পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७* नरथn J —“তবে ?" —“আমার ভালো লাগছে না।” —“কাকে, আমাকে ?” স্বমিত্রা ধীরে ধীরে চোখ খুললে। একটু চুপ ক’রে থেকে বললে, “যদি তাই বলি, তা হ’লে ?” ब्रउन श्रउँौब्ररूt% रुन्हण, :ཨོཾ་ཅ། হ’লে আমার দুর্ভাগ্য ব'লে মনে করব।” - —“কেন ?” —“আমাকে ভালো না লাগার কোনো কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আমি তোমাকে আত্মীয়ের মতোই দেখি।” স্বমিত্রা তিক্তস্বরে বললে, “আপনি আমাকে আত্মীম্বের মতন দেখেন, না পূর্ণিমাকে ?” —"মিত্র, কথাবাৰ্ত্তার মধ্যে পূর্ণিমাকে তুমি কি কখনো ভুলতে পারবে না ? —“কখনো না, কখনো না! আপনি আমাকে আত্মীয়ের মতোই দেখেন বটে ! তাই কটক থেকে চিঠি লিখেছেন পূর্ণিমাদের বাড়ীতে, এখানে এসে উঠেছেন পূর্ণিমাদের বাড়ীতে । বাবা নিজে যেচে ডাকৃতে ন গেলে হয়ত আমাদের বাড়ীতে আজ আপনার পায়ের ধুলোও পড়ত না। রতন-বাৰু, এ চমৎকার আত্মীয়তা ! এখন আপনি জমিদার হয়েছেন, আমাদের আর মনে থাকুবে কেন ?” রতনের মুখ আরক্ত হয়ে উঠল। কোনোরকমে রাগ সামূলে সে বললে, “স্বমিত্র, অবুঝ হোয়ে না। মনে ক'রে দেখ, কি-ভাবে তোমাদের কাছ থেকে আমি বিদায় নিয়ে গিয়েছিলুম! তার পরও নিজে থেকে যেচে তোমাদের চিঠি লেখা ৰা তোমাদের বাড়ীতে আসা কি আমার পক্ষে শোভন হ’ত ?” রতনের কথায় কর্ণপাতও ন ক’রে স্বমিমা আবেগভরে বললে, “কিন্তু মনে রাখবেন, যে-দিন আপনি গরীব ছিলেন, সেইদিনই আমি ভিখারীর মত আপনার পায়ের তলায়-” রতন বাধা দিয়ে বললে, “মুমিত্র, স্বমিত্ৰা ! জাগে গল্পীৰ ছিলুম ব'লে অনেকের কাছে অনেক অপমান লয়েছি । আবার, এখন ধনী হয়েছি ব'লেও কি সকলের কাছে আমাকে অপমান সইতে হবে ?” বেনো-জল b-ծ Ֆ স্বমিত্রা সিধা হয়ে উঠে বসল। তীব্রস্বরে বললে, “কিন্তু আমাকেও আপনি কি অপমানটা ক’রে গেছেন, তা কি আপনার মনে আছে ?” রতন সবিস্ময়ে বললে, “আমি তোমাকে অপমান করেছি, স্থমিত্রা ?” —“হ্যা, আপনি আমাকে অপমান করেছেন ! আপনার পায়ের তলায় আমি পড়েছি, তৰু আপনি মুখ ফিরিয়ে চলে গেছেন । নারীর এর চেয়ে বড় অপমান আর কি আছে, বলতে পারেন ? সেই দীনতার লাঞ্ছনার কথা মনে করলে লঙ্গায় ঘৃণায় আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হয় ! ও :, আজি ফু-মাস ধ’রে যে কি যন্ত্রণাই আমি সহ্য করছি, আপনি তা বুঝতে পারবেন না, রতনবাবু!” রতন স্তব্ধ হ’য়ে বসে রইল । তার পরে.দুঃখিতস্বরে বললে, “মুমিত্র, তোমার নারীত্বের উপরে জামার শ্রদ্ধা আছে ব’লেই সেদিন আমি তোমার কথা শুনি-নি,— তোমাকে অপমান করা আমার পক্ষে অসম্ভব। বেশ, আমি না-জেনে যদি তোমাকে ব্যথা দিয়ে থাকি, তবে তুমি আমাকে ক্ষমা করে।” কুমিত্র আবার চেয়ারের উপর হেলে পড়ে দুই চোখ মুদে বললে, “এর জবাব আমি পূর্ণিমার কাছে আগেই দিয়েছি!” —“পূর্ণিমার কাছে " . —“হ্যা, আপনি কি শোনেন-নি ?” --"না” । —“এজীবনে আপনাকে আর আমি ক্ষমা করব না। আজ ধনী হয়েছেন ব’লে আবার আপনি এখানে এসেছেন, ভেবেছেন আপনার টাকা দেখে আমি অপমান ভুলে’ যাব ? তা নয় রতন-বাবু, অপমান আমি ভুলি ন!..... আপনাকে ক্ষমা করব না।" —“এই তোমার শেষ কথা ?* • ー"談n".... খানিকক্ষণ পরে স্বমিজো চোখ খুলে’ দেখলে, ঘরের ভিতরে রতন নেই—নিঃশব্দে কখন উঠে গেছে । e (ক্রমশঃ) শ্ৰী হেমেন্দ্রকুমার রাম