পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aఫి ভাবের যথেষ্ট প্রভাব বুয়েছে। সেজন্তেই শুধু ধতি ভাল লম্ব মাত্রা রক্ষা করে যন্ত্রের মতো আবৃত্তি করে? গেলেই কবিতার যথার্থ আবৃত্তি হয় না। তাতে কৰিতার যথার্থ ভাবটিই ছাড়া পায় না ; ছন্দের খাচাটাই তখন কাব্যের মুক্তির প্রধান বাধা হ’য়ে দাঁড়ায়। এজন্তেই কবিতা আবৃত্তি করার সময় ছন্দের তাল লয়কেও অতিক্রম করে গিয়ে কবিতার ভাবকে ফুটিয়ে তুলতে ছয় ; এখানটাতেই ছন্দ হাজার চেষ্টা করেও কাব্যের যথার্থ স্বরূপটির নাগাল পায় না, তাকে স্পর্শ করতে পারে না । সুতরাং নিজেকে নিজে অতিক্রম করে যাওয়ার মধ্যেই ছন্দের সার্থকতা । কিন্তু এ অতিক্রম ছন্দের রাজ্য ছাড়িয়ে ভাবের ও স্বরের রাজ্যে প্রবেশের উপক্রম। কাজেই আবৃত্তি করার সময় শুধু ছন্দ্র বাচালেই চলে না ; তার সঙ্গে একটু ভাবের আভাস, একটু স্বরের স্পর্শও যোগ করে দিতে হয়। এজন্তেই দেখা যায় আবৃত্তি করার সময় আমাদের কণ্ঠ জড়যন্ত্রের মন্ত্রের মতো শব্দগুলোকে শুধু উচ্চারণ করেই যায় না, ভাবের গভীরতা, তীব্রতা, ওজস্বিতার সঙ্গে সঙ্গে জামাদের কণ্ঠস্বরও কোথাও তীব্র, কোথাও গম্ভীর, কোথাও দৃপ্ত হ’য়ে ওঠে । এখানেই আমাদের চিত্ত কবিতার ভাবে অঙ্কগ্রাণিত হ'য়ে উঠে আমাদের কণ্ঠের ভিতর দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে, সেজম্ভেই ত কবিভার জাবৃত্তি সজীব সচেতন ও প্রাণের স্পন্দনে এমন ম্পদিত হ’য়ে ওঠে । আর এখানেই কাব্যের ভাব বিশুদ্ধ কাব্যছন্দের এলাকা ছাড়িয়ে গিয়ে সঙ্গীতের স্কুরের স্পর্শলাভের জগু ব্যাকুল হ’য়ে ওঠে। কিন্তু এখানেই শেষ, সঙ্গীত-স্বরের আভাস লাভ ও তার মধ্যে আত্মপ্রসারের এই ব্যাকুলতার মধ্যেই কাব্যছন্দের চরম তৃপ্তি। কিন্তু গানের স্বরের প্রক্রিয়া অন্যরকম, তার অভিব্যক্তির পন্থা স্বভক্স । গানের স্বর ধ্বনিকে জাপ্রয় করে’ই আনম্বকে রূপ দান করে, কথার ভাবকে আশ্রয় করে নয় । সেজন্তেই গানের স্বর স্বচ্ছন্দগতিতে বিচিত্র ভঙ্গীতে প্রবাহিত হ’ম্বে চলে, গানের কথাকে সে গ্রন্থও করে না । গামের স্বরের কাছে কথা ও তাহার অর্থের কোনো মধ্যাদা নেই বললেই হয় । কথার অর্থ প্রবাসী-চৈত্র ১৩৬৯ l ३●** अ*, ३ ४७ হয়ত যেখানে থেমেছে স্বর সেখানেও চলেছে, কথার त्रtर्ष cषषांटन श्रठि ब्रtब्रट्झ श्ब्र शबउ cनषां८महे ८षांफ़ ফিরে’ ষায় এমন সৰ্ব্বদাই দেখা যায়। গানের জ্বরের ধারায় পড়ে স্রোতের বেগে গানের কথাগুলো নিজ নিজ স্বতন্ত্র রূপকে পর্যন্ত বজায় রাখতে পারে না, স্বরের বেগে শব্দগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হ’য়ে যায় ; কোনো শব্দের বর্ণগুলো পরস্পরসংশ্লিষ্ট থাকৃতে না পেরে বিশ্লিষ্ট হয়ে এশকের বর্ণ ওশবের গায়ে গিয়ে পড়ে। শব্দগুলো নিজেই যখন এমন ছাড়া-ছাড়া বিশ্লিষ্ট হয়ে যায় তখন তারা অর্থের সমতা রক্ষা করবে কেমন করে’ ? তাই বলছিলুম গানের স্থর বাকু ও অর্থকে অগ্রাহ করে ধ্বনির সাহায্যেই সৌন্দর্ঘ্য ও আনন্দকে স্বজন করতে চায়। তাই গানে ধ্বনিকে এত বিশ্লেষণ করেছে ; তাই গানে বড়জ, ঋষভ প্রভৃতি স্বরের সাতটি গ্রাম, উচু নীচু মাঝারি প্রভৃতি সপ্তকের বিভাগ, কড়ি কোমল প্রভৃতি স্বরের সূক্ষ্ম ভেদ, এসমস্ত বহু-বৈচিত্র্য দেখতে পাই । গানে স্বরের এসমস্ত ভেদকে মাত্রা লয় প্রভৃতি থেকে পৃথক করে দেখা দরকার। কালের দিক থেকে ধ্বনির আদর্শ মাপকাঠিকে মাত্র। বলা হয় ; কাল ব্যেপে স্বরের স্থিতিপরিমাণই হচ্ছে মাত্রাপরিমাণ। এদিক থেকে এক-একটি বর্ণ সিকি মাত্রা থেকে স্বরু করে চার পাঁচ প্রভৃতি বছমাত্রাব্যাপী স্থায়ী হ’তে পারে, স্বতরাং কালের স্থিতির দিক থেকেও বহুমাত্রীপরিমাণ হ’তে পারে। ঠিক্‌ তেমনি ধ্বনির তীব্রতা বা যুদ্ধতার দিক থেকেও বহু বিভাগ হতে পারে ধ্বনির এই উচ্চতা নীচতা ভেদ অসংখ্যরকম হ’তে পারে ; বড় জ ঋষভ প্রভৃতি এরই প্রকারভেদ মাত্র । কিন্তু এসমস্ত প্রকারভেদ সম্পূর্ণরূপে মাত্রা-নিরপেক্ষ, অর্থাৎ কোন মাত্রার বর্ণ তীব্রতার কোন গ্রামে থাকবে বা কোন গ্রামে মাত্রা-পরিমাণ কত তার কোনো স্থিরতা নেই। ধ্বনির স্থিতি ধেমন মাত্রা-ভেদ নিয়মিত করে, তার তীব্রতাও তেমনি স্বরের ভেদ নিয়ন্ত্রিত করে। জাৰায় ধ্বনির গতির সমতাকেই লয় বলে এবং এই vগতির ক্রম-ভেদে লয়-ভেদ হয় । আবার ধ্বনির গতিভঙ্গীতেই তালের স্থষ্টি । মাত্রা লয় মৃতি তাল ও স্বর গানের ক্ষেত্রে যে অপরূপ জরূপ সৌন্দর্ঘ্যের তাজমহল গড়ে’ جمیے