন নীতিটির যাতে ব্যতিক্রম না ঘটে, এজন্য নারীজাতিকে আমরা এরূপভাবেই রেখেছি যে বাস্তবিক এখন তার স্বাধীনতার যোগ্যও নয়। ফ্রেডেরিক হারিসন তার Realities and Ideals নামক গ্রস্থে এক জায়গায় বলেছেন, মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বলতে যদি কয়েকটি আধুনিক ভাষার মোটামুটি জ্ঞান এবং কয়েকটি ললিত কলায় দক্ষতামাত্র বুঝায়, তবে “This truly Mahometan or Hindu view of woman's education is no longer openly avowed by cultured people of our own generation.” অর্থাৎ, সেটা হ’ল হিন্দু ও মুসলমানদের উপযুক্ত আদশ, পাশ্চাত্য সভ্যজগতের নয়। . নারী-জাতি সম্বন্ধে আমরা আমাদের উচ্চধারণার যতই বড়াই করি না কেন, সংস্কৃত কোটেশন-কণ্টকিত রাশি রাশি প্রবন্ধ লিখে সেবিষয়ে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের যতই চেষ্টা করি না কেন, একজন ভারতবন্ধু ইংরেজ লেখক স্ত্রীজাতি-সম্পর্কে