পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৮ AM MAeAeSAMSAeS AAAAAS AAASASAAAAAS AAAAA AAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS S AAAAA MM SSSSS SA 3. র্তাহাদের সাহিত্যকে নূতন সম্পদ দিয়া গেছে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর শ্ৰীযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ বস্ব মহাশয়ের প্রস্তাবে ও ত্রযুক্ত বাবু যোগেন্দ্রচক্স মুখুয্যের সমর্থনে ইহা স্থিরীকৃত হয় যে হিন্দুস্কুল • মধুসূদন-স্মৃতিসমিতি নামে একটি সমিতি গঠিত হইবে ও এই সমিতি মধুসূদনের স্মৃতিরক্ষার ব্যবস্থা করিবেন। সভাপতি মহাশয় সভাস্থলে তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যের পাণ্ডুলিপি দেখান। এই পাণ্ডুলিপি মাইকেল vযতীন্দ্রমোহন ঠাকুরকে উপহার দেন। যতীন্দ্রমোহন উহ সযত্নে বঁাধাইয়া পরমশ্রদ্ধার সহিত নিজের গ্রন্থাগারে রাখিয়াছিলেন। এই পাণ্ডুলিপির সবটাই মধুসূদনের স্বহস্তে লিখিত নয়, খানিকট। তাহার সংস্কৃত-পণ্ডিতের লেখা । ঐ দিন সাহিত্যপরিষদে যে সভা হয় সে সভায় মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় সভাপতির আসন গ্রহণ করেন । কবির জীবনী-লেখক শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ সোম মহাশয় কবির জীবন ও কাব্য সম্বন্ধে এক প্রবন্ধ পাঠ করেন। সভাস্থলে কবির উদ্দেশে রচিত কয়েকটি কবিতাও পঠিত হয়। আধুনিক বাংলার প্রথম বড় কবি মধুসূদনের স্মৃতির উদ্দেশে আহুত সভার আয়োজন যে ইহা অপেক্ষা ভাল করিয়া করা উচিত ছিল তাহা না বলিলেও চলে। কিন্তু আয়োজনই সব নয়, এ-সব বিষয়ে লোকের আগ্রহের অভাবই বিশেষরূপে লক্ষ্য করিবার জিনিষ । আমাদের জাতীয় জীবনের স্রোত যে কত মন্দবেগে বহিতেছে তাহা ইহা হইতেই বোঝা যায়। অন্তদেশ হইলে এরূপ একটা ঘটনায় দেশব্যাপী উৎসব লাগিয়া যাইত ; কবি যেখানে যে-স্থানে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন সেখানে দেশের অনেকে সমবেত হইতেন । কিন্তু তাহ হইল কই ! মধুসূদন এককালে হিন্দুস্কুলের ছাত্র ছিলেন তাই হিন্দুস্কুল একটু আয়োজন করিয়াছিল । বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ বাঙালীর ছাই ফেলিতে ভাঙ্গণ কুলা আছে সেখানে নমোনম করিয়া কোনরূপে ববির মানরক্ষা করা হইল। কিন্তু হিন্দুস্থল ছাড়াও এই প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩৩• { २७* छां★, २ग्न ६९ مع حمیہ بمعیے کی حیہ কলিকাতারই অন্যান্য স্থানের সহিত কবির স্মৃতি বিজড়িত আছে । আর ত কেহ কিছু করিল না । তিনি এখানে হাইকোর্টে ব্যারিষ্টারি করিতেন ; সেখানে কোন সাড় শব হইল কই । কবি পুলিশকোর্টে দোভাষীরূপে কিছুকাল কাজ করিয়াছিলেন ও ব্যাঙ্ক শালের স্থানান্তরিত পুলিশকোর্টের ভিতর এখনো তাহার চিত্ৰ আছে। সেখানেও কবির জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার কালে কেহ ইহা বলিয়৷ একবার গৰ্ব্বও প্রকাশ করিল না যে, কবি একদিন আমাদের এই আদালতে কাজ করিতেন । গ্ৰীক পুরাণ-কথায় লিখিত আছে যে, সঙ্গীত কবিতা প্রভৃতি কলাবিদ্যার অধিষ্ঠাতৃদেব অ্যাপোলো একবার নয় বৎসর কাল অন্য দ্য মেষ-পালকের সঙ্গে ফেরা এ নগরে { কাছে অ্যাড মেটাসের মেষ চরাইয়াছিলেন। পরে যখন অ্যাপোলো সেখান হইতে তিরোহিত হন তখন মেষপালকেরা তাহার স্মৃতি লইয়া কত গৰ্ব্ব করিত। “এইখানে এই পাথরের উপর তিনি বসিতেন, এমনি করিয়া বশী বাজাইতেন” এইসব কথা বলিয়া ও স্মণ করিয়া তাহার কত গৰ্ব্ব ও স্থখ অনুভব করিত। আমাদের মধুসূদন একদিন বার-লাইব্রেরী ও পুলিশ আদালতরূপ মরুভূমিতে মক্কেল চরাইতে গিয়াছিলেন। কিন্তু সেখানে এখনকার মক্কেলচারকগণের তাহার স্মৃতি-বিজড়িত গৰ্ব্ব ও তৎসম্পর্কিত সুখ অনুভব করিবার ক্ষমতা আছে কিনা তাহার কোন প্রমাণ পাওয়া গেল না। র্তাহার জন্মস্থান সাগরদাড়ী গ্রামে সমগ্র বঙ্গবাসীর তীর্থযাত্র হওয়া দূরে থাকুক সামান্ত একটু মেলা কিস্ব অন্য কোন উৎসব দ্বারা এই স্মরণীয় দিনটিকে সেখানকার পল্লীর একটানা জীবনস্রোতে চিহ্নিত করিবার কোনরূপ আয়োজনের কথা এখন পৰ্য্যস্ত শোনা যায় নাই। কলিকাতার সংবাদপত্র মহলেও খুব বেশী আন্দোলন উপস্থিত হয় নাই। যে অমৃতবাজার এককালে 'ছুছুন্দরীবধ কাব্য’ প্রকাশ করিয়া কবির প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে যোগ দিয়াছিল সেই অমৃতবাজার কবির প্রশংসা-সুচক দু’তিনটি প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়:ছিলেন ও বাংলা আনন্দবাজার একটি বিশেষ আলোচনা পূর্ণ সংখ্যা বাহির করিয়াছিলেন এই যা স্বথের বিষয় । ঐ অশ্বিনীকুমার ঘোষ