পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] রাজপথ ఆన9 বিয়ে হৰে । কাল স্থির হয়েছে যে ফাঙ্কন মাসের কোনো স্বরেশ্বর গম্ভীর-স্মিতমুখে বলিল, “নিজের বুদ্ধির শুভ-দিনে আমরা দু’জনে মিলিত হব । মতের মিল মা হ'লে মনের মিল কি করে" হবে বল ? তোমার প্রভাব ক্ষমিত্রার মনের মধ্যে এমন প্রবলভাবে বসেছে যে তাকে নড়াবার আমার ক্ষমতা নেই। আর সত্যি কথা বলতে কি, ইচ্ছেও নেই। তাই মনে করছি আমার মতটাই তোমাদের মতের সঙ্গে মিলিয়ে নেব, আর তাই আজ এসেই তোমাকে বলেছিলাম ষে তোমাদের দুজনের এক জনকেও বর্জন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।” কথাটা শুনিতে শুনিতে স্বরেশ্বর নিজের মধ্যে নিজেকে সাম্‌লাইয়া লইল । বয়লার যেমন বাম্পের প্রচণ্ড বেগ নিঃশব্দে সহ করিয়া থাকে, তেমনি নিরুপদ্রবে সমস্ত উত্তেজনাটা চাপিয়া রাখিয়া স্বরেশ্বর বলিল, “এতদিন একথা আমাকে জানাওনি কেন ? জানালে বোধ হয় ভাল করতে।” বিমান স্মিতমুখে বলিল, “কেন, তা হ'লে কি হ’ত ?” এক মুহূৰ্ত্ত চিন্তা করিয়া স্বরেশ্বর কহিল, “ত হ’লে আমার আচরণটা তোমাদের দু’জনের মধ্যে হয় ত একটু खिबब्रज़ेब्र श्’ख् ।।' স্বরেশ্বরের কথা শুনিয়া সহাস্যমুখে বিমানবিহারী বলিল, “ভিন্নরকমের না হয়েও কোন ক্ষতি হয়নি ; তোমার গাঙ্কেপ করবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু সত্যি কথা বলব, স্বরেশ্বর ?” মৃদু-স্মিতমুখে মুরেশ্বর বলিল, “বল, যদি কোনো ক্ষতি नां श्ध्र ।” “না, কোনো ক্ষতি হবে না । এক সময়ে তোমার আচরণে আমি বাস্তবিকই সন্ত্রস্ত হ'য়ে উঠেছিলাম । তুমি স্থমিত্রার উপর এমন আধিপত্য বিস্তার করতে আরম্ভ করেছিলে যে ভয় হ’ত দস্থ্যর হাত থেকে স্বমিত্রীকে উদ্ধার করে অবশেষে তুমি নিজেই না তাকে অপহরণ কর । বলিয়া বিমান হাসিতে লাগিল । মুখ একটু অন্যদিকে ফিরাইয়ু লইয়া সুরেশ্বর কহিল, "তার পর এখন সে সম্রাস গেছে ?” “গেছে। এখন বুঝেছি যে সম্রাসের কোন কারণই ছিল না।" বলিয়া বিমান পূর্কের মত হাসিতে লাগিল । উপর অতটা বিশ্বাস কোরো না, ভাই। একটু সতর্ক থেকে ৷” বিমানবিহারী কহিল, “না, আমি এবার বিশ্বাস করে'ই নিশ্চিন্ত থাকব স্থির করেছি, সতর্ক হ'লেই দেখেছি ভয় ভাবনা অনেকরকম উপদ্রব এসে উপস্থিত হয় । বিশ্বাসে মিলে হুমিত্র, তর্কে বহু দূর ; তর্ক করলেই স্থমিত্রা দূরে সরে যায় । অতএব সতর্ক আর হব না ।” আরও কিছুক্ষণ গল্প করার পর প্রস্থানোদ্যত হইয়া বিমানবিহারী বলিল, “চল স্বরেশ্বর, স্থমিত্রাদের বাড়ী বেড়িয়ে আসবে চল । তুমি ত কয়েক দিনই সেখানে যাওনি ।” সুরেশ্বর মাথা নাড়িয়া কহিল, “বিয়ের রাত্রির আগে আর সেখানে পদার্পণ করাই হবে না।” সবিস্ময়ে বিমান বলিল, “কেন ?” সহাস্ত মুখে স্বরেশ্বর কহিল, “কি জানি লোকে যদি লোভী বলে’ সন্দেহ করে।" “ত কখনো করবে না। তুমি য়ে নিলোভ তা সকলেই জানে।” বলিয়া হাসিতে হাসিতে বিমানবিহারী প্রস্থান করিল। ( २० ) বিমলাকে লইয়া জয়ন্তী ভবানীপুরের কোনও আত্মীয়-গৃহে নিমন্ত্রণে গিয়াছিলেন ; কথা ছিল সন্ধ্যার পর তথা হইতে ফিরিবেন। স্থমিত্রাকেও সঙ্গে লইয়া যাইবার জন্য জয়ন্তী পীড়াপীড়ি করিয়াছিলেন, কিন্তু সুমিত্রা যায় নাই, ওজর-আপত্তি করিয়া কাটাইয়া দিয়াছিল । বেলা তখন দুইটা। সুমিত্র নিজ কক্ষে অলসভাবে শয্যায় শয়ন করিয়া একখানা বই পড়িতেছিল, এমন সময়ে একজন পরিচারিকা আসিয়া বলিল, “মেজ দিদিমণি, একটি মেয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।" স্বমিত্রা শয্যার উপর উঠিয়া বসিয়া ঔংস্থক্য-সহকারে জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় য়ে ? “এই যে বাইরেই।” বলিয়া দাসী হস্তের দ্বারা ইঙ্গিত করিয়া বারাও দেখাইয়া দিল । 曦