পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bుe$9 ہسے. حصہ AASAASAASAASAASAASAA AAAA AAASA SAAAAS क्८िङ्ग' ७८णन । त्रांनन-वांबूझ गएष cमथl श्वां माज বিনয়-বাৰু তাড়াতাড়ি সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করলেন, “রতনের খেন খবর গেছে?" ... মাথা নেড়ে জানালেন, না । No. ধর্থনয়-বাবু একটু চিস্তিতস্বরে বললেন, “আনন্দ, আমি কি করব বুঝতে পারছি না ভাই । রতন চলে যাওয়ার পর থেকেই স্থমিত্রা যেন কেমন এক-রকম হয়ে গেছে। সৰ্ব্বদা মুখ বিমৰ্ষ ক'রে থাকে, ঘরের কোণ ছেড়ে বেরুতে চায় না, কারুর সঙ্গে কথা কয় না,-আমার বড় ভাবনা হচ্ছে, শেষটা কোন শক্ত অস্বখে না পড়ে । রতনের অভাবটা যে সে এমনভাবে অঙ্গভব করবে, এ সন্দেহ ত আমি কোনদিনই করি-নি! এখন উপায় কি ?” আনন্দ-বাৰু অনেকক্ষণ স্তন্ধ হ’য়েরইলেন, তার বুঝতে দেরি লাগল না যে, সুমিত্ৰা রতনকে ভালোবাসে !...... একবার এদিকে-ওদিকে পাইচারি ক’রে শেষটা তিনি বললেন, “কোন উপায়ই নেই! এখন যদি রতনকে পাওয়া যেত, তা হ’লে আর ভাবনা থাকৃত না বটে, কিন্তু রতন এমন অজ্ঞাতবাসে গেছে, যে, কিছুতেই আমি তার সন্ধান ক'রে উঠতে পারলুম না!" মি: চ্যাটাে ঘরের এক কোণে এতক্ষণ চুপ ক’রে বসে ছিলেন। এখন তিনি মুখ টিপে একটুখানি হেলে বললেন, “মি সেন যখনি বেনো-জল ঘরে ঢুকিয়েছিলেন, তখনি আমি বুঝেছিলুম, যে, তিনি এমনি বিপদে পড়বেন ।” কিন্তু তার ব্যঙ্গপূর্ণ কৌতুকের উত্তরে বিনয়-বাবু বা আনন্দ-বাবু কিছুই বললেন না । একটু পরে বিনয়-বাবু বললেন, “আনন্দ, আর-একটা কথা তুমি শোন-নি বোধ হয়। আমি স্থির করেছি, এই মাসেই সুনীতির বিবাহ দেব।” আনন্দ-বাবু বললেন, "কুমার-বাহাদুরের সঙ্গে " —“হঁ্যা । আমার ইচ্ছা ছিল বিবাহটা আরো কিছুদিন পরে হয়। কিন্তু কুমার-বাহাদুর আর অপেক্ষ করতে পারছেন না।" —“cকন, তার এতটা তাড়াতাড়ি কিসের ?” মি: চ্যাটো বললেন, "কুমার-বাহাদুর পরের মাসে ৰিলতে যাবেন ।” ' o }. عمد-مسید۔س প্রবাসী-চৈত্র, ১৩৩• ২৩শ ভাগ, si વિવાહ আনন্দ-বাৰু কেবলমাত্র বললেন, “বটে ".. ...... ! দিন-পাচেক পরে একদিন সকালে জানন্দ-বাৰু সমাগত রোগীদের পরীক্ষা করছেন; এমন সময়ে একটি ভদ্রলোক এলে ঘরের ভিতরে ঢুকূলেন। আনন্দ-বাৰু জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কাকে চান ?” ভদ্রলোকটি বললেন, “এখানে কি বাবু রতনকুমার রায় ব’লে কেউ থাকেন ?" আনন্দ-বাবু একটু আশ্চৰ্য্য হ’য়ে বললেন, “হ্যা, রতনবাবু আমার বন্ধু বটে, কিন্তু এ বাড়ী ত তার নয়, এখানে তিনি কোন কালেই থাকেন না।” —“এটা যে তার বাড়ী নয়, আমিও তা জানি । কিন্তু যে মেসে তিনি থাকৃতেন, সেখানকার লোকেরা বললে, এখানে এলেই আমি রতন-বাবুর খবর পাব ।” —“রতন-বাবুর সঙ্গে আপনার কি দরকার ?” —"বিশেষ দরকার, মশাই! আর এ দরকার আমার চেয়ে রতনবাবুর নিজেরই বেশী। আমি তার অ্যাটর্ণির বাড়ী থেকে আসছি !” অভ্যস্ত বিশ্বতস্বরে আনন্দ-বাবু জিজ্ঞাসা করলেন, “রতনের কোন অ্যাটর্ণি অাছেন নাকি? কৈ, এ কথা ত আমি শুনি-নি !” —“কুমারপুরের জমিদার স্বরেন্দ্রনাথ চৌধুরীর সমস্ত সম্পত্তি রতন-বাৰু পেয়েছেন । সেই স্বত্রেই স্বরেন্দ্র-বাবুর অ্যাটর্ণির কাছ থেকে আমি এসেছি। রতন-বাবু বোধ হয় স্বরেন্দ্র-বাবুর মৃত্যুসংবাদ এখনো শোনেন-নি। আনন্দ-বাবু সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করলেন, “স্বরেন-বাৰু কি রতনের মাতুল ছিলেন ?” —"আঙ্কে হঁ্য ।” - —“কিন্তু আমি ত জানতুম, রতনের এক মামাতো ভাই আছে ” —হঁ্যা। কিন্তু স্বরেন-বাবুর মৃত্যুর পরে এক হস্তার মধ্যেই তার নাবালক পুত্র কলের রোগে হঠাৎ মারা পড়েছেন। স্বরেণ-বাবুর নিকট-আত্মীয়দের মধ্যে এখন কেবল রতন-বাবুই বর্তমান ।” অভিভূতকণ্ঠে আনন্দ-বাৰু বললেন, “জভাবনীয়