পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] এমুরোধ করি তিনি যেন গৌড়ের প্রামাণ্য ইতিহাসগুলি একবার পাঠ করেন । শ্ৰী দীনবন্ধু আচার্য। শ্ৰী গৌরহরি আচার্য্য • নাম অগ্রহায়ণের প্রবাসীতে (২১৪-১৫ পৃষ্ঠা ) শ্ৰীযুক্ত শাস্ত দেবী বাঙ্গালী মেয়েদের ( বিবাহিত অবিবাহিত নির্বিশেষে ) নামের পিছনে 'দেবী শব্দ সংযুক্ত করিবার যে প্রস্তাব করিয়াছেন তৎসম্বন্ধে আমার কিঞ্চিৎ বলিবার আছে । প্রথমেই বলিয়া রাখি, যে উদ্দেশ্য হইতে এই প্রস্তাবের উদ্ভব তাহার সহিত আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি আছে। স্ত্রীস্বাধীনতাকে পূর্ণাঙ্গ করিতে হইলে নারীকে সর্বাবস্থায় তাহার নাম অপরিবৰ্ত্তিত রাথিবীর অধিকার দেওয়া উচিত। কিন্তু শ্ৰীনাথ বম্বর কথ্য দুর্গাবতী বস্ত্র হরিনাথ মল্লিককে বিবাহ করিয়া দুর্গাবতী মল্লিক হইয় যান ( বাংলা দেশে লক্ষীরাণী মল্লিক হন না ) । তাহাকে আশৈশব দুর্গাবতী দেবী নাম দিয়া শ্রদ্ধের লেখিকা এই সমস্ত। মিটাইবার ,প্রয়াস পাইয়াছেন। কিন্তু ইহt খুব উৎকৃষ্ট উপায় মনে হয় না । এদেশের প্রাচীন যুগে নাম অনেক সহজ ছিল এবং স্ত্রীলোকের নামের পিছনে পিতা কিম্বা পতির পদবী যোজন করা হইত না—যথা, সীতা, সাবিত্রী ইত্যাদি। বৰ্ত্তমান সময়েও ভারতবর্ধের কোন কোন প্রদেশে পিতার সহিত পুত্রকস্তার নামের সাদৃগু নাই। এবং “অনেক জাতির লোকের পদবীহীন নামটুকু মাত্ৰ লইয়াই বেশ চলিতেছে" । লেখিকার প্রবন্ধ হইতে জানিতে পাই, তাহ হইলে স্ত্রীলোক মাত্রের নামের সহিত ‘দেবী এই কৃত্রিম শব্দের dead uniformity স্থষ্টি করিবার প্রয়োজন কি ? দুর্গাৰতী বিবাহের পূর্বে এবং পরে ‘শ্ৰীমতী দুর্গাবতী থাকিলে ক্ষতি ক আছে ? অথবা বিবাহের পরও যদি পতির পদবী গ্ৰহণ না করিয়৷ পিতার পদবী অর্থাৎ "বসু" লইয়াই থাকেন তাঁহাতে ক্ষতি কি ? 'দেবী যেমন ‘মক্সিক' নহে "বস্ক" ও তেমনি নহে ; সুতরাং হরিনাথ মল্লিকের স্ত্রী দুর্গাবতী বসু থাকিলে আপত্তির কারণ কি ? 'দেবী শব্দ ব্যবহারে অহিন্দুর আপত্তি থাকিতে পারে এবং তজ্জন্ত তাহ৷ সকলের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব হইবে না। কিন্তু পদবীঙ্গীন কিম্বা পিতার পদবীযুক্ত নাম ( বিবাহিত। মেয়ের ) ব্যবহারে কোন সম্প্রদায়ের আপত্তির কারণ নাই । স্বাধীনতা- ও স্বাতন্ত্র্য-প্রয়াসী বাঙ্গালী মহিলাগণ এই নুতনত্বের প্রবর্তন করুন ; ইহাতে সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যাইবে । শ্ৰী দীনেশচন্দ্র চৌধুরী “ব্যক্তিগত স্বাধীনতা চাই” মাঘের প্রবাসীতে “মফঃস্বলবাসী” স্বরাজ্যদলের চুক্তিপত্রের রচয়িত শ্ৰীযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ মহাশয়ের সম্বন্ধে কতকগুলি ব্যক্তিগত মত স্বচিত করিয়াছেন । প্রভৃতি অন্ত রাজবংশের সহিত পালরাজাদের বিবাহ-সম্বন্ধ ছিল বটে কিন্তু তাহারা নিজেদের ক্ষত্রিয় বলিয়। পরিচয় দিতেন না। রাজার সহিত রাজকদ্যার বিবাহ চিরদিনই হয় । অনার্ধ্য কোচবিহারের রাজবংশী জাতীয় রাজা vজিতেন্ত্রনারায়ণ ভূপের সহিত মিশ্রিত মারাঠা জাতীয় মাল্লাজিরাও গায়কোয়াডের কস্তার বিবাহ হইয়াছে, এই দুই জাতিই এখন ক্ষত্ৰিয়ত্বের দ্বাধী করেন। কিন্তু ইহাদিগকে পবিত্র আর্য্যবংশসস্তৃত ক্ষত্রির বলিতে কেহই ভরসা করেন না । আলোচনা—“ব্যক্তিগত স্বাধীনত চাই” SAASA SAASAAMSAMAAASA SSASAS SSAS SSAS SSASAM MASASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS Q రి বর্তমান নিবন্ধে দাশ মহাশয়ের রাষ্ট্রীয় আদর্শ সম্বন্ধে সমালোচক ষে কিরূপ ভ্রান্ত মত পোষণ করেন, তাহ প্রদর্শিত হইল। সমালোচক বলেন যে “ রাষ্ট্র সম্বন্ধে উtহার । দেশবন্ধুর ) ধারণা চতুর্দশ লুইর আদর্শ হইতে ভিন্ন নহে।” ফরাণী সম্রাট, চতুর্দশ লুই বলিয়াছিলেন, আমিই ত’ রাষ্ট্র" (Letat c'est moi)-কিন্তু দেশবন্ধুর কোন কথা হইতে প্রমাণিত হয় যে তিনি নিজেকেই রাষ্ট্র, বলিয়া ধারণ করেন ? সমালোচকের তাহ দেখাইয় দেওয়া দরকার । উiহার কোনো কার্য হইতে যে ইহার প্রমাণ আসে না তাহা পরে দেখান গেল । দেশবন্ধু বারংবার বলিয়াছেন যে তিনি চীন জনসাধারণের স্বরাজ । এই কথা গয়া কংগ্রেসে প্রদত্ত উtহার অভিভাষণে আছে। তিনি załąã qifswą sifgastega, socialism 8 centralization Štētā কাৰ্য্য-পদ্ধতির বাহিরে। তা ছাড়া নিজের দেশের পক্ষে কেহ যাহা ভাল বলিয়া বিবেচনা করেন তাহা করিবার স্বাধীনতা প্রত্যেকের আছে । সাধারণ ব্যক্তিরও যেমন ও-স্বাধীনতা আছে, তেম্নি দাশ-মহাশয়েরও আছে ৷ যে-সকল সদস্ত উক্ত রফানামাতে সম্মতি জ্ঞাপন করিয়াছেন তাহদেরও আছে । দেশকে ইহা গ্রহণ করিবার অনুরোধের অধিকারও সকলের অাছে। মিঃ দাশ ও তাহার সহযোগিগণ তাঁহাই করিয়াছেন। তাহার এই চুক্তিপত্র দেশের উপর চাপাইয়া দিতে চাহেন না । এই স্থলে এই বক্তব্য যে “must accept it" gè*f*f* wt«f efjgj εδτε •itta,— প্রথমতঃ নৈতিক অথবা দৈহিক বাধ্যতা অর্থে ; কিন্তু must শব্দের অপর অর্থ বক্তার মতের নিশ্চিততা জ্ঞাপন করে । সমালোচকের এই দ্বিতীয় অর্থ কেন গ্রহণ করিতেছেন না, তাহ বোঝা যায় না। কংগ্রেসে গৃহীত জাতীয় চুক্তিপত্র সম্বন্ধে মফঃস্বলবাসী বলিতেছেন, “উহা সৰ্ব্বাংশে দেশবন্ধুর প্রস্তাব অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ ।” কিন্তু একথা ভুলিয় গেছেন যে ঐ চুক্তিপত্রকে মুল স্বত্র বলিয়া ধরিয়া বঙ্গীয় প্যাক্ট গাথা হইয়াছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, জাতীয় চুক্তিপত্রে লোক-সংখ্যানুসারে প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচন এই বিধান দেওয়া হইয়াছে ; আর বঙ্গীয় মীমাংসাপত্রে দাশ মহাশয় খোলাখুলিভাবে এই নীতি অনুযায়ী শতকরা হার ( ss • e মুসলমান ও ৪৫০৫ হিন্দু ) কষিয়া দিয়াছেন । - সমালোচকের মতে “তথাকথিত মুসলমান স্বরাজ্য-সদস্তগণকে স্বীয় দলে রাথিবীর জন্ত বাধ্য হইয়। দেশবন্ধু ঈদৃশ রফীনামায় সম্মত হইয়াছেন, উtহার স্বাধীন বিচারবুদ্ধি দ্বারা প্রণোদিত হইয়। নহে ।" একথা সংক্ষেপে খণ্ডন করা যায়। হিন্দু ও মুসলমানের অবস্থ আলোচনা করিয়া দেখিলে এই বোধ জন্মে যে fusion দ্বারা হিন্দু মুসলমানের একতা প্রতিষ্ঠার আশা করা বাতুলত মাত্র । অতএব federation দ্বারা এই ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার। हूखिभप्ल उॉश३ कब्र ह३ग्रांप्इ । अश्न कब्रिहl cशारुष बच कब्रा যাইবে না। ইহার দৃষ্টাস্ত অনেক ঘটনা হইতে পাওয়া যায়। কিছুদিন পূর্বে আইন দ্বারা গোরক্ষার প্রস্তাব করতে বাঁকুড়ার কোন গ্রামে বিপরীত ফল ফলিয়াছিল। অতএব হিন্দু-মুসলমানের মিলন স্থাপন করিতে গেলে উভয় দলকেই কিঞ্চিং লাঘব স্বীকার করিতে হুইবে । দেশবন্ধু এই মত দ্বার চালিত হইয়াছেন। “নিজের প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখার জঙ্ক তিনি দেশবাসীর স্বাৰ্থ বলি দিয়াছেন।” কিন্তু মুসলমানরাও কি আমাদের দেশবাসী নহেন ? Totato communal representation দিলে কি হিন্দুর স্বার্থ নষ্ট হইয় যায় ? দেশবন্ধুর প্যাকূটে কি মুসলমানের tyranny হইতে হিন্দুর রক্ষার ব্যবস্থা নাই ? পরিশেষে সমালোচক বলেন যে “দেশবন্ধু সৰ্ব্বোপরি চান আপনার যা খুনী তাই করিবার