পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা হ’লে অস্ত অবস্থা সব অপরিবর্তিত থাকলে আসল মাইনে কমেছে, ধরতে হবে । তেমনি যদি মাইনে সমানই থাকে আর কাজ আগের চেয়ে বেশী সময় বা অসময়ে করতে হয় তা হ’লেও আসল মাইনে কমূল, ধরতে হবে ; কেননা বেশী কষ্টজনক কাজ করে সমান মাইনে পাওয়া ক্ষতির চিহ্ন। আগে যদি শ্রমজীবীকে ভোর পাঁচটায় উঠতে হ’ত আর এখন ধদি ৪টায় উঠতে হয়, আগে যদি কারখানায় পাখা, খাবার জল, পরিচ্ছন্নত দুৰ্গন্ধনাশ ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকৃত আর এখন যদি না থাকে তা হ’লে সে-সব ক্ষেত্রে মাইনের টাকা এবং তার কিনৃবার ক্ষমতা অপরিবর্তিত থাকুলেও শ্রমজীবীর অবস্থা খারাপ হয়েছে বা আসল মাইনে কমেছে, ধরতে হবে । কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, টাকার মাইনে ব্য সামাজিক আয়ের অংশ দরিদ্রের সমান থাকলেও সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য অন্ত দিকু দিয়ে কমতে পারে এবং দরিদ্রের স্বাচ্ছল্যের অভাব বলে"ই এদিকে বেশী নজর দেওয়া দরকার। সামাজিক শ্রমশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে হ’লে বা বাড়াতে হ’লে শ্রমজীবীদের জীবন-যাত্রার (standard of living) দিকে বিশেয লক্ষ্য রাখা দরকার । অধিক সময় কাজ করা, শিশু বয়সে কাজ করা, সস্তান-পালনে অবহেলা করে স্ত্রীলোকের কাজ করা, অন্তঃসত্ত্ব। অবস্থায় কাজ করা ইত্যাদি মান কারণে সমাজের শ্রমশক্তি কমে যায় এবং তার উপর স্বাচ্ছন্দ্ব্য সাক্ষাৎভাবেও ক’মে যায় । শ্ৰম কবুলে বিশ্রামের প্রয়োজন। যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম না করলে শ্রমশক্তি কমে যায়। ৮ ঘণ্ট শ্রম করে যদি ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম যথেষ্ট হয় তা হ’লে ১• ঘণ্টা কাজ করলে ১০ ঘণ্টার চেয়ে বেশী বিশ্রাম দরকার হয়। অর্থাৎ শ্রমের সময়ের তুলনায় বিশ্রামের প্রয়োজন বেশী হারে বেড়ে চলে । এবং ফলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশী সমস্থ কাজ করলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যথেষ্ট বিশ্রাম-পাওয়া বলে না। যেমন ०० घन्छे कांख कद्रुtण युक् िs२ घ*ठी विश्धांम गद्भकांद्र হয় এবং ১২ ঘণ্টা কাজ করলে যদি ১৫ ঘণ্টা বিশ্রাম দরকার হয়, তা হ’লে যে, শ্রমজীবীর ১২ ঘণ্টা কাজ করে' সামাজিক শ্রমশক্তি ও তাঁহার ব্যবহার SeMMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAMA AM MMM AA AMMAeAAA AAAA AAAA SAAAAASA SAA AAAA AAAA AAAAMAMS MAAA SAAAAA S AAAAA MMA MM MA AAAA AAAA AAAA AAAA SSSSSS MMMMM MAMAAA AAAA AAAA AAASS (5 ه مb AAAAS SAAAAAA AAAA SAAA AAAA ASA MMMAAA AAAA SAAAAA MMS তাদের পক্ষে যথেষ্ট বিশ্রাম লাভ এই গ্রহেতে সম্ভব নয় ; ২৭ ঘণ্টায় দিন হয় এমন গ্রহ একটি তাদের জন্ত খুঁজে বের করা দরকার । , * * مہینے আমাদের দেশে বেশীর ভাগ শ্রমজীবীই অত্যধিক সময় কাজ করে। ফলে তাদের শ্রমশক্তি ও জীন 't শক্তি ক্রমশঃ কমে যায় এবং শেষে হয় অকালমৃত্যু। বেশী সময় কাজ করলে যে কাজ বেশী হয় তা নয়। ৮ ঘণ্টা ভাল করে’ ও ‘ফুর্তির সঙ্গে কাজ করলে যা কাজ হয়, ১২ ঘণ্টা অসাড়ভাবে ও কপাল চাপড়ে অদৃষ্টকে গাল দিয়ে কাজ করলে তার চেয়ে কাজ কম হওয়ারই সম্ভাবন । মানুষ শুধু ভ্ৰব্য উৎপাদলের জস্য নক্স, ভ্ৰব্য উৎপাদনও মানুষের জন্তু, এই কথাটা মনে রাখা সব সময় দরকার। অর্থাৎ মাহুষ দ্রব্য বা ভোগ্য উৎপাদনের উপায় ও উদ্দেশ্য দুই-ই । কাজেই বে-ভাবে কাজ করলে তার শরীর মন অসাড় হ'য়ে যায় এবং ভোগে স্বথ থাকে না ও অকালমৃত্যু ঘটে সেভাবে কাজ করে উৎপাদন বেশী হ'লেও সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকে দেখলে তা করা উচিত নয়, এবং বৈজ্ঞানিক-ভাবে যখন প্রমাণ করা যায় যে বেশী সময় কাজ করলে কাজ কম হয়, তখন ত আরও উচিত নয় । ত৷ ছাড়া শ্রমজীবীকে যদি যন্ত্র হিসাবেই ধরা যায় তা হ’লে দেখি যে যে যন্ত্র মাত্র কুড়ি বছর কাজ দেয় তার চেয়ে যে-যন্ত্র তিরিশ বছর কাজ দেয় তার মুল্য বেশী, যদি না প্রথম যন্ত্র দ্বিতীয়ের দেড়গুণের বেশী কাজ দেয় । দিন ৮ ঘণ্টা কাজ করলে যা কাজ হয় ১২ ঘণ্টা করলে বিজ্ঞান বলছে তার চেয়ে কমই হয়। কাজেই দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে? কেউ ৮ ঘণ্টা কাজ করার দেড় গুণ কাজ দেবে এ-আশা বাতুলের আশা। কেউ বলবেন, আমরা দেখি ৮ ঘণ্টায় যা কাজ পাই ১২ ঘণ্টায় তার চেয়ে বেশী পাই। কিন্তু তা তারা পান সচরাচর ১২ ঘণ্টা কাজ করিয়ে এইপ্রকার শ্রমজীবীর কাছ থেকে । কম সময় কাজ করিয়ে বেশী বিশ্রামের স্থযোগ দিয়ে কেউ দেখেছেন কি ? কম সময় কাজ করান স্বরু করলে গোড়ার দিকে কিছু झेिन कय कांछ পাওয়া যেতে পারে বটে, কিন্তু সেটা শীঘ্রই কেটে যায়।