পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G е е পত্র লিখেন। পাঠকগণ সেই সুদীর্ঘ পত্রের অংশবিশেষ পাঠ করিলেই প্রকৃত ব্যাপারখানা বুঝিতে পারবেন । পত্ৰখানি এইরূপ—“কয়েক বৎসর পুর্ব পর্য্যস্ত আমার ধারণ ছিল যে, সাভারের হরিশ্চন্দ্র পালবংশীয় ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে সাভারে প্রাপ্ত “হরিশ্চন্দ্র”নামাঙ্কিত--"একখানি ইষ্টক সংগৃহীত হইয়। ঢাকা মিউজিয়মে রক্ষিত হইয়াছিল। সম্প্রতি মি: ষ্ট্যেপলটন এবং নলিনীকান্ত ভট্টশালী মহাশয় জানাইরাছেন যে, ঐ ইষ্টকখানি সম্পূর্ণরূপেই জাল এবং অবিশ্বসনীয়। যে-সমস্ত প্রমাণে রাজ। হরিশ্চন্দ্রকে এবং ময়নামতী গানের গোবিন্দচন্দ্রকে আমরা পাল-বংশীয় বলিয়া অনুমান করিয়ছিলাম, নবাবিষ্কৃত তথ্যের আলোকে সে-সকল প্রমাণ ভ্ৰমণত্মক বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছে। ইহা ছাড়া শ্ৰীযুক্ত ভট্টশালী ও মি: ষ্ট্যেপল্টন টাকা রিভিউ পত্রিকায় যে প্রাচীন প্রস্তরলিপির একটি প্রতিলিপি প্রদান করিয়াছেন তাহ দ্বারা নিঃসংশয়রূপে প্রতিপন্ন হইতেছে যে সাভারের রাজা বৈদ্যবংশীয় ছিলেন, যদিও তিনি হিন্দুমতাবলম্বী ছিলেন না । তাহার প্রপিতামহ ছিলেন রাজা ভীমসেন, তৎপুত্র ধীমগু বৌদ্ধমত গ্ৰহণ করাতে ভ্রাতৃগণের সঙ্গে বিরোধ হওয়ায় স্বদেশ ত্যাগপূর্বক সাভারে আগমন করেন। এবং কিরাতদিগকে পরাজয় করিয়া বংশাই নদীর উপকূলবৰ্ত্তী সমস্ত ভূভাগ অধিকার করেন। ধীমন্তের পুত্র রণধীর হিমালয়ের পদমুল পৰ্য্যন্ত বহুবাঙ্গ্য জয় করিয়াছিলেন । এবং ঠাহীর পুত্র হরিশ্চন্দ্র কুবেরের মত ধনশীল হইয়াও বৃদ্ধবয়সে ভিক্ষুধৰ্ম্ম অবলম্বন পূর্বক রাজর্ষি আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । হরিশচন্দ্রের পুত্ৰ মহেন্দ্র একটি বৌদ্ধমঠ প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঙ্গাবই শিলালিপি হইতে উক্ত বিবরণ সংকলিত হইল। শিলালিপির মূল সংস্কৃতগুলি ঢাকা রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে। ষ্ট্যেপল্টন সাহেব আমাকে জিজ্ঞাস করিয়া চিঠি লিখেন যে, কৈবৰ্ত্তের সাভারের রাজবংশীয় বলিয়। কি সূত্রে পরিচয় দিয়া থাকেন এবং ঠাহীদের এই দtধীর কোন প্রকৃত ভিত্তি আছে কিনা ৷ আমি দেখিলাম অনেকেই উtহীদের দাবী অগ্রাহ্য করিয়াছেন এবং উtহীদের কাহারও কাহারও মত ‘টাকা রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশ হইয়াছে কিন্তু আমি উক্ত সাহেবকে লিখিয়াছিলাম যে, এই দাবী নিতান্ত অমূলক নাও হইতে পাবে যে-হেতু হরিশচন্দ্রের পূর্বপুরুষেবা