পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ(ցe মরণের ভয় করি না স্থে, তাই জাসিয়াছি, প্রিয়তম, তোমারি ও-হাতে সপিতে এসেছি আজি এ জীবন মম। বল শুধু তুমি—দাপনার মুখে, স্বাধীন-মনের বলে— জীবনের বোঝা নিতেছ তুলিয়া নিজেরি হাতের তলে । বল, তুমি নও বাদশা এখন—এ দাগী বেগম নয়, প্রাণের সহজ অধিকারে তুমি কর মোর পরিচয় । বল, স্বর্থী হবে-রাখে। মিছা কথা, দোহাই তোমার স্বামী। বল শুধু মোরে, "মেহের, তোমার মরণে বাচিব আমি । সেই আশ্বাসে আসিয়াছি ছুটে, লাইলীর মেয়ে ফেলে— যারে কোলে নিয়ে সেদিনও লড়েছি, ঝিলামের স্রোত ঠেলে, হাতীর উপরে-জানে মহবৎ—একদিকে তারে ঢাকি, জার-দিকে ধন্থ, যতখন তুণে একটিও তীর বাকি। সেও তোমা লাগি’—ভেবেছিক্ষ, বুঝি বড় প্রয়োজন মোরে, জানিনি তখনে, এমন বন্ধু জুটেছে কপাল-জোরে! আজও তাই ফের জানিতে এসেছি—তোমারি কি <थ८ब्रॉखन ? বল একবার | শুনি’ সেই কথা শাস্ত হউক মন । ...... মনে পড়ে সেই খুশরোজ-রাতি ? স্বৰ্ম্ম-কেনার ছলে, মোতি-মসলিন-জহরত ফেলে চাছিলে ওঢ় না-তলে । হেসে কহিলেন রাকিয়া-বেগম,—“উহার নমুনা নাই, রংমহলের রং নষু ওযে, ও-কাজল কোথা পাই । তৰুচিনে রাখ-তুমি যে হনরী –দেখ দেখি ভালো কিনা, এর চেয়ে ভালো—মর্শ্বরে ফোটে কালে-পাথরের মিনা 7 এমন নরম ছায়াখানি পড়ে ‘সোর’ তরুটির মূলে— স্বাসের জাজিমে জ্যোৎস্না-চাদরে—যমুনার উপকুলে ?” মুখ খুলে দিয়ে, ধুতি তুলে ধরে, চাহিলেন রাজ-মাতা, চোখে-চোখে লেই একবার চেয়ে, ঢুলে' হয়ে প’ল মাথা । তুমি চলে গেলে, বিবশ-বিভল, পাণ্ডুর বেদনায় । শুনিয়, সেলিম শাহজাদা সেই –হাৱাইছ চেতনায় ! সেই দিন হ’তে মেহের মরেছে, সে-মরণ আজি শেষ । এখনো জাখিতে দেখ জাছে কিনা জীবনের মোহ-লেশ ? छांe ७कदांब्र !-भिनउि cङांभांब, cकांन्न डब नॉरे चांद्र ! এখনো কি হয় খুঃরোঙ্গ-খেল, ৰাদশাহ জুনিয়ার ? প্রবালী-চৈত্র, ১৩৩৯ [ २७* छां*, २घ्र ६७ খেয়ালি-ফাহুসে কত রঙ ধরে ৰৌৰন-খাছৰুর — जच्छ कि छांद्र ? कू९निपकe इब भट्नांश्द्र इश्वब्र ! একদিন যারে ভালো লেগেছিল, বেসেছিলে তায় ভালো, হয়ত তারেই মনে হয়েছিল—এই ‘জগতের আলো' । আজ যদি তার রূপের প্রদীপে পলিতায় পড়ে ৰালি, রংমহলের দুধের দেয়ালে কলঙ্ক লাগে খালি— নিবাইয়া দাও আপনার হাতে-ডেকো না চেরাগ চীরে । যে-হাতে জেলেছ তাহারি হাওয়ায় শেষ কর শিখাটিরে । আঁচ লাগিবে না, তাপ নাহি তায় । জালাকোথা জুড়াবার? দেখ,—হাসিতেছি, এ হাসিতে নেশা এখনো কি লাগে আর ? জহাঙ্গীর ভয় করে, নারি, আজও ভয় করে –চেয়ে না অমন করে । সেলিম মরেনি, মেহের মরিলে তবে ত যাইবে ময়ে’ ! মেহের, তোমার অ-মলিন রূপ —পরীরাও ফিরে চায় ! আজও মনে হয়, সেই খুশ রোজ ওই চোখে চমকায় ! কোথা হ’তে এলে, মরু-মঞ্জরী, আগ্রার উষ্ঠানে ? ও-রূপের ছায়া পেয়ালায় পড়ে' আগুন লাগাল প্রাণে । ছিল যে মাতাল, মদেরি নেশায় দিনরাত মশগুল— পাগল করিয়া দিলে কেন তারে ?—একি নলীবের ভুল ! বাদশার ছেলে বিকাইয়া গেম এক বসরাই গুলে । খোদার বান্দা বুত-পরস্ত—আখেরের ভয় ভুলে । কোথায় ইমান পৌরুষ গেল ? কি মোহিনী জাণে, নারি । মোগলের তথং ফুলদানী হ’ল ! কালো-চোখ তরবারি । রুটি ও পেয়ালা সার হ’ল শুধু—স্বপনে কাটাই দিবা ! রাজ্যের খোজ মালিক রাখে না, বাড়িছে প্রলয়-বিভা ৷ নক্ষর করেছে নজরবন্দী, কাল দাড়াবে সে বুকে — কার তরে আজ এ দশা আমার ? মজেছিক্ষ কোন মুখে ? সেই মুখ আজও উথলিয় ওঠে, ওই মুখে যদি চাই । দোজোখ, বেহেশত, এক হয় দেখি, জ্ঞান-হারা হয়ে যাই । আমি অপরাধী- এ কথাও ঠিক !—কি হ’ল ? কাদিছ। ছি – শুনিছ না কিছু —ওই দিকে চেয়ে অমন ভাবিছ কি ? नूबखशन কিছু নয় —শুধু ওই ফুলগুলা-গুল-আসরফি বুকি ? বাংলা-মুলুক মনে পড়ে যায়, কি যেন হারিয়ে খুজি । ,