পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা স্ট্র বেসরকারী ইংরেজ পক্ষ হইতে প্রশ্ন হইয়াছে যে, গবর্ণমেণ্ট, এইসকল প্রস্তাব অনুসারে কাজ করিলে প্রস্তাবক ও সমর্থকগণ কি এরূপ কথা দিতে পারেন, যে, দেশে রাজনৈতিক খুনখারাবী আর হইবে না ? তাহার উত্তরে জিজ্ঞাসু করা যাইতে পারে, যে, ঐসব প্রস্তাব অনুসারে কাজ করিতে না বলিয়া যদি আমরা গবর্ণমেণ্ট কে বলি, “আপনাদের যা ইচ্ছা তাই করুন ; কিন্তু তাহা হইলে আপনারাই কি দেশে রাজনৈতিক খুনখারাবী ডাকাতী হইবে না বলিতে পারেন ?” বস্তুতঃ দেশের রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক, এবং শিক্ষাবিষয়ক অবস্থা ও ব্যবস্থা অপরিবর্তিত থাকিবে, পুলিসের গুপ্তচরদের প্ররোচনা থাকিবে, অথচ কোন উপদ্রব ঘটবে না, এমন প্রতিশ্রুতি কেহ দিতে পারে না। নাম করিয়া দু'দশজনের কথা বলিলে বরং বলা যায়, যে, তাহদের ভবিষ্যৎ সদাচরণের জন্য দায়ী হইলাম, কিন্তু কোটি কোটি লোকদের মধ্যে কেহই নিজের মস্তিষ্কবিকৃতি দুবুদ্ধি বা উত্তেজনার বশে কিম্বা অপরেরপ্ররোচনায় আইন ভঙ্গ করিবে না, এরূপ কথা দিবার ক্ষমতা কোন মাছুষের নাই, অতিমানব কেহ থাকিলে তাহার কথা স্বতন্ত্র । ইহা অামরা স্বীকার করি, যে, আমাদের মত সাধারণ লোকদের এবং নেতাদের—সকলেরই দেশকে নিরুপঞ্জব ও অহিংস করিবার চেষ্টা করা উচিত। মহাত্মা গান্ধী খুব চেষ্টা করিয়াছিলেন । কিন্তু গবর্ণমেণ্ট, তাহাকে দু'বৎসর জেলে বন্ধ করিয়া রাথিয়ছিলেন ! তা ছাড়া, চর মনাইরে যেরূপ কাও ঘটাছে, সেরূপ কাণ্ডে মর মামুষেরও রক্ত গরম হয় । সরকার পক্ষ হইতে এবিষয়ে যথেষ্ট প্রতিকার-চেষ্টা হয় নাই । হিন্দু মহাসভা প্রয়াগে গত ২০শে মাঘ হইতে হিন্দু মহাসভার বিশেষ অধিবেশন হইয়াছিল । পণ্ডিত মদনমোহন মালদ্বীয় সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত হইয় তাহার অভিভাষণে বলেন, যে, অস্পৃশ্য জাতিদিগকে সমাজে তাহাদের যথাযোগ্য স্থান . দিবার সময় আলিয়াছে । খবরের विविथ धन्त्र-हिन्नू भशंगउ ৭২১ AMAMMAM AA AeMAMMA AMA S AM MMM AMMAMMAMMA MM MMAe AeMAeeAMS AAAAA AAAAA - میرسخه কাগজে এই সংক্ষিপ্ত মন্তব্য পড়িয়া বুঝা গেল না, যে মালবীয়জীর মতে এই যথাযোগ্য স্থানটি কি । “অস্পৃশু" জাতির লোক খৃষ্টিয়ান বা মুসলমান হইলে ঠিক অন্ত খৃষ্টয়ান বা মুসলমানদের মত "পৃশ্ব” ও “আচরণীয়" হয় ; সামাজিক ক্রিঃাকলাপে, ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে, ভগবদারাধনায় তাহাদের স্বধৰ্ম্মী অন্য লোকদের সমান অধিকার ও স্থান হয়। স্বতরাং হিন্দু সমাজের নেতারা যদি মনে করেন, যে, “অস্পৃশ্বে”র তাহদের কৃপাম্প্রদত্ত সামাঙ্ক কিছু পাইয়া সন্তুষ্ট থাকিবে, তাহা হইলে তাহারা মহাভ্রমে পতিত হইয়া আছেন । ধৰ্ম্মবুদ্ধি বলে, “অস্পৃশু"দিগকে পুরামাত্রায় মহিষ বলিয়া গণ্য কর ; সাংসারিক বুদ্ধিও বলে, তাহাদিগকে পূরামাত্রায় মানুষ বলিয়া গণ্য কর । তাহা না করিলে হিন্দু সমাজ অপরাধী ও ক্ষতিগ্রস্ত হইবেন । মহাসভার অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবগুলির মধ্যে বর ও কন্যার বিবাহের বয়স বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব ছিল । কিন্তু নূনতম বয়স কত ধার্ঘ্য হইল জানিতে পারি নাই। কন্যার বয়স অন্তত: ষোল হওয়া উচিত। “অস্পৃশ্বেরা” সাধারণ সভায় স্থান পাইবে, যে-সব স্কুলে অহিন্দু বালক বালিকারাও পড়ে সেখানে স্থান পাইবে, এইরূপ স্থির হইয়াছে । কিন্তু যেখানে কেবল হিন্দু বালকবালিকার পড়ে, সেখানে কি তাহারা পড়িতে পাইবে না ? দেবমন্দিরের মালিকদিগকে এইরূপ অমুরোধ করা হইয়াছে, যে, তাছারা যেন “অস্পৃশু"দিগকে বিগ্রহ দর্শনের যথাসম্ভব হুবিধা দেন। হিন্দুব্যতীত অন্য ধর্মের লোকেরা নিজ সম্প্রদায়ভুক্ত সকল শ্রেণীর লোকদিগকে সাক্ষাৎ ভগবদীরাধানার অধিকার দিয়া রাথিয়াছেন ; তাহার তুলনায় মহাসভার অনুগ্রহ অকিঞ্চিৎকর । আজকালকার. দিনে অনুগ্রহে সন্তুষ্টই বা থাকিবে কে এবং কতদিন ? এখন সব মানুষই মানবিক অধিকার চাহিতেছে, এবং তাঁহা ন্যায্য, স্বাভাবি ক্ষ ও ধৰ্ম্মসঙ্গত । মহাসভা সৰ্ব্বসাধারণকে অমুরোধ করিয়াছেন, যেন “অস্পৃশ্ব"গণের জল আহরণের কষ্ট দূর হয়, এবং আবশ্বক হইলে তাহাদের জন্য আলাদা কুপের বন্দোবস্ত যেন