পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3}سایلك. ക്ഷാ হচ্ছে, পুরান খনি খালি হয়ে যাচ্ছে ; নূতন নূতন উপায়ে প্রকৃতিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, ইত্যাদি । মানুষ মবুছে জন্মাচ্ছে, তার কৰ্ম্মক্ষমতা বাড়ছে কমছে, তার সংখ্যাও বাড়ছে, কমছে, ইত্যাদি । মুলধন নষ্ট হ’য়ে যাচ্ছে, আবার স্বষ্ট হচ্ছে ; পুরান যন্ত্র ক্ষয়ে যাচ্ছে, নূতন যন্ত্র তৈরী হচ্ছে, পুরান বাড়ী ভাঙছে, নুতন বাড়ী হচ্ছে ; পুরান সহর, বন্দর, পথ, ঘাট, মালগুদাম সবই ভাঙছে গড়ছে। সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষণের জন্য এমন বন্দোবস্ত হওয়া উচিত, যাতে উপকরণের প্রবাহ অপ্রতিহত থাকে। সমাজের কৰ্ত্তব্য শুধু বৰ্ত্তমানবংশীয় ব্যক্তিদের প্রতিই নেই, ভবিষ্যৎবংশীয়দের প্রতিও তার কর্তব্য আছে। আর সামাজিক আয়ও একটি প্রবাহের মত আসছে ও ভুক্ত হচ্ছে । বাৎসরিক আয় কাজের সুবিধার জন্য বলা হয়, তা না হ’লে এক্ষেত্রে বৎসরের কোন মূল্য নেই। সময়ের স্রোতের মধ্যে থেকে থেকে দিমের খুটি, মাসের বয়া ও বৎসরের বাধ মাছুষ লাগালেও সময়ের স্রোত অবাধগতিতে চলে। সময়কে মানুষ তার সসীম কল্পনা দিয়ে ধবৃতে, বুঝতে চেষ্টা করে ; তাই সে সময়ের প্রবাহে বাধ, ৰয়, খুটি ইত্যাদি বসাতে চায় । কিন্তু সময়ের মধ্যে সে-সব নেই ; আছে মামুষের মনে । বৎসরের শেষে যে আবার নূতন করে’ উপকরণ জোগাড় ও আয় উপার্জন স্বরু হয় না, তা বলাই বাহুল্য । উপকরণপ্রবাহের নানা অংশ সতত নালু ভোগ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে ; এবং আমরা, কোন-একটা নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে যতটা ভোগ্য উৎপাদিত হচ্ছে, তাকে বাৎসরিক সামাজিক আয় বলছি । এই উপকরণের প্রবাহ নানাভাবে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ব্যৰহারকে বিভিন্ন ব্যবসায় বলা চলে। কোন ব্যবসায়ে যত মাত্রা উপকরণ ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে যে মাত্র থেকে সবচেয়ে কম লাভ হয়, তাকে সেই ব্যবসায়ের সীমাস্থিত মাত্রা বলা চলে। এই সীমাস্থিত মাত্রা থেকে ষা “নেট” লাভ ( অর্থাৎ খরচ বাদে ছাকা লাভ যেটুকু ), তাকে সীমাস্থিত “নেট” লাভ বলা চলে। কোন ব্যবসায়ে সীমাস্থিত মাত্রা থেকে যা নেট লাভ হয়, তা সেই ব্যবলাঞ্জের দিক থেকে দেখলে একপ্রকার হতে পারে, প্রবাসী- ফাঙ্কন, $రిరి [ २७° छां★, २ग्न थल بقیه ایستگاه حتعمیر.یخ - جسم আবার সামাজিক দিক থেকে দেখলে আর একপ্রকার হ’তে পারে। নেট লাভ মানে হচ্ছে, সেই লাভটুকু উৎপাদন করতে গিয়ে বাস্তব জিনিষ খরচ, কষ্ট স্বীকার এবং অন্তান্ত ক্ষতি যা হ’য়েছে তা মোট লাভ থেকে বাদ দিয়ে যা থাকে সেইটুকু । এখন ৰ্যবসায়-বিশেষের দিক থেকে বাস্তব জিনিষ ( কাঠ, খড়, ইট, লোহা, ধান ইত্যাদি ) ও কষ্ট স্বীকার ( গরমে কাজ করা, ধূলা খাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কারখানায় বসে থাকা ইত্যাদি ) যে পরিমাণ হয়, সামাজিক দিক্‌ থেকে হস্থত সেই পরিমাণেই হয়। কিন্তু অন্যান্ত ক্ষতি ব্যবসায়ের দিক থেকে ষা হয়, সামাজিক দিক্‌ থেকে তার চেয়ে কম বেশী হ’তে পারে। যেমন রেল-লাইন স্থাপনের জন্ত লোহা ও মজুরী খরচ ব্যবসায়িক ও সামাজিক দুই দিক থেকেই সমান হবে ; কিন্তু সামাজিক দিক্‌ থেকে রেল-লাইনের বঁাধের জন্তে যদি ম্যালেরিয়া হয় ও লোকের বাড়ী ঘর স্যাত - সেতে হয়ে যায়, অথবা ধোয়ায় লোকের কষ্ট হয়, তা হ’লে সেগুলিকে ক্ষতির মধ্যে ধরতে হবে। আবার শীঘ্র চলাচল সুবিধার জন্য যদি ব্যবসায়-বাণিজ্য বাড়ে, লোকের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ে, বা দুর্ভিক্ষ নিবারণের মূবিধা হয় ( রেল-লাইনগুলি ঘুণ্ডিক্ষের কারণও হতে পারে ) তা হ’লে সেগুলি কোম্পানীর লাভের খাতায় না দেখা পেলেও সামাজিক লাভের হিসাবে স্থান পাবে। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়গত লাভ লোকুসান ও সামাজিক লাভ লোক্সানের মধ্যে তফাৎ আছে। কোন ব্যবসায়ে ব্যবহৃত উপকরণের সীমাস্থিত মাত্রা থেকে সেই ব্যবসায়ের যা নেট লাভ হয়, তাকে সীমাস্থিত ব্যবসাগত নেট লাভ বলা চলে এবং সেই নেট লাভটুকু উৎপাদনে পরোক্ষভাবে সামাজিক যা ক্ষতিবৃদ্ধি হয়েছে সেগুলি তাতে বা তা থেকে যোগ-বিয়োগ করে সীমাস্থিত সামাজিক নেট লাভ স্থির হবে । সীমাস্থিত নেট লাভ বা নেট উৎপাদনঃস্থির করতে হ’লে যে পরিমাণ উপকরণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তার নেট উৎপাদনের চেয়ে অল্প একটু ( বুঝবার স্ববিধার জন্ত একমাত্রা বলা যাক ) বেশী উপকরণের নেট উৎপাদন কত বেশী তা ঠিক করতে হবে । যেটুকু বেশী সেইটুকু হচ্ছে সীমাস্থিত মেট লাত।