পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጫ»:: হইয়া দাড়াইত। প্রায় সকল দেশেই মুদ্রার সংখ্যার উপর হস্তক্ষেপ করা ও তাহা সীমাবদ্ধ করা হয়। অথবা তাহা সোনার সহিত কোন নির্দিষ্ট সম্বন্ধে আবদ্ধ। যথা, মান মুদ্রায় (স্টাণ্ডার্ড, কয়েনে ) কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা থাকিবে, অথবা মান মুদ্রার পরিবর্তে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা মুদ্রক (গবর্ণমেণ্ট, অথবা অপর কেহ ) দিতে বাধ্য থাকিবেন। মুদ্রার ক্রয়শক্তির উপরই বলিতে গেলে তাহার মুদ্রাত্ব নির্ভর করে ; এবং এই ক্রয়ুশক্তি ঠিক রাখা বিশেষ শক্ত ব্যাপার। কেননা, শুধু মুদ্রার সংখ্যা ঠিক রাখিলেই তাহার ক্রয়ুশক্তি ঠিক থাকে না । সমাজে ষত ক্রয়বিক্রয় হয়, তাহার তুলনায় মুদ্রার সংখ্যা ঠিক থাকা প্রয়োজন । যথা, অধিক ক্রয়বিক্রয় হইলে অধিক মুদ্রার প্রয়োজন ; নচেৎ ক্রয়বিক্রয়ের তুলনায় মুদ্রা কম হইয়া যাইলে তাহার ক্রয়ুশক্তি বাড়িয়া যাইবে, অর্থাৎ সকল দ্রব্যের মুদ্রার মূল্য কমিয়া যাইবে । ক্রয়বিক্রয়ের তুলনায় মুদ্র অধিক হইয়া গেলে মুদ্রার ক্রয়শক্তি কমিয়া যাইবে, অর্থাৎ সকল দ্রব্যের মুদ্রায় মুল্য বাড়িয়া যাইবে স্বতরাং মুদ্রার ক্রয়শক্তি অপরিবৰ্ত্তিত রাখিতে হইলে প্রয়োজনমত মুদ্রার সংখ্যা কমাইতে বা বাড়াইতে পারা প্রয়োজন। মুদ্রার ক্রয়ুশক্তি অপরিবৰ্ত্তিত না থাকিলে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের বিশেষ লাঘব হয়। যথা, ৫০২ টাকা বেতনের কেরানী হঠাৎ দেখিতে পারেন, যে, তাহার বেতনের টাকায় আর পূৰ্ব্বের মত জীবনযাপন সম্ভব হইতেছে না ; ব্যবসাদার দেখিতে পারেন, যে, সকল দ্রব্য অকস্মাৎ ছ"ল্য হইয়া যাওয়ায় তাহার চুক্তি রক্ষা করিতে গিয়া প্রাণসংশয় হইতেছে ; অথবা মুদ্রার ক্রয়শক্তি বাড়িয়া গিয়া দেনাদারের সর্বনাশ ও পাওনাদারের পৌষমাস হইতে পারে। মুত্রার ক্রয়শক্তি কমিতে স্বরু করিলে (অর্থাৎ সকল দ্রব্যের মুদ্রায় মূল্য বাড়িতে স্বরু করিলে ) বেতনভোগী ও নির্দিষ্ট আয়ের মালিকদিগের অবস্থা 'বিশেষ খারাপ হয়। এই জাতীয় লোকও সংসারে জাছে অনেক । কাজেই মুদ্রার ক্রমুশক্তি অপরিবর্তিত রাখার চেষ্ট সকল দেশেই হয় ও হওয়া উচিত। ইহা প্রবাসী-কান্ডন, ১৩৩ ৷ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড" AeASAMAeMAeeAeMAeMAAAS ഹപതുസ്~് शंजैङ মুদ্রার ক্রয়শক্তির পরিবর্তনের সহিত বেতনের পরিমাণের পরিবর্তন চেষ্টাও প্রায় সৰ্ব্বত্রই হয় । কেবল ভারতবর্ষে এ বিষয়ে চেষ্টা অল্পই হইয়াছে। এমন কি দেখা যায়, যে, সাধারণভাবে সকল দ্রব্যের মূল্য ১৮৭৮ খঃ অকে। ১৮৭১ খৃঃ অঃ অপেক্ষ শতকরা ৫০ বাড়িাছিল ; কিন্তু বেতনের হার কিছু বরং কমিয়াছিল । ১৮৯২ খৃ: অন্ধে ও সকল প্রব্যের মূল্য ১৮৭১ খঃ অব্দের তুলনায় শতকরা ৪০ এর অধিক বাড়িয়াছিল। কিন্তু বেতন বাড়িয়াছিল মাত্র শতকরা ১০ । যুদ্ধের সময় ও পরেও অনেক ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির সহিত বেতনবৃদ্ধির কোন সামঞ্জস্ত থাকে নাই। কিন্তু বেতনভোগী প্রভৃতির কষ্টের লাঘব করিবার চেষ্টা করিবে কে ? এ বিষয়ে গভর্ণমেণ্টের প্রায় সকল শক্তিই ইংলণ্ডের মূদ্রার সহিত আমাদের দেশের মুদ্রার বিনিময়ের হার অপরিবর্তিত বা যতদূর সম্ভব স্থির রাখিবার জন্য ব্যয় করা হয়। এই আন্তর্জাতিক মুদ্র বিনিময়ের হার ঠিক রাখিবার জন্য একটি নির্দিষ্ট পুজি বা ফও আছে। টাকা মুদ্রণের লাভ হইতেই এই পূজির স্বষ্টি । ইহার সাহায্যে পাউণ্ডের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিবার ও টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাউণ্ড দিবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভারতের অভ্যস্তরে টাকার ক্রয়শক্তি অপরিবৰ্ত্তিত রাখিবার চেষ্টা বিশেষ আমরা দেখি না। তাহার কারণ, দেশাভ্যস্তরস্থিত বাণিজ্য অপেক্ষা ইঙ্গ-ভারতীয় বাণিজ্যের প্রতি গভর্ণমেণ্টের অধিক আসক্তি। টাকার ক্রয়ুশক্তি স্থির রাখিবার চেষ্ট ভাল করিয়া হইলে সম্ভবতঃ এক সঙ্গে দুই দিক রক্ষা হয়, কিন্তু আমাদের গভর্ণমেণ্টের তাহা হইলে বোধ হয় ‘প্রেষ্টিজ’ ও ‘পলিসি’ বজায় থাকে न] । एव নোটের মালিকের সম্পত্তি বিক্রয় ভারতবর্ষে যত নোট আছে, তাহার মালিকগণ পড়িয়া দেখিবেন, যে, নোটের উপর উহার পরিবর্তে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিবার অঙ্গীকার লিখিত আছে। যথা, ১০ টাকার নোটের উপর লিখিত আছে, যে, ভারত গভর্ণমেণ্ট, উহার পরিবর্তে দশ টাকা দিতে প্রস্তুত