পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] همسر تح حمی حبیبہامیہ۔م মাত্র কথা বলে আমার এই যৎসামান্ত বক্তব্য শেষ করব । জন মলি বলেছেন, মেয়েরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন সঙ্কীর্ণমনা । বিলেতেই যদি এরূপ অবস্থা, তবে আমাদের দেশের মেয়েদের কথা খুলে’ বলা অনাবশ্বক । পুরুষদের মহৎ প্রয়াসগুলি অমুসরণ করবার মত যোগ্যতা পাশ্চাত্য মহিলাদের মধ্যেও অনেকেরই নেই—কিন্তু আমাদের মেয়েরা তা বুঝতে কিম্ব বুঝে তার সঙ্গে সহানুভূতি করতেও অক্ষম। উইলিয়ম্ জেমস তার মনস্তত্ত্ব-বিজ্ঞানে বলেছেন যে, মেয়ের কুড়ি বৎসরেই মানসিক ক্ষেত্রে বুড়ী হয়, অর্থাৎ তার পর আর তাদের মনের বিকাশ হয় না। আর ঐ বয়সের পুরুষদের মনের অবস্থা জেলিবৎ তরল ও স্থিতিস্থাপক থাকে বলে’ তারা তখনও অনেক নূতন নূতন তথ্য গ্রহণ করতে পারে। পাশ্চাত্য নারীদেরই যদি এই দশা, তবে আমাদের মেয়েদের কথা একবার ভেবে দেখুন। অথবা ভেবে দেখবারই বা কি আবখ্যকতা, ঘরে ঘরে তাকিয়ে দেখলেই ত হয়। বিচার-বুদ্ধি বলে যে একটা জিনিষ, ইংরেজীতে Httre reason rationality Hi judgment tai, coiSi আমাদের মেয়েদের মধ্যে একেবারে নেই বললেই চলে। সৰ্ব্বদা তারা খেয়ালের বশবৰ্ত্তী হয়ে চলেন, যুক্তি-তর্কের ধার ধারেন না, যদিও তর্কযুদ্ধে পশ্চাৎ-পদ না হ’তে পারেন । গোড়ামি কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস বিচার-মূঢ়তা প্রভৃতি বিষয়ে আমাদের পুরুষরাই ত পাশ্চাত্য নারীদের পশ্চাতে পড়ে আছেন, আবার আমাদের মেয়েরা আমাদের আরও পশ্চাতে টেনে রাখছেন । রাশব্রুক উইলিয়ম্স্ সাহেব সত্যই বলেছেন,— “The traditional conservatism of the Indian home closes and bars the innermost sanctuary of Indian life to those new ideas which must penetrate far and wide if the political and social aspirations of the country are to be attained." অর্থাৎ কিনা, যে-সকল নূতন ভাবগুলি খুব একটা বিস্তৃত ক্ষেত্রে প্রসার লাভ না কবুলে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি কার্য্যে পরিণত হ’তে পারে ন, ভারতীয় অন্তঃপুরের চিরাগত রক্ষণশীলতার ফলে, স্ত্রীশিক্ষা SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ۹۹وا) জাতীয় জীবনের নিভৃততম কক্ষে সেগুলির প্রবেশধিকার নেই। ইস্কুল-কলেজে পড়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে', সভাসমিতিতে যোগদান করে আমাদের দেশের পুরুষদের বিচার-বুদ্ধি যেটুকু খুলে যায়, আবার বাড়ী এসে ম্য ভগ্নী গৃহিণীর সনাতন রীতিনীতি আচার-ব্যবহার প্ৰথা-পদ্ধতির আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে, অল্পদিনের মধ্যেই তা লোপ পায় । সুতরাং জাতি হিসাবে দু'দশ পুরুষেও আমাদের সমাজ-শবীরে কোন নূতন ভাব বদ্ধমূল হ’তে পারে না। বালিক-বিদ্যালয়ে দু’পাতা পড়ে’ই আমাদের মেয়ের এসব বিষয়ে একেবারে উন্নত হ’য়ে উঠবেন, এরূপ আশা দুরাশা মাত্র । কাগজে পড়ে আমাদের দেশে কয় জন যুবকের বিচার-বুদ্ধি দৃঢ়প্রতিষ্ঠ হ'য়ে থাকে ? তাদের মধ্যেও অধিকাংশই ত সনাতন রীতি অনুসরণ করে’ গতানুগতিক-ভাবে জীবন যাপন করে থাকেন। বস্তুত বিচার-বুদ্ধির বিকাশ বড়ই কঠিন সাধনাসাপেক্ষ । মেয়েরা অনেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করলেই আমাদের গৃহ-প্রাঙ্গণ থেকে সনাতন রীতিনীতিগুলি অচিরাং অন্তৰ্দ্ধান করবে, এরূপ আশঙ্কা যেন কেউ না করেন। তবে পুরুষদের মধ্যেও যেমন কতক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির বুদ্ধি মার্জিত ও আত্মপ্রতিষ্ঠ হয়, স্ত্রীলোকদের মধ্যেও উচ্চশিক্ষার প্রভাবে কতকটা সেরূপ হবে, সন্দেহ নেই। যতদিন তা ন হয় ততদিন ঘরে ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মানসিক বিরোধ ও দ্বন্দ্ব দাম্পত্য-জীবনকে দুৰ্ব্বহ করে' রাখবে। অতএব মেয়েদের উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করতে ন। পারলে তাদের শিক্ষা সফল হবে না, বরঞ্চ “আল্পবিদ্য। ভয়ঙ্করী" হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী । যেহেতু কেবল নাটক নভেল পড়ে' মেয়েদের স্বাভাবিক ভাবপ্রবণতা বেড়ে যাবে, তারা আত্মঘাতী হবার নব নব রোমাণ্টিক উপায় খুজে বের করবে । নাটক নভেলও আবার বেছে বেছে পড়া হয় শুনেছি, অর্থাৎ যেখানে কেবল নায়ক-নায়িকার প্রেমের কথা থাকে, কেবল সেগুলিই পড়া হয়, তু’চারটি যুক্তি বা তত্ত্বকথা বা সুচিন্তিত মন্তব্য বা চরিত্র-বিশ্লেষণ যদি কোথাও থাকে, তবে সেগুলি নাকি সযত্নে বাদ দেওয়া হয়। স্বতরাং আমার