পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ e 8 স্ত্রীশিক্ষার উন্নতি ও বিস্তার বাংলার ও ভারতের অন্যান্য প্রদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সকলে যেরূপ শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহ নিখুত ও সৰ্ব্বাঙ্গীণ, এমন কথা কেহ বলেন না। কিন্তু যেমন আমাদের দৈনিক আহাৰ্য্য দ্রব্য যতদূর সম্ভব বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর এবং রন্ধন শ্রেষ্ঠ না হইলেও আমরা নিতা আহার করিয়া থাকি, সেইরূপ বর্তমান শিক্ষার পদ্ধতি এবং শিক্ষণীয় বিষয়সকল সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ও সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় না হইলেও আমরা সন্তানদিগকে বর্তমান শিক্ষালয়সকলে পাঠাইয়া থাকি। যেমন খাদ্যসংস্কার ও রন্ধন-সংস্কারের প্রয়োজন, তেমনি শিক্ষাসংস্কারেরও প্রয়োজন । কিন্তু যেমন খাদ্যসংস্কার ও রন্ধনসংস্কার সমাপ্ত না হওয়া পৰ্য্যস্ত কেহ উপবাসী থাকেন না, বা থাকিবার পরামর্শও দেন না, সেইরূপ শিক্ষাসংস্কারও সম্পাদিত না হওয়া পৰ্য্যন্ত সস্তানদের শিক্ষণ বন্ধ রাখা চলিতে পারে না। ছেলেদের পক্ষে যেমন এইসব কথা সত্য, মেয়েদের পক্ষেও তেমনি ইহা সত্য । ইস্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছেলেদের শিক্ষার সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট স্থান নহে বলিয়া যেমন ছেলেদের শিক্ষা আমরা বন্ধ রাখি নাই; তেমনি ঐ শিক্ষায়তনগুলি মেয়েদের শিক্ষার ঠিক উপযোগী না হইলেও মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ রাখা চলে না। অনেক শিক্ষণীয় বিষয়: আছে, বাহা জ্ঞানলাভ, জীবনযাত্রানিৰ্ব্বাহ এবং চরিত্রগঠনের জন্য ছেলে মেয়ে.উভয়েরই সমান শিক্ষণীয়। তদ্ভিন্ন ছেলে বা মেয়েদের বিশেষ ভাবে শিক্ষণীয় অনেক বিষয়ও আছে । মেয়েদেরও যে কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা দরকার, তাহা অল্পদিন পূৰ্ব্ব পর্য্যন্তও দেশাচার ও লোকচিারনিষ্ঠ হিন্দুগণ কাজে বা কথায় স্বীকার করিতেন না। কিন্তু র্তাহীদের মধ্যেও চিন্তাশীল লোকেরা এখন নারীদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন অনুভব করিতেছেন । বারাণসীর ন্দুিবিশ্ববিদ্যালয় বিশেষভাবে হিন্দুদেরই শিক্ষায়তন । উহার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলার পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয় দেশাচার ও লোকচিারনিষ্ঠ এবং শাস্ত্রজ্ঞ। তিনি উহার গত প্রবাসী- ফাল্গুন, ১৩৩e MSMSeAeeMAeSAAAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAeMAMAeMM A S M S SeS eM AeAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAAeM AeS AM AeS MMMeMMSMMS MSMSMAeAeMAeMAMASAMMAM AAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAAMMSAAAAAA AAAA AAAAMSAAAAAAAS [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড উপাধিবিতরণ সভায় বলেন, যে, হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রীগণ একই শ্রেণীতে একই কক্ষে একই অধ্যাপকের নিকট শিক্ষালাভ করেন ; বোম্বাইয়ের প্রসিদ্ধ বণিক শ্ৰীযুক্ত খাটাউ মাকনজি মহাশয়ের বদান্ততায় শীঘ্রই হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাস নিৰ্ম্মিত হুইবে, এবং তাহাতে একশত ছাত্রীর স্থান হুইবে । দেশের লোকেরা স্ত্রীশিক্ষায় ঘথেষ্ট মনোযোগী নহেন বলিয়া মালবীয় মহাশয় দুঃখ প্রকাশ করেন। নারীদের উচ্চশিক্ষা সম্বন্ধে আর একজন শাস্ত্রজ্ঞ অtচারনিষ্ঠ ব্রাহ্মণের মত উদ্ধৃত করিব । তাহা অারও উৎসাহজনক। কারণ মলিবীয় মহাশয় সম্বন্ধে কেহ কেহ একথা বলিতে পারেন, যে, তিনি শাস্ত্রজ্ঞ ও আচারনিষ্ঠ হইলেও, পাশ্চাত্যশিক্ষা প্রাপ্ত বলিয়া বিকৃতমস্তিষ্ক । কিন্তু মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত প্রমথনাথ তর্কভূষণ মহাশয় সম্বন্ধে সে-কথা বলা চলে না । অধিকন্তু, তিনি নারীজাতির উচ্চশিক্ষার বিরোধী বাঙালী হিন্দুসমাজেরই লোক ; পুৰ্ব্বে কলিকাতার সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। গত পৌষ মাসে প্রয়াগে উত্তরভারতীয় বঙ্গসাহিত্যসম্মিলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতিরূপে তিনি যে অভিভাষণ পাঠ করেন, তাহাতে তিনি বলেন :– সাহিত্যই জাতীয় জীবনের স্বদ্বট ও স্বপ্রশস্ত ভিত্তি-জননী বঙ্গভূমিতে বিরাট ভাবের বস্তাবহিয়াছে, সেই বস্তার প্রবাহে যে বিরাট, বিশ্ববিস্ময়কর বাঙ্গলা-সাহিত্য-সাগর ক্রমেই উদ্বেল ভাব ধারণ করিতেছে, সেই মহাসাগরে মিলিত হইবার জন্ত উত্তরভারত-প্রবাসী বাঙ্গালীর ভাবভাগীরথী স্বষ্টি করিতে হইবে । উত্তরভারতীয় বঙ্গসাহিত্য-সন্মিলন ভগীরথের আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়া মঙ্গল-শঙ্খধ্বনি করিবার জন্ত ত্রিবেণীসঙ্গমে, অবগাহন করিয়াছে-এই শস্থের গভীর ধ্বনিতে যদি প্রবাসী বাঙ্গাষ্ঠীর হৃদয়ে সাড়া পড়ে তবে তাহাই আমাদিগের নব জাতীয় জীবনের জাগরণ হইবে। প্রবাসে বাঙ্গালীর এই নব জাগরণ যেন কে ল পুরুষের জাগরণেই পরণত না হয় । জাতীয় সাহিত্যের দ্বারা জাতীয় জীবন সংস্থাপন করিতে হইলে সৰ্ব্বাগ্রে কুলললনগণের শিক্ষা ও চরিত্রগঠন একান্ত আবশ্বক। প্রবাসী বাঙ্গালী কবিই আমাদিগকে প্রথমে শিখাইয়াছেন, প্রায় অৰ্দ্ধ-শতাব্দী পূৰ্ব্বে তিনিই প্রথমে গাহিয়াছেন— “ন। জাগিলে আর ভারত ললন— এ ভারত আর জাগে না জাগে না।” আমার মনে হয় আমাদের এই সাহিত্যসম্মিলনের—এই উত্তরভারতের রাজধানী প্রয়াগে বাঙ্গালী মহিলtfদগের জঙ্ক একটি সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর উচ্চবিদ্যালয় বা কালেজ স্থাপনই সৰ্ব্বপ্রথম কাৰ্য্য হওয়া উচিত। কেবল বৎসরাস্তুে মিলিত হইয়া সুচিস্তিত কয়েকটি প্রবন্ধ পাঠ