পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qöo জবুঝ তোরা, তাছারে বুঝি দূবের পানে ফিরিদ খঙ্গি’ ; বাহিরে জাথি বাধা, প্রাণের মাঝে চাহিদ না যে তাই ত গাগে ধাধা। পুলকে-র্কাপা কনক-চাপা বুকের মধু-কোষে পেয়েছে দ্বার নাড়া, এমন করে কুঙ্ক ভরে সহজে তাই ত সে দিয়েছে তা"রে সাড়া । সহসা বন-মল্লিকা যে ছুয়েছে তারে আপন মাঝে, ছুটিয়া দলে দলে “এই যে তুমি, এই যে তুমি” আঙ ল তুলে বলে । পেয়েছে তা’র, গেয়েছে তা'রী, জেনেছে ত "ির সব আপন মাঝখানে, প্রবাসী=চৈত্র, ১৩ee [ २७ल छांशृं, २$ १e তাই এ শীতে জাগালো গীতে বিপুল কলরব | विष-दिशैब उोहम । ওদের সাথে জাগ, রে কৰি, হৃখকমলে দেখ, সে ছবি, . ভাণ্ডক মোহ-ধোৱ । বনের তলে নবীন এল, মনের তলে তোর । আলোতে তোরে দিকু ন ভরে ভোরের নব রবি, বাজ রে বীণা, বাজ ! গগন-কোলে হাওয়ার দোলে ওঠ রে জুলে’, কবি, ফুরালে তোর কাজ ! বিদায় নিয়ে যাবার আগে পড়ুক টান ভিতর বাগে, বাহিরে পাস ছুটি । প্রেমের ডোরে বঁাধুক তোরে বাঁধন যাক টুটি ৷ শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপনিষদের ব্ৰহ্ম উপনিষৎসমূহ সমসাময়িক নহে ; ভিন্ন ভিন্ন উপনিষৎ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রচিত হইয়াছিল । বিভিন্ন উপনিষদে বিভিন্ন ঋষির মত বর্ণিত হইয়াছে ; এমন কি একই উপনিষদে ভিন্ন ভিন্ন ঋষির মত পাওয়া যায়। আবার একই ঋষি যে সৰ্ব্বত্র একই মত প্রচার করিয়াছেন, তাহও নহে । সাধারণ লোক এই সমুদায় বিষয় কিছুই জানে না । পণ্ডিতগণের মধ্যেও এমন অনেক লোক আছেন, র্যা - দের চিস্তার অন্তরালে এই ভাল লুক্কায়িত রহিয়াছে যে, উপনিষদের মত একই । ভায্যকারগণ এবং টীকাকারগণ এই ভাব দ্বারা প্রণোদিত হইয়া উপনিষদের ব্যাখ্যা করিয়াছেন এবং প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন যে শ্রীতিতে শ্রুতিতে কোন বিরোধ নাই । এই প্রকার হইবার প্রধান কারণ সাম্প্রদায়িকতা । এই সাম্প্রদায়িকতার উপদ্রবে শাস্ত্রের প্রকৃত মর্শ্ব অবগত হওয়া দুরূহ হইয়াছে। “আমার সম্প্রদায়কে উপনিষদের উপরে প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে”—যতদিন এইপ্রকার ভাব থাকিবে, ততদিন উপনিষদের প্রকৃত ব্যাখ্যা হওয়া সম্ভব হইবে না । সকলেই নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মতানুসারে উপনিষদের ব্যাখ্যা করিয়া আসিতেছেন। কিন্তু প্রকৃত ব্যাখ্যা করিতে হইলে সাম্প্রদায়িকতাকে অতিক্রম করিতে इड्रेएरु । প্রাচীনকালে ঋগ্বেদ যজুৰ্ব্বেদ ও সামবেদ এই তিনথানা বেদকেই প্রামাণিক বলিয়া গ্রহণ করা হইত। এইজন্য বেদের নাম ছিল “ক্রয়ী” । উত্তরকালে অথৰ্ব্ববেদকেও প্রামাণিক বলিয়া স্বীকার করা হইয়াছে। এখন আমরা বলি চতুৰ্ব্বেদ। মহাভারতকার বলিয়াছেন, “বেদা: বিভিন্নাঃ” । বেদসমূহের নামই যে কেবল ভিন্ন তাহ নহে, ইহাদিগের উদ্দেশ্যও ভিন্ন এবং মতও ভিন্ন । কেবল তাহাই নহে ; এক-এক বেদেরই বহু শাখা। মতভেদের জন্যই এই সমুদায় শাখার স্বষ্টি । সুতরাং সামঞ্জস্য