পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংখ্যা ) বিবিধ প্রসঙ্গ—আমেরিকায় রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ المه" সমর্পণ করা হয়। নৌ-বিভাগ ৰেৰূপে উচিত মনে করেন, সেইরূপে সংরক্ষণ কাৰ্য্য সম্পাদন করিবেন, এইরূপ স্থির হয়। অপরকে তৈলক্ষেত্র ভাড়া দেওয়া, তৈল উত্তোলন বিনিময় ইত্যাদির অধিকারও নৌবিভাগের হস্তে আইসে। কিন্তু ১৯২১ খৃঃ অব্দে দেশপতি হার্ডিং এইসকল তৈলক্ষেত্রের ভার অভ্যন্তর-বিভাগের (Department of the Interior) &w of করেন । এই সময় অভ্যস্তর বিভাগের কৰ্ত্ত ছিলেন এলবার্ট, বি ফল (Albert B. Fall ) । ১৯২২ খৃঃঅন্ধে এই বিভাগের কৰ্ত্তার টপট, ডোম্ব তৈলক্ষেত্রটি রয়ালটির সর্তে হারী এফ. সিনক্লেয়ার নামক ব্যক্তির গঠিত একটি কোম্পানীকে ইজারা দেন। এই ঘটনার সমালোচনার উত্তরে বিভাগের কৰ্ত্তার উত্তর দেন, যে, ঐ তৈলক্ষেত্রের তৈল পাশ্ববর্তী সন্ট ক্রীকৃ নামক onto (Salt Creek Oil Fields) fee; foll অপরে লইয়া যাইতেছে ; স্বতরাং ইজার দিয়া তৈল উত্তোলনই স্ববুদ্ধির কার্য্য। নৌবিভাগের ক্যালিফোর্ণয়াস্থ দুইটি তৈলক্ষেত্রও এইরূপেই এল ডোহেনির গঠিত একটি কোম্পানীর হন্তে ১৯২১ ও ১৯২২ খ অৰে গিয়া পড়ে। কিছু কাল পূৰ্ব্বে এইসকল ঘটনার সমলোচনার এই কারণ ছিল, যে, এইরূপ করিয়া তৈল উত্তোলন অপেক্ষা তৈল ভূগর্তে থাকাই শ্রেয়। কিন্তু গত বৎসর কোন কোন গুজবের ফলে ব্যাপারটি নুতন মূৰ্ত্তি ধারণ করে। শুনা গেল, যে, টপট, ডোমের ইজারার খবর গবর্ণমেণ্টের পূৰ্ব্বে বাহিরে লোকের জানিতে পায় । এবং মিস্টার ফলের নিউ মেক্‌সিকোর জমিদারীতেও নাকি সেই সময় খুব ঐশ্বৰ্য্যাধিক্য দৃষ্ট হয়। মিস্টার ফল ইহার উত্তরে বলেন, যে, তিনি ওয়াশিংটন পোষ্টের সম্পাদক এডওয়ার্ড, বি ম্যাকৃলিন নামক বন্ধুর নিকট হইতে ১০০,০০০ ডলার ধার করিয়া জমিদারীর চেহারা ফিরাইতেছিলেন। ম্যাকলিন কিন্তু বলেন, যে, র্তাহার দত্ত চেক্‌গুলি ফল, না ভাঙ্গাইয়াই ফেরৎ দিয়া- . ছেন । ফল বলিলেন, তিনি ডোহেনি বা শিনক্লেয়ারের দিকট এক পয়সাও গ্রহণ করেন নাই । b盘@ গত জানুয়ারী মাসের শেষে যুক্তরাজ্যের ভূতপূৰ্ব্ব দেশপতি রোজেভেন্টের পুত্র আর্চিবল্ড, ডি রোজেভেন্ট, নিজ হইতে সাক্ষ্য দেন, যে সিনক্লেয়ার ফলের জনৈক কৰ্ম্মচারীকে টাকা দিয়াছেন । কর্ণেল জে ডবলিউ জেভলি [ সিনক্লেয়ারের টুনী ] সাক্ষ্য দেন, যে, ১৯২৩ সালে সিনক্লেয়ার ফলকে ২৫,০০০ ডলার ধার দেন। ইহা ব্যতীত তাহাকে ‘রুষিয়া যাইবার জন্য সিনক্লেয়ার আরও ১০,০০০ ডলার নগদ দেন । এক গবর্ণমেণ্টের কমিটি এইসকল সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ই এল ডোহেনি কমিটিকে বলেন, যে, তিনিই ১৯২২ খৃঃ অব্দে ফলকে ১০০,০০০ ডলার ধার দেন । এইসকল ঘটনা লইয়া খুব কেলেঙ্কারী হইতেছে। উচ্চ রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচারীর বিরুদ্ধে এইরূপ উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ খুবই চিস্তার বিষয় বলিয়া যুক্তরাজ্যের ংগ্রেস এই বিষয়ে অমুসন্ধান করিবার জন্ত এক লক্ষ ডলার ধাৰ্য্য করিয়াছেন। ভূতপূৰ্ব্ব এটণী জেনারেল গ্রেগরী এবং সাইলাস এইচ, ষ্ট্রন দুই জনকে এই অনুসন্ধানের জন্য নিযুক্ত করা হইয়াছে। ইহারা সব-কিছু তলাইয়া দেখিবেন । আগামী দেশপতি নিৰ্ব্বাচনের সময় টপট, ডোমের ব্যাপার লইয়া খুব গোলযোগ হইবে । বর্তমান দেশপতি কুলিজ ফলের সময়ে হার্ডিঙ্গের মন্ত্ৰীসভায় ছিলেন । এইজন্ত কোন কোন স্থলে তাহার নামেও দুর্ণাম দিবার উদ্যোগ হইতেছে। অবশু কুলিজের এতটা স্বনাম আছে, যে, এসকল অপবাদে অল্প লোকেই বিশ্বাস করিবে । রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে ব্যবসাদারী আমেরিকার বহুকালের অপযশের কথা । কিন্তু এরূপ ব্যাপার সে দেশেও বিরল । দেশপতি কুলিজ বলিয়াছেন, “যদি কেহ অপরাধ করিয়া থাকে, তাহার বিচার হইবে । যুক্তরাষ্ট্রের কোন সম্পত্তি যদি অবৈধ উপায়ে পরহস্তগত হইয়া থাকে তাহার পুনরুদ্ধার হইবে।” দেখা যাক কি হয় । দোষে সমান হইলেই গুণে সমান হওয়া যায় না, তা আমরা জানি ও বুঝি। স্বাধীন আমেরিকানদের যে-সব দোষ আছে, আমাদেরও সেইসব দোষ থাকিলে,