পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ • দেশের আয়ব্যয় প্রতিবৎসর ফাঙ্কন মাসে সমগ্র ভারতবর্ষের ব্যবস্থাপক সভায় এবং প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে ভারতবর্ষের ও ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের আগামী বৎসরের আনুমানিক আয়ব্যয়ের আলোচনা হইয়া থাকে। ভারতবর্ধের ব্যবস্থাপক সভায় দেশের প্রতিনিধিরা প্রতিবৎসরই বলেন, সামরিক ব্যয় অভ্যন্ত বেশী করা হয়, ও প্রধানত: ভজন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা কৃষি শিল্প বাণিজ্য প্রভৃতির জন্ত যথেষ্ট ব্যয় করিবার টাকা থাকে না। তা ছাড়া, ইহাও বার বার বলা হইয়াছে, যে, ভারতবর্ষ গরীব দেশ, অথচ ইহার উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীদের বেতন খুব ধনী দেশসকলের সেইরূপ পদস্থ কৰ্ম্মচারীদের বেতন অপেক্ষা অধিক, এবং অন্যান্য বন্দোবস্তও ঐরূপ বহুব্যয়সাধ্য। সুতরাং যাহাতে দেশ স্বাস্থ্যকর হয়, সৰ্ব্বত্র সুগম হয়, বাণিজ্যের সুবিধা বাড়ে, দেশের লোকদের জাহাজ কারখানা প্রভৃতি বাড়ে, শিক্ষণ স্বাস্থ্য ভাল হয়, তাহার জন্য যথেষ্ট টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নাই । যাহারা স্বরাজ চান, তাহীদের মধ্যে ছুটি দল আছে। কেহ কেহ চান, যে, আভ্যস্তরীণ সামরিক, বাণিজ্যিক ও পররাষ্ট্রবিষয়ক সমগ্রভারতীয় সব কাজের উপর দেশের লোকদের কর্তৃত্ব হউক । অস্যেরা চান, যে, বাণিজ্যশুদ্ধাদি-বিভাগ যুদ্ধবিভাগ ও পররাষ্ট্রবিভাগ ছাড়া আর সব বিভাগ অর্থাৎ আভ্যন্তরীণ আর সব ব্যাপার ব্যবস্থাপক সভাসকলের ও তঞ্ছার নিৰ্ব্বাচিত মন্ত্রীদের অধীন হউক । “প্রকাশ থাকে, যে,” দেশী রাজ্যগুলির সহিত আমাদের যে যে বিষয়ে সম্পর্ক, তাহাও পররাষ্ট্র-বিভাগের অন্তর্গত। শেষোক্ত দল যাহা চান, তাহ পাইলেও কোনই লাভ নাই, এমন কথা বলিতে, পারি না । কিন্তু ইহা নিশ্চিত, যে, তাহাতে বিশেষ কিছু লাভ নাই । কারণ, ঐরূপ ব্যবস্থায়, এখন প্রদেশগুলিতে দেশের লোকদের যতটুকু কর্তৃত্ব হইয়াছে, সমগ্রভারতে তার চেয়ে বেশী কর্তৃত্ব হইবে না । একটা দৃষ্টান্ত লউন। এখন প্রদেশগুলিতে যেমন পুলিশের উপর কর্তৃত্ব ও তাহার জন্য ব্যয় করিবার ক্ষমতা বিদেশী প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্টের আছে, তখন তেমনি সমগ্র-ভারতে সৈন্যদলের উপর কর্তৃত্ব ও তাহার জন্য ব্যয় করিবার ক্ষমতা বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্টের থাকিবে । এখন যেমন পুলিশের জন্য ব্যয় খুব বেশী করা হয়, তখুন তেমনি যুদ্ধবিভাগের ব্যয় ( এখনকারই মত ) বেশীরকম করিবার ক্ষমতা বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্টের থাকিবে। সুতরাং জাতীয় উন্নতির জন্য আবশুক কাজের নিমিত টাকা এখন যেমন পাওয়া যায় না, পরেও সেই অবস্থা থাকিবে । হয়ত সামান্য কিছু স্ববিধা হইতে পারে । কিন্তু তাহা গণনার মধ্যে ধরিবfর যোগ্য নহে । সৈনিক বিভাগের ভার বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্টের হাতে রাখিয়া দেওয়ার মানেটা ভাল করিয়া বুঝা আবশ্বক। বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্ট, বলিবেন, দেশের আভ্যন্তরীণ শাস্তিরক্ষার জন্য এত সৈন্য চাই, এবং তাহীদের খরচ এত চাই । আমাদিগকে তাহা দিতে হইবে । বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্ট, বলিবেন, পরদেশীর আক্রমণ হইতে দেশরক্ষার জন্য এত সৈন্য ও এত টাকা ব্যয়ের বরাদ্ধ চাই । আমাদিগকে তাহ দিতে হুইবে । লৈনিক-বিভাগ ছাড়া পররাষ্ট্র-বিভাগের ভীর বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্টের হাতে রাখার মানেটাও প্রণিধানযোগ্য। মানে এই, যে, পরদেশের সহিত ঝগড়া বাধান, নাবাধীন ঐ গবর্ণমেন্টের ইচ্ছা ও ক্ষমতা-সাপেক্ষ থাকিবে। পরদেশের সহিত বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্ট এপর্যন্ত যত যুদ্ধ ও সন্ধি করিয়াছেন, তাহা কেবল ভারতবর্ষের মঙ্গলামঙ্গলের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া করেন মাই, ভারতবর্য