পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখn 1 রমণী ঐ উপেক্ষ সহ করিতে পারিল না ; আহত ভূজঙ্গীর মত উঠিয়া দাড়াইয়া তীব্র শ্লেষপূর্বকণ্ঠে বলিল —"দাড়ান। এতই যদি ঘৃণা, তবে এতক্ষণ পতিতার মুখের দিকে চেয়ে কি দেখছিলেন ? রূপ?" “না। যার কণ্ঠে এমন প্রাণমাতান সঙ্গীত হৃদয়মন্দিরের গোপন কপাট খুলে দিতে পারে, আমি শুধু শ্রদ্ধাযুদ্ধ নেত্রে তারই মহীয়সী মূৰ্ত্তির দিকে চেয়েছিলুম। নইলে রূপ ? সে ত তুচ্ছ । যৌবনের সঙ্গে সঙ্গে যার ধ্বংস হয়, তার মোহে ভুলে যাব আমি এত বড় পাগল नइँ ।' সত্যের এ তীব্র কশাঘাত লগ্ন।জিতা সহ্য করিতে পারিল না। ক্ষণেক বিমূঢ়-নেত্রে বক্তার দিকে চাহিয়া রহিল ; তার পর শুষ্ককণ্ঠে বলিল-“মন্‌লুম আপনি ভালো, আপনি সাধু। কিন্তু জিজ্ঞাসা করতে পারি কি, যার কণ্ঠের নামামৃত আপনাকে - বিমোহিত করেছিল, তার অন্তরের দেবতাকে পদদলিত করে যাবার আপনার কতটুকু অধিকার ? জার-একটা কথা—যেচে এসে একজন মামুষকে অপমান করায় পৌরুষেয় নয় ; তা সে যত বড়ই হীন হোকৃ।” যুবরাজের অন্তরটা কঁপিয়া উঠিল। একবার তিনি স্থির-দৃষ্টিতে রমণীর দিকে চাহিলেন ; তার পর বলিলেন —“আর-কিছু বলবার নেই বোধ হয় ; আমি যেতে পারি ?” যুবতীর কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া গিয়াছিল । বহুকষ্টে সে বলিল—“ধান । কিন্তু এটা অবিশ্বাস করবেন না যে, পতিতারাও মানুষ ; তারাও ভালো হতে পারে। বাইরের আচরণটা বলুষিত হ'লেও, ভিতরটা তাদের একেবারে কৰ্দমাক্ত হয়ে যার না । চেষ্টা করলে বিবেককে জাগিয়ে তুলে সংসার-পথে তারাও মাথা উচু করে দাড়াতে পারে।” যুবরাজ সে-কথার কোন উত্তর দিলেন না ; দেখিতে দেখিতে বন বীথির অন্তরালে অদৃশ্য হইয়া গেলেন। রমণীর হৃদয়ে ভীষণ ঝড় উঠিল । সে অপলক নেত্রে যুবরাজের গমন-পথের দিকে অনেকক্ষণ চাহিয়া রহিল। তার পর দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া তাছার অসংযত মনটাকে মেঘৈ ੀਂ A劳 - SAeeeAMA AMAM MA AM MAAASAAAA AAAAeMMAAA AAAA AAAA S S AAAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAMMAeM MeM AAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS ৭৬৩ جویبی مهمی গুটাইয়া জানিয়া বীণার তারের সৃতি সংযোগ করিতে চেষ্টা করিল। চির-অভ্যস্ত হস্তে স্বরের মূর্ছনা জাগিলেও প্রাণ কিন্তু তাহাতে সাড়া দিল না। রিরক্তিতে অম্বির হইয়া সে তাহার জীবনের সর্বাপেক্ষ প্রিয়তম ধীশাটিকে দূরে জলে নিক্ষেপ করিল। বুঝি অতীত জীবনটাও সেইসঙ্গে বিসর্জন দিল । مسييه ( 9 ) প্রভাত-ৰায়ু চঞ্চল গতিতে চারিদিকে ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতেছিল। শিশির সিক্ত দূৰ্ব্বাদলের উপর স্বৰ্য্যকিরণ পতিত হইয়া, মন্থণ মখমলে রূপালী কারুকাৰ্য্যের মত চক্‌মকে শোভা ধারণ করিয়াছিল। - অবস্তীপুরের বৌদ্ধ-মঠাধ্যক্ষ সিদ্ধাচাৰ্য্য নিবিষ্টচিত্তে উষ্ঠানে পদচারণা করিতেছিলেন । এমন সময় পশ্চাৎ হইতে নারীকণ্ঠে কে ডাকিল—“প্ৰভু!” সন্ন্যাসী নয়ন ফিরাইলেন। বৃক্ষ-পত্রাবলীর বক্ষ চিরিয়া দুরন্ত তপন রমণীর কুসুম-পেলব মুখের উপর তীব্রভাবে পড়িয়াছিল । আলোকসামান্য রূপবতীর প্রশাস্তমূৰ্ত্তি দেখিয়া তিনি মুগ্ধ হইলেন। স্নেহভরে কহিলেন- “কি মা ?” “অভাগিনী মঠে একটু স্থান ভিক্ষা করতে এসেছে ; আশা মিটুবে কি ?” "কেন মা, তুমি কি আশ্রয়ঙ্কারা ?” যুবতীর মুখখানি সহসা মলিন হইয়া গেল। শুক্ষকণ্ঠে সে বলিল—“সত্যকার আশ্রয় আমার কোন দিনই ছিল না !” “তবে এতদিন ছিলে কোথায় ?” “ছিলাম কোথায় ?”—যুবতী শিহরিয়া উঠিল। কি এক অসহ যন্ত্রণায় তাহার বাকুশক্তি লোপ পাইল । সন্ন্যাসী তাহা লক্ষ্য করিয়া বলিলেন—“বলতে যদি কষ্ট হয়, তবে থাকু ম৷ ” রমণীর মুখে হাসি দেখা দিল ; কিন্তু দে-হাসিতে আনন্দ উৎপাদন করে না ; প্রাণ র্কাদাইঃ তুলে। সে দৃঢ় অথচ মুম্বকণ্ঠে কঠিল—“বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে না, কিন্তু ভাবতে আমার অসহ যন্ত্রণা বোধ হচ্ছে। যদিও আজ সে পাপপুরী ছিন্ন-কস্থার মত ত্যাগ করে এসেছি,