এক সময়ে বৈদ্যজাতীয় হইলেও র্তাহীর ধৰ্ম্মত্যাগী হওয়াতে স্বীয় সমাজে শেষে গৃঙ্গীত হন নাই। স্বতরাং উহাদিগকে বাধা হইয়া অপর কোন জাতির সঙ্গে মিশিতে হইয়াছিল। সাভারের নিকটবৰ্ত্তী নামার ও জয়মণ্ডপ প্রভৃতি গ্রামে কৈবৰ্ত্তগণ অত্যন্ত প্রতাপশালী । কৈবৰ্ত্তের; বলেন হরিশচন্দ্রের পুত্র না থাকতে রাজ্য ভাগিনেয়গণ উত্তরাধিকারসুত্রে পাইয়াছিলেন। কিন্তু শিলালিপিতে দেখা যাইতেছে যে, হরিশ্চন্দ্রের পুত্ৰ মহেন্দ্র ও সাভারে রাজত্ব করিয়াছিলেন । সম্ভবতঃ হরিশ্চন্দ্রের পরে কোন রাজা অপুত্রক থাকার কৈবৰ্ত্ত বংশীয় ভাগিনেয়গণ রাজ্যলাভ করিয়াছিলেন , কিন্তু যেরূপেই হউক এই সুত্রে কৈবৰ্ত্তদিগের নিজদিগকে পালবংশীয় বলিয়া যোষণ করার কোনও প্রমাণই পাওয়া যাইতেছে না । অtfম সৰ্ব্বতোভাবে মাহিষা জাতির উন্নতি কামনা করিয়া থাকি, তাহার। যদি ক্ষত্রিয় বলিয়। আপনাদিগকে প্রতিপন্ন করিতে পারেন তাহ হইলে আমি সুখী হইব, কিন্তু অসত্য ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠ স্থাপন করিতে ইচ্ছ। কর। ‘তাসের ঘর” নিৰ্ম্মাণের স্তায় । যদি তীtহার কোন বংশাবলী বাহির করেন তাহার উপর কোন জোর দেওয়া চলে না যেহেতু ঘরে ঘরে আমাদের যে-সব বংশাবলী অাছে তাহীর মধ্যেই নানরূৰ্ণ গোলযোগ দৃষ্ট হইয় থাকে । বিশেষ ব্রাহ্মণাদি কয়েক জাতির BD DBB BBB BBBB BBBB BBDDB BBBDD প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩e AMAAJJJJJJJJJJJMMMMMJJAJJMMMMMJMJJMMAMMMMMMMMMMSJJMMMMMMMM ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড কতকটা মূল্য আছে অপর সকল জাতির সেরূপ বংশাবলী রাখার সম্ভাবন ছিল না ষ্ট্যেপল্টন্‌ সাহেব দেখাইয়াছেন, অদ্বৈতাচার্য্যের তিন জায়গা হইতে তিন রকম বংশাবলী পাওয়া গিয়াছে । কোনটার সঙ্গে কোনটার মিল নাই। কুলীন ছাড় অপর কাহারও বংশাবলীর কিছু মাত্র নিশ্চয়ত নাই। বিশেষ ৪.০২ পুরুদ পর্যন্ত বংশাবলী কৈবর্তদের ঘরে যথাযথভাবে থাক একরূপ অসম্ভব। অন্ততঃ ৩• • বৎসরের প্রাচীন কোনও কাগজে কিংবা তালপত্রে যদি সেই বংশাবলীর কতকাংশ পাওয়া যায় তবে তাহ বিশ্বাসযোগ্য বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি, অগুখায় নহে ।” হরিশবাবু, দীনেশবাবুর উপর নির্ভর করিয়াই পালরাজগণকে মাহিষ্য বা কৈবৰ্ত্ত বলিয়াছেন। পাঠকগণ দীনেশবাবুর পত্রখনির প্রতি লক্ষ্য রাখিবেন । পালরাজগণ যে মাহিষ্য বা কৈবর্ত ছিলেন শ্রদ্ধাস্পদ অক্ষয়কুমার মৈত্রের মহাশয়ের গৌড়লেখমাল প্রভূতি বাংলার প্রামাণ্য ইতিহাসই একথার বিরোধী। কবিবর