পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-8Ն SAMAeMAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA SAAAAA AAAA SAS SSAS লোক মরিয়াছিল, তাই বলা কঠিন । কিন্তু থাইতে না পাইলে দুর্বলতাবশতঃ মানুষের নানা-প্রকার পীড়া হয়, যা-ত খাইয়াওঁ ব্যারাম হয়। ১৯১৮-১৯ সালে ইনফুয়েঞ্জা মহামারীতে বাংলার সব জেলায় অনেক লোক মারা পড়ে। যে-সব জেলায় সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক লোক মরিয়াছিল, বাঁকুড়া তাহার মধ্যে অন্যতম । এ জেলায় সাধারণতঃ হাজারে যত লোক মার, সরকারী রিপোর্ট, অনুসারে ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জার দরুন তাহার উপর হাজারে আরো দশজন মরিয়াছিল। কোন কোন শহরে ইহা অপেক্ষাও অভিল্লিত্তৰ মৃত্যু অধিক হইয়াছিল ; যথা সোনামুখীতে হাজারে ২•৮ স্বাস্থ্যবিভাগের রিপোর্ট, অনুসারে, ইহার কারণ এই, যে, অনশনক্লিষ্ট লোকদের দুৰ্ব্বল দেহ রোগের আক্রমণ নিরস্ত বা সহ্য করিতে পারে নাই। ১৯১৯ সালেও ইনফ্লুয়েঞ্জা ছিল। স্বাস্থ্যবিভাগের রিপোর্টে দেখা যায়, জরে সাধারণতঃ যত লোক মরে, ঐ সালে ভtহর অভিfaক্ত হাজারকরা ৭১ জন লোক বাঁকুড়ায় মরিয়াছিল । এই জর সম্ভবতঃ অনেক স্থলে ইনফ্লুয়েঞ্জা । যাহা হউক, জরের নামটা যাহাই হউক, উহার অতিরিক্ত প্রকোপের কারণ যে অল্পকষ্টজনিত ক্ষীণ শরীর, তাহাতে সন্দেহ নাই । স্বাস্থ্যবিভাগের ১৯১৯ সালের রিপোটে লিখিত হইয়াছে, যে, ১৯১৮-১৯এর ইনফ্লুয়েঞ্জায় বাঁকুড়ার হাজারকরা ২৫ জন লোক মারা পড়িয়াছিল। স্বপুষ্ট ও সবল অনেক লোক ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা পড়িয়াছিল; কিন্তু ক্ষীণজীবীদের মৃত্যুই বেশী হইয়াছিল। ভা ছাড়া, পল্লীগ্রাম অঞ্চলে চিকিৎসার বন্দোবস্ত না থাকায় শহর অপেক্ষা গ্রামে মৃত্যুর হার বেশী হইয়াছিল । অতএব, মামুষের যথেষ্ট পুষ্টিকর খাদ্য চাই, চিকিৎসার ব্যবস্থাও গ্রামে গ্রামে চাই । ম্যালেরিয়ায় মানুষ মরে ইহা সত্য যাহার। থাইতে পায় না, তাহীদের বেশী ম্যালেরিয়া হয়, কিম্বা যে বৎসর লোকে খাইতে পায় না, সেই বৎসর বেশী ম্যালেরিয়া হয়, একথা সরকারী কৰ্ম্মচারীরা ভাল করিয়া স্বীকার করিতে চান না। র্তাহারা মশার উপর ম্যালেরিয়ার সব দোষট চাপাইয়া নিশ্চিন্তু প্রবাসী—চৈত্র, OLLA কথা ; কিন্তু - [ २७° उsiन्, २श्न क्ष९ इहे८ङ क्रांन । क्रूि ७णाश्रङ्गांनौछिब्र बिछैनिकांब ५ কথাটা খুব নরম ভাবে স্বীকৃত হইয়াছে।* উহ ইংরেজদের প্রধান বিশ্বকোষ। স্বাস্থ্য-বিভাগের ডিরেক্টর ডাক্তার বেণ্ট লীর সত্য কথা বলিবার অভ্যাস থাকায় তিনিও একথা একটু প্যাচাইয়া স্বীকার করিয়াছেন।+ অতএব বাঁকুড়ায় ম্যালেরিয়া কমাইতে হইলে যেমন চিকিৎসা ও ঔষধের এবং মশা মারিবার বন্দোবস্ত চাই, অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন রক্ষা ও সংগ্রহের ব্যবস্থাও সেইরূপ চাই । বাঁকুড়া জেলার কতকটা অপেক্ষাকৃত নীচু ও সমতল এবং কতকটা উচু ডাঙ্গা জমী । মোটামুটি সদর সবডিবিজন উচু এবং বিষ্ণুপুর সব ডিবিজন সমতল, এইরূপ বলা যাইতে পারে । এই কারণে সদর সবডিবিজনে প্রতি বর্গ-মাইলে ৩৬১ জন, কিন্তু বিষ্ণুপুর মহকুমার প্রতি বর্গ-মাইলে ৪৬৫ জন লোকের বাস । দিনাজপুরের বালুঘাট মহকুমা, এবং জলপাইগুড়ি ও পাৰ্ব্বত্য-চট্টগ্রাম জেলাদ্বয় ব্যতীত, বাঁকুড়ায় শতকরা যত লোক আদিম-জাতীয়, সাওতাল প্রভূতি, অন্ত কোথাও তত নহে। এইজন্য অদিম-জাতীয় লোকদের শিক্ষাদির বিশেষ ব্যবস্থ। না করিলে বাঁকুড়ার সমাক্‌ উন্নতি হইবে না । পাৰ্ব্বত্য-চট্টগ্রাম ও দাজিলিং ছাড়া আর সব জেল। অপেক্ষ এ জেলায় শতকরা মুসলমান কম । জেলার মোট ভূমির শতকরা সাত অংশের উপর বনজঙ্গল আছে। ইহা বেশী নহে। ইহা রক্ষা করা দরকার, কেবল গৃহনিৰ্ম্মাণের ও জালানী কাঠের জন্যই যে ইহা দরকার, তা নয় ; জর্মী ও বাতাস সরস রাখিবার জন্যও অবিশ্বা ক ! জেলার উচ্চ ডাঙ্গা অংশ হইতে জল নিঃসারণ

  • “... malnutrition is also believed to increase susceptibility ; both should therefore be avoided.” lEncyclopaedia Britannica, vol. xvii, p. 464.

+ “He holds that in a large measure malaria is not a root cause of depopulation, but appears in localities which suffer adverse economic conditions,...” Bengal Census Report, 1921, p. 37.