পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N9సాe তৈরী হয়। ( বেশীর ভাগ কল, যন্ত্র ইত্যাদি ) এতে খণ্ডগুলিকে নির্দিষ্ট মাপের ও উপকরণের তৈরী করা স্থির করে এমন কি ভিন্ন ভিন্ন কারখানায় ভিন্ন ভিন্ন ংশ তৈরী করে’, এক জায়গায় জুড়ে কাজ অনেক কম খরচে করা সম্ভব হয়। যেমন সস্তার ঘড়ির অংশগুলি অনেক সময় আমেরিকায় যন্ত্রের সাহায্যে তৈরী হ’য়ে স্বইৎজারল্যাণ্ডে আসে এবং সেখানে সেগুলিকে একত্র ংযুক্ত করে ঘড়ি তৈরী হয়। বৃহৎ কারবারের গুণ আলোচনা বিশদভাবে হওয়া অল্পস্থানে সম্ভব নয়, কাজেই এখন তার দুই একটি দোষ বলা যাক। প্রধান দোষ হচ্ছে ব্যবসায় বুদ্ধি বা সাধারণভাবে কাৰ্য্যদক্ষতা নষ্ট হ’য়ে যাওয়া । বৃহৎ কারখানায় কাজ করা যন্ত্রের মত কাজ করা । তাতে সাধারণ ক্ষমতাগুলি নষ্ট হ’য়ে যায়। যা বলে তাই করে নিজে ভেবে কাজ করার ক্ষমতা চলে’ যায়। কাজেই এর ফলে সময়ে সামাজিক ক্ষতি হ’তে পারে। তার চেয়ে হয়ত উৎপাদনের পরিমাণ কম হ’লেও ছোট ছোট কারবার সমাজের কৰ্ম্মকুশল লোকের ংখ্যা অক্ষুণ্ণ রাখে বলে তার সামাজিৰ মুল্য বেশী। প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩• ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড কিন্তু ব্যবসায়সংক্রান্ত শিক্ষাল স্থাপন করে অনেক সময় সে অভাব দূর হয়। এটা রাষ্ট্রের কাজ। তার পর নির্দিষ্ট মাপ ও উৎকর্ষের দ্রব্য উৎপাদন করলে এবং প্রত্যেক ংশের জন্য যন্ত্রের ব্যবহার স্বরু করলে অনেক সময় প্রব্যের ব্যবহার্য্যতার দিক দিয়ে উন্নতির দিকে নজর থাকে না। তবে অনেক জিনিষের এরূপ উন্নতির আশা খুবই কম (যেমন স্কু, বোল্ট, নাট, ইত্যাদি) এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনেকটা সকলকে উন্নতির দিকে নজর রাখতে বাধ্য করে। তার পর যেমন অন্য ক্ষেত্রে কৰ্ম্মবিভাগ হয় তেমনি জিনিষেব উন্নতি কিসে হয় তা দেখবার জন্যেও বিশেষজ্ঞ লোককে মাইনে দিয়ে রাখা হয় ও রাখা সম্ভব। এতে হয়ত শেষ অবধি লাভ খুবই বেশীই হয় । অতঃপর আমরা শ্রমজীবী ও মুলধনজীবী সম্বন্ধে কিছু বলে’ শেষ করতে চাই। মূলধন যে সংরক্ষিত শ্রমের ফলমাত্র, তা আগেই বলা হয়েছে। মূলধন বিন উৎপাদন যে প্রায় অসম্ভব, তা বলা বাহুল্য মাত্র । শ্ৰী অশোক চট্টোপাধ্যায় রাজপথ

( পাঁচ মিনিট পরে সুরেশ্বর ফিরিয়া আসিল, এক হস্তে একটি রেকাবে কয়েকটি মিষ্টান্ন এবং অপর হস্তে

এক গ্লাস জল । মিষ্ট(ন্নের রেকীব দেখিয়া বিমানবিহাবী হাসিয়া বলিল, “তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়া আমি চাহিলাম জল, তাড়াতাড়ি এনে দিলে আধখানা বেল ! এ যে তাই হ’ল | এক গ্লাস ঠাণ্ডা জল চাইলে তার সঙ্গে এক রেকীব মিষ্টায় কোনো হিসাবেই আসতে পারে না।” মিষ্ঠাম্নের রেকাব ও জলের গ্লাস বিমানবিহারীর সম্মুখে স্থাপিত করিয়া সুরেশ্বর স্মিতমুখে বলিল, “তা আসতে পারে। জিল’ শব্দটা আমাদের বাংলাদেশে তন্ত সরল নয়, একটু জটিল। তাই জল খাচ্ছি মুখে ১৯ ) বললেও অনেক সময়েই আমরা সন্দেশ-রসগোল্লা খেয়ে থাকি। এমন কি কোনো কোনো জল-খাবারের দোকানে জল একেবারেই পাওয়া যায় না, শুধু খাবারই পাওয়া যায়। জলযোগ কথাটার মধ্যে খাবার কথাটার কোনও যোগ না থাকুলে ও খাবারটাই তার প্রধান উপকরণ !” বিমানবিহারী বলিল, “কিন্তু তৃষ্ণাৰ্ত্ত হয়ে জল চাইলে তাড়াতাড়ি আধখানা বেল নিয়ে আসবার কোনও কারণ থাকে না । আমি গ্লাসটাই চেয়েছিলাম, রেকাবটা চাইনি। রেকাবটা ক্ষুধার আর গ্লাসটা তৃষ্ণার পরিচায়ক । ক্ষুধা আর তৃষ্ণ দুটো পৃথক জিনিস, তা মান কিনা ?” দক্ষিণ দিকের খোলা জানাল দিয়া বাক-ভাবে সুৰ্য্যের কিরণ আসিয়া বিমানবিহারীর গাত্রে পড়িতেছিল ; জানালাটা একটু ভেঙ্গাইয়া দিয়া স্বরেশ্বর বলিল,