পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જ નાના ] जैशिष्क ब्धुंएमब्र विषशैफूड कब्र दाङ्ग म । ७विषरम যাজ্ঞবল্ক্য এষ্ট্র-প্রকার বলিয়াছেন – (১) যাহা দ্বারা সমুদায় জানা যায়, তাহাকে কিপ্রকারে জানিবে ? - (২) বিজ্ঞাতাকে কি প্রকারে জানিবে ? এই দুইটি বাক্যই একাৰ্থ-প্রকাশক। ইহার অর্থ বিজ্ঞাভাকে জানা যায় না। যাজ্ঞবল্ক্য এস্থলে যাহা বলিয়াছেন, তাহ দর্শনশাস্ত্রের একটি গভীর তত্ত্ব । ইহা সহজবোধ্য নহে, এইজন্য এবিষয়ে দুই-একটি কথা বলা আবিশ্ব্যক । - যাজ্ঞবল্কোর সিদ্ধান্ত ঃ– “বিজ্ঞাতাকে জানা যায় না” । ইহা যদি সত্য না झग्न कझनां कब्रां प्रांठेक-“विद्धांज्रां८क खांना यांग्र” । যাহাঁকে জানা যায়, তাহ। জ্ঞেয় । ধু । যখন কল্পনা করিয়া লওয়া হইল যে, বিজ্ঞাতাকে জানা যায় তখন এই বিজ্ঞাতা জ্ঞেয় বস্তুরূপে পরিণত হইল। যাহা ছিল বিজ্ঞাতা তাহ হইল এখন জ্ঞেয় বস্তু। এস্থলে এই জ্ঞেয় বস্তুর এক নূতন জ্ঞাত স্বষ্টি হইল । এইরূপে যদি এই দ্বিতীয় বিজ্ঞাতাকেও "জ্ঞেয় বলিয়৷ স্বীকার করা হয়, তাহা হইলে তৃতীয় এক বিজ্ঞাত আসিয়া উপস্থিত হইবে । আমরা যতই অগ্রসর হই না কেন, সৰ্ব্বোপরি একজন বিজ্ঞাত থাকিবেই। এই বিজ্ঞাতাকে কখনই "জ্ঞেয় বলিয়া কল্পনা করা যায় না। প্রত্যেক জ্ঞানব্যাপারেই একজন বিজ্ঞাত আছে । এ বিজ্ঞাতাকে জানিবে কে ? যে জানিবে সেই যে বিজ্ঞাত । সুতরাং সিদ্ধান্ত করিতেই হইবে যে— *বিজ্ঞাতাকে জানা যায় না” । কিন্তু অনেকে বলেন, আমরা বুঝিতেছি “বিজ্ঞাতাকে জানা যায়”—ও যুক্তি শুনিব কেন ? এপ্রকার আপত্তির মূলে যে কিছু সত্য নাই তাহা নহে। পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কোন ঘটনায় একজন বিজ্ঞাত ছিল। তাহার কথা স্থতিতে রছিয়া গিয়াছে। আমরা সেই স্মৃতির ঘটনার বিজ্ঞাতা । কিন্তু কল্পনা করিয়া লই আমরা বিজ্ঞাতাকেই জানিতেছি। আমরা বিজ্ঞাতাকে জানি না, আমরা বিজ্ঞাতার শব ব্যবচ্ছেদ করি । 曙 উপনিষদের ব্রহ্ম AeMAeeAeSAeSASAeS eMAeSAS MeMAeeMAMAeM AMSM MSMAAA SAAAAA AAAA AAAASM eM AAMMMMA SAeSAM MMAAAA ఇలి& আজ্ঞার জাতৃত্ব আমরা দ্বৈতমূলক জগতে বাস করিতেছি। এইপ্রকার জগতে দর্শন শ্রবণ বিজ্ঞান ইত্যাদি সমুদায় কার্যাই সম্পন্ন হইতেছে। আত্মাই এস্থলে দ্রষ্ট শ্রোতা ও বিজ্ঞাত । কিন্তু ঋষি বলিয়াছেন, দ্বৈত-জ্ঞান ভ্রান্তিমূলক। আত্মা যখন স্ব-রূপে বিরাজ করেন তখন দ্বিতীয় কোন বস্তু থাকে না । স্বতরাং আমরা বলিতে পারি না—“আত্মা এই অবস্থায় দর্শন করেন, শ্রবণ করেন এবং জানেন ।” সুতরাং এই আত্মাকে তখন দ্রষ্ট শ্রোত বা বিজ্ঞাত। বল। যাইতে পারে না । তবে যাজ্ঞবল্ক্য আত্মাকে কেন বিজ্ঞাত বলিলেন ? ইহার প্রথম উত্তর এই যে, দ্বৈতমূলক জগতে আত্মাই বিজ্ঞাত। যাজ্ঞবল্ক্য অঞ্চত্র ( বৃহঃ ৪৩ ) ইহার দ্বিতীয় উত্তর দিয়াছেন। আত্মা স্বভাবতই ভ্ৰষ্ট, শ্রোতা বিজ্ঞাত ইত্যাদি । দর্শনাদির বস্তু না থাকিলেও আত্মার দৃষ্টি শ্রুতি জ্ঞানাদি লুপ্ত হয় না। এইজন্যই আত্মাকে দ্রষ্ট, শ্রোতা, বিজ্ঞাতাদি বলা হইয়াছে। অন্তভাবেও ইহার ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে । আত্মা অদ্বিতীয়, দ্বিতীয় বস্তু নাই ; সেইজন্ত আত্ম দর্শন করে না, শ্রবণ করে ন এবং জানে না। কিন্তু দ্বিতীয় বস্তু যদি থাকিত, তাহা হইলে সেই আত্মা দর্শন করিতে পারিত, শ্রবণ করিতে পারিত, জানিতে পারিত, ইত্যাদি । যখন দ্বিতীয় বস্তু থাকে না, তখনও আত্মার দৃষ্টি শ্রুতি ও জ্ঞানাদি বিলুপ্ত হয় না ; এ-সমুদায় নিত্যই বর্তমান থাকে ; ইহাই আত্মার প্রকৃতি । এই অর্থেই যাজ্ঞবল্ক্য আত্মাকে দ্রষ্ট এfতা মস্ত বিজ্ঞাতা ইত্যাদি বলিয়াছেন । এই আত্মা বিজ্ঞাতা । কিন্তু বিজ্ঞাতাকে জ্ঞানের বিষয়ীভূত করা যায় না। ইহার বিষয় কেবল বলা যায়- “নেতি’, ‘নেতি’ । উপসংহার ‘মৈত্রেয়ী-ব্রাহ্মণ আলোচনা করিয়া আমরা এই সমুদায় তত্ব অবগত হইতেছি ।— ১। আমরা বলি বহু এবং বহু আত্মা । আবার জীবাত্মা’ ও ‘পরমাত্মা’ এতদুভয়ের মধ্যেও