পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৩২ ‘আত্মপ্রীতি' শব্যের দুইটি অর্থ করা হয়—(১) পরমাত্মার প্রতি প্রীতি ; (২) নিজের প্রতি প্রীতি । এস্থলে প্রথম অর্থ কোন প্রকারেই সঙ্গত হয় না । লোকে পরমাত্মার প্রতি প্রীতিবশতঃ কখন পশু ধন বা অপরাপর বস্তুকে প্রীতি করে না। নিজের স্বথের জন্যই পশু ধন ও অপরাপর বস্তুকে ভালবাসিয়া থাকে । “কি করা উচিত এস্থলে সে-প্রশ্ন উত্থাপিত হয় নাই । প্রশ্ন এই—“এ জগং লোকের প্রিয় হয় কেন ?” ইহার উত্তর—*আপনাকে ভালবাসে বলিয়াই লোকে বিত্তাদি ভালবাসে, আপনার স্বগের জন্তই বিত্তাদি করে।” ‘আত্মা' শব অতি অদ্ভুত। ইহা পরমাত্মা ও জীবাত্ম। এই উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হইয়া থাকে। আবার অনেক স্থলে ইহার অর্থ “স্বয়ং’ ‘আপনি’ ‘নিজ’ ইত্যাদি । পুৰ্ব্বোক্ত অংশে ইহা এই অর্থেই ব্যবহৃত হইয়াছে। অর্থাৎ এস্থলে “আত্ম-পীতি’ অর্থ ‘নিজের প্রতি পীতি’ । এখানে বলা আবশ্যক যাজ্ঞবল্ক্য এস্থলে পরমাত্ম। বা জীবাত্মা বা ‘নিজ’ ‘আপনি’ ইত্যাদি কোন অর্থের বিষয়েই চিন্তা করেন নাই । তিনি বলিয়াছেন “আত্মা’ । তিনি বুঝিয়াছেন আত্মা এবং বুঝাইয়াছেন আত্মা । তিনি সৰ্ব্বত্রই দেখিয়াছেন এক আত্মা । আমরাই বিচার করিয়া বুঝিতেছি এবং বলিতেছি এন্থলে আত্ম-প্রীতি’ অর্থ নিজের প্রতি প্রীতি । আত্মাই লক্ষ্য “আত্ম-প্রীতির জন্তই জগৎ প্রিয় হয়”—ইহা বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করিয়া ঋষি বলিতেছেন—“অরে! এই আত্মাকেই দশন করিতে হইবে, শ্রবণ করিতে হইবে, মনন করিতে হুইবে এবং নিদিধ্যাসন করিতে হইবে।” র্তাহার যুক্তির ক্রম এই— (১) আত্ম-প্রীতির জন্তই জগৎ প্রিয় হয় । (২) স্বতরাং এই আত্মা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বস্তু। (৩) সুতরাং এই আত্মাকেই দর্শনাদি করিতে হইবে । প্রথম কথাই এই—“নিজেকে প্রীতি করে বলিয়াই জগৎ প্রিয় হয়।” যাহাকে লোকে 'নিজ' বা আপল’ প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৪৬ । २७ण छांग, २ग्न थ७ ব1, “আমি” বলে, প্রকৃত পক্ষে তাহা আত্মাই। স্বতরাং “নিজেকে প্রতি করা” অর্থ "আত্মাকে প্রীত করা” । “নিজেকে প্রতি করে বলিয়াই জগৎ প্রিয় হয়”—ইহার অর্থ "আত্মাকে প্রীতি করে বলিয়াই জগৎ প্রিয় হয়” । थिउँौघ्न कथ| ७झे- शांशंद्र खछ छ*९ zिग्र श्ञ्च, তাহ নিশ্চয়ই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বস্তু । শেষ কথা এই— এই যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বস্তু, ইহাকে দর্শন শ্রবণ মনন ও নিদিধ্যাসন করিতে হইবে । অর্থাৎ আত্মাকেই দশন শ্রবণ মনন এবং নিদিধ্যাসন করিতে হইবে । সমুদায়ই আত্মা ইহার পরে ঋষি বলিলেন, যে ব্যক্তি, ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় স্বৰ্গাদিলোক দেবগণ দেবসমূহ এবং ভূতসমূহকে আত্মা হইতে পৃথক বলিয়া মনে করে, ব্রাহ্মণাদি সেই ব্যক্তিকে পরিত্যাগ করিয়া থাকে। তাহার পরে ঋষি বলিলেন—“এই ব্রাহ্মণ জাতি, এই ক্ষত্রিয় জাতি, এই লোকসমূহ, এই দেবতাগণ, এই বেদসমূহ, এই সমুদায় ভূত—এসমুদায়ই আত্মা !” তিনটি উপম৷ ইহার পরে তিনটি উপমা দ্বারা ঋষি বুঝাইয়াছেন যে, আত্মাকে অবগত হইলেই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড অবগত হওয়া যায়। র্তাহার দৃষ্টান্ত এই – “যেমন তাড্যমান দুন্দুভি হইতে বিনির্গত শব্দসমূহকে গ্রহণ করা যায় না, কেবল দুন্দুভি গ্রহণ করিলে কিংবা দুন্দুভিবাদককে গ্রহণ করিলেই ঐ শব্দ গৃহীত হয় ; যেমন বাদ্যমান শস্থ হইতে বিনির্গত শব্দসমুহকে গ্রহণ করা যায় না, কিন্তু শঙ্খ গ্রহণ করিলে কিংবা শঙ্খবাদককে গ্রহণ করিলেই ঐ শব্দ গৃহীত হয় ; যেমন বাদ্যমান বীণা হইতে বিনির্গত শব্দসমূহকে গ্রহণ করা যায় না, কিন্তু বীণা গ্রহণ করিলে কিংবা বীণাবাদককে গ্রহণ করিলেই ঐ শব্দ গৃহীত হয় ; ইহাও তেমনি ( অর্থাৎ আত্মাকে গ্রহণ করিলেই বিশ্বব্ৰহ্মাও গৃহীত হয় )।” যখন কোন যন্ত্র বাজান হয়, তখন সেই যন্ত্র হইতে পৃথক পৃথক্ বহু স্বর নির্গত হয়। কিন্তু এক-একটি