পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩• [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড অস্ত্যজদের ধৰ্ম্মশালার দ্বারোদঘাটন উপলক্ষে সমবেত ভদ্রমণ্ডলী ও অস্ত্যজ বয় স্বাউট দল করিয়া তাহার এই সঙ্ঘের সাহায্যেই জীবন ধারণ করিয়াছে । এই সঙ্ঘের চেষ্টায় কয়েকটি নৈশ বিদ্যালয়ও খোলা হইয়াছে। অস্ত্যজ পুরোহিত লালাজী শৰ্ম্ম৷ গারোদার সাহায্যে মি: ভূধরদাস “অস্ত্যজধারক” নামে একখানি মাসিক পত্রিক প্রকাশ করিয়াছেন । লালজি অস্ত্যঞ্জদের জন্য কয়েকটি শ্রমিক বিদ্যালয় খুলিবার চেষ্টায় আছেন । এই উদেখে তিনি এক লক্ষ টাকা চাদী সংগ্রহের চেষ্টায় বাহির হইয়াছেন । কিন্তু এযাবৎ তিনি ঐ টাকা তুলিতে সক্ষম হন নাই । তিনি আমেদাবাদে একটি সেবাশ্রম স্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছেন। অর্থাভাবে এই আশ্রমের কায্যের প্রসার হইতেছে না। নবসরাইতে শ্ৰীযুক্ত তুলসীদাস মূলদাস ও র্তাহার পত্নী অস্ত্যজদের উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিতেছেন। র্তাহার একটি বালকদের স্কুল ও একটি বালিকা বিদ্যালয় খুলিয়াছেন । অস্ত্যজের উন্নতির জন্ত নামাজী মাকওয়ান যেরূপ অক্লান্ত চেষ্টা করিতেছেন তাহ বাস্তবিকই প্রশংসাই । নানাজী, বরোদ। লাইব্রেরীর অধ্যক্ষ ( কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পুত্র ) মিঃ নিউটন দত্তের বাড়ীর ভূত্য । সে তাহার প্রভুর উৎসাহে নিম্নশ্রেণীর লোকদের জন্য একটি পুস্তকাগার স্থাপন করিয়াছে ও নিজেই তাহার অবৈতনিক অধ্যক্ষের কাজ করে । এই পুস্তকাগারে সরকারী সাহায্য ও প্রদত্ত হয় । অস্ত্যজেরা সাধারণ হোটেলে থাকিতে পায় না । নানাজী নিজেদের এই দুর্দশ দেখিয়া দানবীর মহরাজার সাহায্যে একটি ধৰ্ম্মশালা স্থাপন করিয়াছে। এই ধৰ্ম্মশালাটি রেল ষ্টেশনের নিকটে খোলা হইয়াছে। সম্প্রতি বরোদা রাজ্যের দেওয়ান স্যার মামুভাই মেটা এই অনুষ্ঠানটির দ্বারোদঘাটন করিয়াছেন । কিন্তু বৰ্ত্তমানে বরোদারাজ্যে সকল বিভাগেই ব্যয়ংক্ষেপের ধুম পড়িয়া গিয়াছে। অস্ত্যজদের উন্নতির বিরোধী রাজকৰ্ম্মচারীরা অস্ত্যজদের শিক্ষার ব্যয় কমাইবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছে । অস্ত্যজদের উন্নতিকল্পে বৎসরে আনুমানিক এক লক্ষ মুদ্রা ব্যয়িত হয় । কাজেই এই অবস্থা প্রয়োজনীয় বিষয়টিতে সামাঙ্ক