পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা? যে গভীর সমবেদনায় অষ্ট্রপ্রাণত হইয়া টমাস হুড,তাহার Bridge of Sighs afW* *ß\sta frftatfktwa ‘Alas for the rarity Of Christian charity Under the sun I' এবং রবীন্দ্রনাথ পতিতা’র মুখে বলাইয়াছেন “দেবতারে মোর কেহ ত চাহেনি নিয়ে গেল সব মাটির ঢেলা' । তাহা অতি শ্রদ্ধার জিনিষ। ঋষ্যশৃঙ্গকে দেখিয়া পতিতা নামী বলিয়াছিল, যে, পূত ব্ৰহ্মচারী ঋষিকুমার তাহার অন্তরের দেবতাকেই দেখিয়াছে। সেইজন্য র্তাহার সংস্পর্শে আসিয়া সে নবীন জন্ম লাভ করিয়াছিল, এবং বলিতে সক্ষম হইয়াছিল— ‘তোমার পূজার গন্ধ আমার মনোমন্দির ভরিয়া ব্ল'বে,-- o সেথায় দুয়ার রুধিস্থ এবার যতদিন বেঁচে রহিব ভবে ।’ বস্তুতঃ যিনি পতিতা নারীর মধ্যে ভগবানের স্বরূপ দেখিতে পান, সেই মহাপুরুষই পতিতোদ্ধার ব্রত গ্রহণ করিতে সক্ষম। বুদ্ধ হইতে পারলেই বারবনিতা আম্রপালীর গৃহে আতিথ্যগ্রহণ ও তাহাকে নারীসংঘেব নেতৃত্বপদে আসীন করিতে পারেন। যীশু এই দেহকে ভগবানের মন্দির বলিয়া জানিতেন, এবং সাধারণ লোকের পক্ষে সৰ্ব্বতো ভাবে সেই মন্দিরের পবিত্রত রক্ষা করা কত কঠিন তাহা বুঝতেন বলিয়াই ম্যাড লীনের প্রতি র্তাহার উদার আচরণ বিশ্বচিত্তকে মুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছে । - পতিত রমণীর পাতিত্যের জন্য সমাজই বহুল পরিমাণে দায়ী, ইহা অতি সত্য কথা । আমাদের দেশে সমাজ স্ত্রীজাতিকে শিক্ষায় বঞ্চিত রাখিয়া, অপরিণত বয়সে তাহার ইচ্ছা বা মঙ্গলের প্রতি দৃষ্টি না করিয়া, তাহার বিবাহ দেয় এবং অকালবৈধব্যের কোন বৈধ প্রতিকারের ব্যবস্থা করে না । এরূপ স্থলে প্রেমের স্বপ্ন বা প্রবৃত্তির তাড়না যদি কাহাকেও কুপথে পরিচালিত করে, তাহাকে সৎপথে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ বা সুবিধা দেওয়া সমাজের অবশ্ববর্তব্য। বিশু এইসবল পতিতাদের উদ্ধাররত বিবিধ প্রসঙ্গ-পতিতার উদ্ধার

  • へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ

৭২৩ গ্রহণ বড় কঠিন কাজ—সেজন্য স্বয়ং সংযমী ও পবিত্ৰচেতা হওয়া আবগুক, সমাজশরীরের দুষ্টক্ষতগুলি অস্ত্রোপচার দ্বারা দূর করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হওয়ার সাহস, ধৈর্য্য, অধ্যবসায়, ত্যাগস্বীকারপ্রবৃত্তি ও আগ্রহ চাই। নতুবা আগুন লইয়া খেলাইতে চাওয়া উচিত নয়, নিবাইতে গিয়া পুড়িয়া মরিবার সম্ভাবনাই বেশী থাকে। কারণ, গীতাকার বলিয়াছেন— “চঞ্চলং হি মনঃ কৃষ্ণ! প্রমাথি বলবদ্ধৃঢ়ং। তস্তাহং নিগ্ৰহং মন্যে বায়োরিব স্বন্ধুক্ষরং ॥” শোভাযাত্রায় যে পতিতাদিগকে সৰ্ব্বলোকচক্ষুর গোচর করিম জনসমাজে প্রকাশ করা হয় তাহারা কেহ স্বীয় বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়াছে বলিয়া জানা যায় নাই ; পূৰ্ব্বেও তাহাদের যে জীবিকা ছিল, পরেও তাঁহাই থাকে। যে আত্মবিক্রয়ুরূপ ব্যবসায় দ্বারা তাহারা জীবিকা-সংস্থান করে, তাহা যে অত্যন্ত পাপজনক ও গর্হিত, ইহা সৰ্ব্ববাদীসম্মত । যাহারা নীতিবিরুদ্ধ জঘন্য বৃত্তি দ্বারা জীবিকা নিৰ্বাহ করে, যতদিন তাহারা সেই বৃত্তি পরিত্যাগ না করে, ততদিন তাহtrদর অস্পৃশ্য থাকাই সমাজের পক্ষে হিতকর । মেথর ও গণিকাদিগকে এক শ্রেণীভুক্ত করিলে মেথরদের প্রতি অত্যন্ত অবিচার করা হয়। মেথরগণ যে কাজ করে, তাহী সমাজের পক্ষে অত্যাবশ্যক, তাহাতে কোন নৈতিক দেযসংস্পর্শ নাই । মেথর বলিয়াই তাহাদিগকে অশুচি মনে করা অন্যায়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিলে তাহীদের বৃত্তি অন্য সৰ্ব্ববিধ সাধুবৃত্তির সঙ্গে গণিত হইবার যোগ্য । যাহারা জাতিহিসাবে কোন পাপাচরণ করে না, কেবল এরূপ বৃত্তি অনুসরণ করে, যাহা লৌকিক আচারে হেয় ও অপবিত্র বলিয়া বিবেচিত হয়, তাহাদের সম্বন্ধেই অস্পৃশ্যতা ন্যায়বিরুদ্ধ । বারবনিতাবৃত্তি কেবল লোকমতাচুলারে হেয় নহে, নৈতিক হিসাবেও উহা হেয়তম । পতিতাদিগকে শোভাযাত্রার জঙ্গীভূত করার উদ্দেশ্য তাহীদের চরিত্রসংশোধন নহে। স্বতরাং প্রকাখ্যভাবে তাহাদিগকে "চল করিয়া লওয়া ন্যায়বিরুদ্ধ ও দুর্নীতির পরিপোষক । e ইহা খুবই সত্য যে সমাজে যাহারা সাধু বলিয়া পরিচিত এবং যাহাঁদের প্রকাগু বৃত্তি নিন্দনীয় নহে,