পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8غيره AeAM AeMAeeS করিবার ব্যবস্থা হইয়াছে।” অথচ এই ইংরেজ গবর্ণমেন্টেরই কৰ্ম্মচারী শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্ত বলিতেছেন, “Now, if your want to give a sufficient watersupply to each village, I am sure you will require at least Rs. 50 crores, if not Rs. too crores,” “so আপনার প্রত্যেক গ্রামকে যথেষ্ট জল দিতে চান, তাহ হইলে, একশত কোটি টাকা না হউক, পঞ্চাশ কোটি টাকার দন্থকার হইবে।” যেখানে একশ কোটি টাকা দরকার, সেখানে পঞ্চাশ হাজারের বরাদ্দ পিত্তিরক্ষা বই আর কি ? আমরা যে কথাটা বলিতেছিলাম, তাহা হইতে অনেক দূরে আসিয়া পড়িয়াছি। আবার তাহার অমুসরণ করা যাক । ইহা সত্য, যে, মাহুষের দৃষ্টিতে বর্তমানে ভারতবর্ষে এমন কোন ভারতীয় নাই যিনি আজ কিম্বা কাল প্রধান সেনাপতির বা তাহার নীচের পদের কাজ করিতে পারেন। কিন্তু ভগবানের দৃষ্টিতে কি আছে, কেহ জানে না । হায়দার আলি বা শিবাজী অশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও যে অত বড় নেতা হইবেন, কে ভাবিয়াছিল যাহা হউক, ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের পিত্তিরক্ষা নীতি বলবৎ থাকিলে একশত বৎসর পরেও উক্ত গবর্ণমেণ্ট ঠিক বলিতে পরিবেন, “কৈ, তোমাদের মধ্যে যোগ্য লোক ত দেখিতেছি না ?" অতএব, এই নীতিটা এখনই, এই বৎসরষ্ট, পরিবর্তন করা দরকার । ইহাতে ভাবিবার কিছু নাই, রয়্যাল কমিশুন বসাইবারও কোন দরকার নাই। ঐযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল যে প্রস্তাব করিয়াছিলেন, যে, আপাততঃ সামরিক বিভাগ বাদে অন্ত সব বিভাগে দেশের লোকদিগকে কর্তৃত্ব দেওয়া হউক, এবং দশ বৎসর পরে সামরিক বিভাগেও কর্তৃত্ব দেওয়া হউক ও তজন্ত এখন হইতে আয়োজন করা হউক, তাহা সমীচীন। ইংরেজ প্রধান সেনাপতি বলিতে পারেন, “আমার প্রধান সেনাপতি হইতে পচিশ বৎসর লগিয়াছে ; অতএব তোমরা হঠাৎ কালই প্রধান-সেনাপতি হইতে পার ন” ; কিন্তু তিনি পচিশ বৎসর আগে যে সামরিক শিক্ষা পাইয়াছিলেন, এবং, শিক্ষাস্তে যে কাজ ও উন্নতির আশা পাইয়াছিলেন, সেই ২৫ বৎসর আগে কোমু ভারতীয়কে সেই শিক্ষার, সেই প্রবাসী—চৈত্র, YêOe [ २०* छाँग, २अ १e' .ബാ कछि यांतिब्र ७ ८गहे उदिश९ छब्रङिद्र जांभांब्र श्रषांत्र দেওয়া হয় নাই ; এখনও হইতেছে না। সুতরাং তিনি যে কথা বলিয়াছেন, তাহা অনভিপ্রেত বা অভিপ্রেত উপহাস ও বিদ্রুপ বলিয়াই আমরা ধরিব । জামরা এখন ছত্ৰভঙ্গ অবস্থায় দুৰ্ব্বল আছি। সুতরাং আমাদিগকে উপহাস করা সোজা । কিন্তু আমরা কখনও সংঘবদ্ধ ও শক্তিমান হইতে পারিবই না, এমন বলা যায় না। এবং তাহা হইতে কত অল্প বা দীর্ঘ কাল লাগিবে, তাহাও জানা নাই। অন্ততঃ ভারতের বন্ধু কিম্বা ভারতগ্রাসেচ্ছ, অন্য কোন জাতিও শক্তিমান হইতে পারে। স্থতরাং ইংরেজই বরাবর ভারতের ভাগ্যবিধাতা থাকিবে, র্তfহাদের এরূপ মনে করিবার যথেষ্ট হেতু নাই। অতএব, ধর্মের অনুগত হইতে হইলে সকল বিষয়ে পিত্তিরক্ষার নীতি ত্যাগ করা ত উচিত বটেই, সাংসারিক লাভালাভ বিবেচনার দিক্ দিয়াও উহা কৰ্ত্তব্য। কেননা, ভারতবর্ষ স্বাধীন বা স্বশাসক হইবেই । স্বাধীন বা স্বশাসক ভারতবর্ষের বন্ধুত্ব ও সম্ভাবের মুল্য আছে, ইহা ইংরেজের বুঝা উচিত। আমেরিকায় উচ্চ রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচারীর বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সম্প্রতি একটি গুরুতর গোলযোগের স্বত্রপাত হইয়াছে। উক্ত রাষ্ট্রের নৌবহর দেশরক্ষার অবশ্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ; এবং অনেক যুদ্ধজাহাজ পেট্রোলের সাহায্যে চালিত হয় বলিয়া রাষ্ট্রের কর্তারা ১৯১৫ খৃঃ অব্দে ওয়ায়োমিং প্রদেশের অন্তর্গত টপটু ডোম্ নামক তৈলক্ষেত্র বিশেষ করিয়া ভবিষ্যতে নৌবিভাগের প্রয়োজনের জন্ত আলাদা করিয়া রাখেন। টপটু ডোম্ ব্যতীত অন্ত দুইটি তৈলক্ষেত্রও ১৯১২ খৃঃ অব্দে এইপ্রকারে সংরক্ষিত করিয়া রাখা হয় । দেশপতি উইলসনের দেশপতিত্বের সময় যুক্তরাষ্ট্রে এইপ্রকারে তৈলক্ষেত্র সংরক্ষণের বিরুদ্ধে খুব আন্দোলন হয়। ১৯২০ খৃঃ অব্দে আইন করিয়া এইসকল তৈলক্ষেত্রগুলিকে নৌ-বিভাগের হস্তে সম্পূর্ণরূপে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে