পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ன் সংখ্য ] میبیسی خاصیحی خ۶یم হুরেশ্বর বলিল, “শুধু মুমিত্রার মার জবরদস্তির কথাই ভাবছিস কেন, মাধবী । এর মধ্যে বিমান তার মুখদুঃখ আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জড়িয়ে আছে। বিমানকে একেবারে ভুলিসনে!” মাধবী সজোরে, বলিল, “বিমান-বাবুকে ভুলব না, কিন্তু স্থমিত্রাকে ভুলে’ যাব ? তার বুঝি কোন আশাআকাঙ্ক্ষণ, সুখদুঃখ নেই ? তার পর তোমার কথাও ভুলে যাব, মনে রাখব শুধু বিমান-বাবুর সুখদু:খের আর সুমিত্রার মার সাধ-আহলাদের কথা !” স্বমিত্রার কথায় চকিত হই, উঠিয়া সুরেশ্বর বলিল, “তোর বড় আস্পদ্ধ হয়েছে, মাধবী ! তুই আমাকেও এর মধ্যে এমন করে জড়িয়েছিস কেন বল দেখি ?” স্বরেশ্বরের তিরস্কারে সামান্ত প্রশমিত হইয়া মাধবী কহিল, “রাগ কোরোনা দাদা, কিন্তু এব্যাপার থেকে তুমি দূরে সরে দাড়ালে চলবে না। সুমিত্র। আমার কাছ থেকে কাল যে আশ্বাস পেয়েছে তা যেন একেবারেই মিথ্য না হয়। আমার কথায় বিশ্বাস কর, বিমান-বাবুর সঙ্গে তার বিয়ে হ'লে তুমি যে শুভ ফল বলছিলে তা লাঠি-খেলা ও অসি-শিক্ষা ఆసి( کي ফলবে না। জুলুম জবরদস্তি যদি বাস্তবিকই অস্কায় হয় তা হলে জবরদস্তি থেকে স্বমিত্রাকে তুমি রক্ষা কর। একবার তাকে গুণ্ডার হাত থেকে বঁচিয়েছিলে, এবার" তাকে তার মার হাত থেকে বচাও " ` মাধবীর এই সনিৰ্ব্বন্ধ সকাতর প্রার্থনায় সুরেশ্বর মনে মনে বিচলিত না হইয়া থাকিতে পারিল না।” কিন্তু তখনি নিজেকে সংযত করিয়া লইয়া বলিল, “না মাধবী, আমি এর মধ্যে নিজেকে জড়াব না। তুইও একেবারে এ ব্যাপার থেকে তফাৎ হ’য়ে থাকিস । সাপ নিয়ে খেলানর চেয়ে মানুষ নিয়ে খেলা করা অনেক বিপজ্জনক। জয়ন্তী, সুমিত্রা আর বিমান এ তিনজন মাচুবকে খেলান আমারও কাজ নয় তোরও কাজ নয়। এ অকাজের চর্চায় আর সময় নষ্ট না করে আয় আমাদের ষা কাজ তা একটু করি।” তাহার পর উপস্থিতের মতো এ প্রসঙ্গ বন্ধ রাখিয়া ভ্রাতাভগিনী দুইজনে দুইখানি চরকা লইয়া স্থত কাটিতে আরম্ভ করিল। ( ক্রমশ: ) শ্রী উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় লাঠি-খেলা ও অলি-শিক্ষা ( পুৰ্ব্বানুবৃত্তি ) - মৰ্ম্মস্থল শরীরের মধ্যে “মৰ্ম্মস্থল" নামক এমন কতকগুলি স্থান জাছে যাহাতে সামান্ত আঘাত করিতে পারিলেই অপেক্ষাকৃত আণ্ড ও অধিক ফল পাওয়া যায় ; সেই হেতুই মৰ্ম্মস্থল সম্পর্কেও সাধারণ জ্ঞান থাকা নিতান্তই আবশ্বক। মৰ্ম্মস্থলগুলি সম্পূর্ণ জ্ঞাত থাকিলেই প্রকৃত সংঘর্ষকালে প্রতিদ্বন্দ্বীর উপযুক্ত “ছিদ্র” সন্ধান সম্বন্ধে এবং আত্মছিদ্র ংগোপন ও সংরক্ষণ-সম্পর্কে যথেষ্ট সাহায্য হইয়া থাকে। তাই নিয়ে স্থপ্রতাঙ্গুমোদিত কতিপয় মৰ্ম্মস্থলের উল্লেখ করা গেল । মাংস, শিরা, স্নায়ু, অস্থি ও সন্ধিদিগের বিশেষ বিশেষ সন্নিপাত ও সংযোগস্থল মারাত্মৰৰ হেতু "মৰ্ম্ম” নামে অভিহিত হয় ; ঐ-সকল স্থানে স্বভাবতই বিশেষভাবে চেতনা ও প্রাণসমূহ নিবদ্ধ থাকে, সেই হেতুই মৰ্ম্মসমূহ আহত হইলে বিভিন্নরূপে প্রাণ-সঙ্কট উপস্থিত হয়। মৰ্ম্ম ক্ষত হইলে বায়ু প্রবৃদ্ধ হওয়াতে মৰ্ম্মবিদ্ধ ব্যক্তির সর্বশরীর বেদনাভিভূত হইয়া প্রলয় প্রাপ্ত হয়, অর্থাৎ শরীর-যন্ত্র-সকল বিকল হইয়া যায়, এবং তাছার সংজ্ঞাও বিনষ্ট হয়। শরীরে সাধারণতঃ একশত সাতটি মৰ্ম্ম আছে, তন্মধ্যে হস্তপদাশ্রিত মৰ্ম্ম অপেক্ষা স্বল্কাশিত মৰ্ম্ম-সকল গুরুতর, কারণ হস্তপদাশ্রিত মৰ্ম্ম স্কন্ধাপ্রিত মর্মেরই জাপ্ৰিত ; আবার স্কন্ধাশিত মৰ্ম্মাপেক্ষ হৃদয়, বস্তি ও শিৰোগত মর্শসমূহ প্রধান, কারণ ইহারাই শরীরের মূল ।