সন্ধ্যীকর নন্দী মহাশয়ের রামচরিতে দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের বিরুদ্ধে কৈবৰ্ত্ত প্রজাদের কত বিদ্রোহের কাহিনীই না বর্ণিত আছে! ক্রীযুক্ত রমীপ্রসাদ চন্দ মহাশয়েব গৌড়রাজমালায়ও ঐসব কাহিনী আছে । বল্লtলচরিতে আবার রাজ্যহীন পালগণকে ক্ষত্রিয়tধম ও কৈবর্তগণকে ८नौोरी, झ्लछोरौँ, छालर्छौी ইনশদ্র বলা হইয়াছে। ইহা ছাড়া সারনাথের ভগ্নস্তপ হইতে আবিষ্কৃত শিলালিপি, মুঙ্গেরে প্রাপ্ত তাঃশাসন, গৌড়লেখমালা, গৌড়রাজমাল ও রামচরিত প্রভৃতি পাঠে জানা যায় পালবংশীয় রঞ্জাদের সঙ্গে ভারতীয় বিভিন্ন বিশুদ্ধ ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈবাহিক সম্বন্ধ ছিল। দে-দিন আবীর মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপাল কলেজ লাইব্রেরীর হাতে-লেখা পুথি পড়িয়া বলিলেন, “পালরাজাদের সময় কেবল কৈবৰ্ত্তবের মন্ত্র দেওয়৷ হ’ত না ; তার মাছ ধৰ্বত, যার মাছ মারে তাদের কেমন করে মন্ত্র দেবে! কৈবৰ্ত্তেঞ্চ যতক্ষণ না মাছ মীর ব্যবস ত্যাগ করে, ততক্ষণ তাদের বৌদ্ধ করতে পারবে না এই ছিল নিয়ম। এইজস্ত কৈবৰ্ত্তের হয়ে গেল ছোট” । --প্রবর্তক, কাৰ্ত্তিক ১৩৩• । পালবংশীয় রাজগণ যে কৈবৰ্ত্ত ব৷ মাহিষ্য ছিলেন না প্রতি ছত্রে ছত্রে ইতিহাস ইহার সাক্ষ্য দিতেছে । পালরাজগণের মন্ত্রীগণ নাকি কৈবৰ্ত্তের ব্রাহ্মণ ছিলেন হরিশবাবু এরূপ কথাও লিখিয়াছেন। নিজ সমাজের গৌরব বাড়াইতে গিয়৷ ঐতিহাসিকের চক্ষে একরূপ উপস্থাসম্পদই হইয় পড়িয়াছেন। পালরাঞ্জ বংশের মস্ত্রিগণ যে শাকদ্বীপীয় ব্রাহ্মণ ছিলেন তাহা গয়া জেলায় প্রাপ্ত শিলালিপিতেই প্রমাণিত হইয়াছে।* মানরাজগণের সভ। পণ্ডিতগণের সহিত গৌড়ের শাকদ্বীপীয় ব্রাহ্মণদের যে বৈবাহিক সম্বন্ধ ছিল একথা তাঁহাতে স্পষ্টই আছে । অন্যদিকে মুঙ্গেরে প্রাপ্ত ( শকরাজাদের মুত্রীর অনুরূপ ) বিগ্রহ পালের মুত্র ও রিয়াজুল + নামক এক মুসলমান ঐতিহাসিকের ইতিহাস হইতেই প্রমাণিত হইয়াছে পালরাজবংশ শাকদ্বীপীয় ক্ষত্রিয় ছিলেন । হরিশ-বাবুর এ-সব বিষয় অবিদিত থাকিলে আমরা

  • গয়া জেলায় এমন কোন শিলালিপি পাওয়া যায় নাই যাহাতে লেখা আছে যে পালরাজাদের সকল মন্ত্রীই শাকদ্বীপীয় ব্রাহ্মণ ছিল । —প্রবাসীর সম্পাদক

+ রিয়াজুল বলিয়া কোন ঐতিহাসিক গ্রন্থ নাই। উহার নাম রিয়াজ উস-সালাতীন এবং এই গ্রন্থের কথা হিন্দু রাজ্যের সম্বন্ধে বিশ্বাসযোগ্য নহে ॥-প্রবাসীর সম্পাদক † পালরাজার যে জাতিতে ক্ষত্রিয় ছিলেন একথা ইতিহাসে বা শিলালিপিতে পাওয়া যায় না । ক্ষত্রিয় কোন ংশীয় চেদী