পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Forr *o ^. {{ عثمج 。- 4/ V---- یہ ہم را میبیسیحی تتچی ۲-ح. “ঐতিহাসিক উপন্যাস” গত মাঘ মাসের প্রবাসীতে ক্রীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় র্তাহার ঐতিহাসিক উপন্যাস প্রবন্ধে বঙ্কিম-বাবুর কয়েকখানি উপস্কাস সম্বন্ধে যtহ বলিয়াছেন, তাক তে তিনি ইতিহাসের মর্য্যাদার হানি করিয়াছেন । এখানে আমি শুধু ‘দুর্গেশনন্দিনী’ ও ‘রাজসিংহ সম্বন্ধেই ইহা বলিলাম। রাখাল-বাবুর নিজের কথায় বলিতে গেলে র্তাহীর মত পেশাদার প্রত্নতত্ত্বব্যবসায়ী যে ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া তিনি জীবিক অর্জন করিয়৷ থাকেন তাহীরই খাতিরে, র্তাহার এবন্ধের প্রতিবাদ প্রেরণ করিতে স্বভাবতই আমার ভয় পাওয়া উচিত। কিন্তু ‘আমার স্থির বিশ্বাস স্বয়ং বঙ্কিম-বাবু, ও "ঐতিহাসিক সত্য আমার দিকে ।" দুর্গেশনন্দিনী সম্বন্ধে রাখাল-বাবু বলেন, "উপন্যাস-রচনার প্রবৃত্ত হইয় আচার্য বঙ্কিমচন্দ্র ইতিহাসের...মর্য্যাদ। রক্ষা করিয়াছিলেন । দুর্গেশনন্দিনীর কৎলু খt, ওসমান খাঁ, জগৎসিংহ ও মানসিংহ একদিন বাস্তব জগতে বিদ্যমান ছিলেন, তাহাদের সময় ও সেই যুগের প্রধান ঘটনাবলী ইতিহাসে স্পষ্ট ভাষায় লিখিত আছে । উপস্যাসরচনা কালে গ্রন্থকার নাম-বৈষম্য বা ঘটনা-বৈষম্যের আশ্রয় গ্রহণ করেন নাই । এইজন্তই "দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্রের রচনার মধ্যে কথাসাহিত্যের হিসাবে উচ্চপদ প্রাপ্ত না হইলেও ঐতিহাসিক উপস্কাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ।” রাজসিংহের চতুর্থ সংস্করণের বিজ্ঞাপনে কিন্তু বঙ্কিম-বাবু নিজেই বলিতেছেন, “যে তিনি পূৰ্ব্বে কখন ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখেন নাই। দুর্গেশনন্দিনী বা চন্দ্রশেখর বা সীতারামকে ঐতিহাসিক উপস্থাস বলা যাইতে পারে ন৷ ” বঙ্কিম-বাবুর উপস্যাসের ঐতিহাসিক তত্ত্ব গবেষণা করিবাৰু পুর্বে রাখাল-বাবু অন্তত ভূতপূৰ্ব্ব এবং অধুনা সিংহাসনচ্যুত “ সাহিত্য-সম্রাটের লিপিত মুল্যবান ভূমিকগুলিও কি পড়া উচিত বিবেচনা করেন নাই ? বর্তমান বিশ্বসভ্যতার নানা-বিভাগে আমাদের স্বদেশবাণী যে কয়েকজন মহম্ব স্ব স্ব সাধন ও প্রতিভার বলে বঙ্গদেশের— তথা ভারতবর্ষের জন্য স্থায়ী গৌরব অর্জন করিয়াছেন, তন্মধ্যে স্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার মহাশয় অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে ভাইuত বা ভারতের বাহিরে ভারতীয় মোগলযুগের ইতিহাসে তাহার মত অধিকাব আর কাহারও নাই। তিনি দুই বৎসর পূর্বে ১৩২৮ বঙ্গাঙ্গের অগ্রহায়ণ মাসের প্রধানীতে “বঙ্গের শেষ পাঠানবীর” প্রবন্ধে দুর্গেশনন্দিনীর মূল আখ্যানভাগের ঐতিহাসিক তত্ত্ব লই য়। বর্তমানে রাখালবাবুর যে ধারণ, তাহার প্রকৃততত্ত্ব বাঙ্গালী পাঠকদিগের নিকটে প্রকাশ করিয়াছেন। বাঙ্গালীর ইতিহাস’-লেখক যে তাহ পাঠ করেন নাই, ইহাতে কি ৰাঙ্গালী পাঠষ্ণের দুঃখ বোধ করা অস্বাভাবিক ? ‘রাজসিংহের বিষয়ে বঙ্কিমবাবুর অতি উচ্চ ধারণ। তিনি “অত্যন্ত স্বৰাতিপক্ষপাতী ; হিন্দুদ্বেষক মুসলমান ইতিহাস-লেখকদের বাদ দিয়া ভিনিসীয় চিকিৎসক মামুচী, টড, ও অমের অনুকরণ করিয়াছেন।” আবার বঙ্কিমবাবু বলেন যে, “এই তিন জাতীয় ইতিহাসে পরস্পসের সহিত অনৈক্য আছে । ইহীদের মধ্যে কাহার কথা সত্য, কাহার কথা মিথ্য, তাহীর মীমাংস দুঃসাধ্য। অন্তত একাৰ্য্য বিশেষ পরিশ্রমসাপেক্ষ ।" রাখাল-বাৰু এই পরিশ্রম স্বীকার করিয়াছেন কি না আমরা জানি না, কিন্তু তিনি নিজেই “যদিও” দিয় ( এই ‘যদিও’—অর্থ কি ? ) বলিতেছেন, যে, “অধ্যাপক যদুনাথ সরকারের স্থায় মনস্বী লেখক রাজপুতানার গিরিস্ক পথে সপরিবারে বাদশাহ আওরঙ্গজেবকে বন্ধন ঐতিহাসিক ঘটনা বলিয়। স্বীকার করেন না, তথাপি ( এই তথাপি--অর্থ কি ? ) রাজসিংহ আধুনিক উপস্যাসের স্বার অস্বাভাবিকতা-দোষ দুষ্ট হয় নাই।” এ-বিষয়ে বঙ্কিম-বাবু বলেন যে তিনি "রন্ধ মধ্যে ঔবঙ্গজেব যে অবস্থায় পতিত হওয়ার কথা লিখিয়াছেন, অমূৰ্খ ঐরুপ লিখেন।" ইত্যাদি । রাখাল-বাবু বঙ্কিম-বাবুর প্রতিধ্বনি করিয়া বলেন যে "এই যুগের মুসলমান ঐতিহাসিক এক-দেশদশী, স্বতরাং তাহার প্রমাণ বিজ্ঞানসম্মত প্রণালীতে লিখিত ইতিহাসে গ্রহণ করিতে হইলে বিশ্বাসযোগ্য অপর প্রমাণ দিয়া সমর্থন করাইয় লইতে হয়। দ্বিতীয় প্রকারের প্রমাণ ভারতবর্যের সর্বত্র হলভ নহে। সৰ্ব্বাপেক্ষ কঠিন কথ। মুসলমান-লিখিত ইতিহাস অধ্যয়ন, কারণ তাহ তুর্কী আরব্য অধৰ৷ পারস্ব ভাষায় লিখিত ।” রাখাল-বাবু বলেন যে “মুসলমান ঐতিহাসিক একদেশদ্বশী।” বঙ্কিম-বাবুরও সেই মত । কিন্তু আবার বলেন যে “এই যুগে মুসলমান-রচিত ইতিহাসাবলম্বন ব্যতীত উপায়াস্তর নাই।” ইহাও কি একদেশদশী মুসলমান ঐতিহাসিকদের কার্সাজি ? রাখাল বাৰু নিজেই ঐতিহাসিক, কাজেই তিনি নিশ্চয় আমাদের চেয়ে বেশী জানেন, যে আমাদের সেরা ঐতিহাসিক যদুনাথ-বাৰু বিজ্ঞানসন্মত প্রণালীতে ইতিহাস লিখিয়াছেন কিনা । তুর্কী ভাষায় ভারতের ইতিহাস আছে কিনা জানি না, কিন্তু তদানীন্তন ভারতীয় মুসলমানদের রাজভাষী পারস্ত ভাষায় লিখিত ইতিহাস অধ্যয়ন করা কিছুই কঠিন ব্যাপার নহে। বাঙ্গালী আজ চীন ও জাপানী ভাষা আয়ত্ত করিতেছেন । কিন্তু মেকলের পূৰ্ব্বে পর্য্যন্ত অফিস-আদালতে যে-ভাষী ব্যবহৃত হইয়াছে, সে-ভাষায় লিখিত ইতিহাস পাঠ বিশেষ শ্রমসাপেক্ষ নহে । যাহা হউক যদুনাথ-বাৰু শুধু যে কেবল পারস্ত ও মহারাষ্ট্ৰীয় ভাষায় লিখিত ইতিহাস অধ্যয়ন করিবার শ্রমকষ্ট স্বীকার করেন, তাহী নহে, পরস্তু পৃথিবীর প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ লাইব্রেরীতে রক্ষিত প্রাচীন ইতিহাসের উপাদানসমূহ অনেক অর্থব্যয়ে সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন । রাখাল-বাবু বলেন যে “রাজসিংহ অস্বাভাবিকত|-দোষে দুষ্ট হয় নাই।” কিন্তু বঙ্কিম-বাবু বলেন যে ঔরঙ্গজেব প্রভৃতির “সম্বন্ধে যে-সকল ঘটনা লিখিত হইয়াছে, সকগই ঐতিহাসিক নহে ।” "বিশেষতঃ উপস্যাসের ঔপন্যাসিকত রক্ষা করিবার জদ্য কল্পনাপ্রস্থত অনেক বিষয়ই গ্রন্থমধ্যে সন্নিবেশিত করিতে হইয়াছে।” আমাদের স্থভাগ্য এই যে আমাদের দেশে হৰিন, রে, বার্নিএ,