পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখn ) - ناحیخ ۶۰ییر মধ্যে তদ্রুপ ডাকাতি না হইলেও, অন্তবিধ রাষ্ট্রনৈতিক ডাকাত যে আমাদের মধ্যে আছে, তাছাতে সন্দেহ নাই । ইহার কেহ বা দেশের কল্যাণার্থ সংগৃহীত টাকা আত্মদাং করে, কেহ বা যে-কাজের জন্য টাকা সংগৃহীত হইয়াছে তাহাতে ব্যয় না করিয়া নিজের বা নিজের দলের উদেশ্ব সিদ্ধি বা প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির জন্ত তাহা ব্যয় করে। সরকারী কৰ্ম্মী বা বেসরকারী কৰ্ম্মী দেশী হইলেই বিশ্বাসযোগ্য হইবে, মনে করা ভুল। অবশু, গোড়াতেই বিশ্বাসযোগ্য কৰ্ম্মী নিযুক্ত বা নিৰ্ব্বাচিত করা চাই। তাহারু পরেও কিন্তু সৰ্ব্বদা তাহার উপর চোখ রাখা চাই । কেননা, কেহ বা প্রলোভনে অসাধু হয়, কেহ বা কুমতলবে অসাধু হয়, আৰাঁর কেহ বা অক্ষমতা- ও বুদ্ধিহীনতা-বশতঃ অপরের অসাধুতা নিবারণে অসমর্থ হইয়া সৰ্ব্বসাধারণের নিকট নিজেই অসাধু বলিয়। গণিত হয়। জাতীয় কাজের জন্য টাকা মানুষ চিনিয়া ভাল লোকের হাতে দিতে হয়, এবং দেখিতে হয়, যে, তাহার সদ্ব্যয়ের বন্দোবস্ত আছে কি না । বরাবর দৃষ্টি রাখিতে হয়, যে, সদ্ব্যয় হইতেছে কি না, হিসাৰ পাওয়া যাইতেছে কি না । এইরূপ সমাজাগ্রত ও সতর্ক থাকিলে, বর্তমানে জাতীয় উন্নতির জন্ত যত টাকা বাস্তবিক খরচ হয়, তাহ অপেক্ষা বেণী খরচ নিশ্চয়ই হইতে পারে। তা ছাড়া, আমাদের যে-সব মঠ মন্দির আখড়া আদি অাছে, তাহার আয় কখনও কতকগুলি মহান্ত পাণ্ড প্রভূতির ভোগবিলাসের জন্য অভিপ্রেত ছিল না। ঐগুলি যে যে ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের, তাহীদের কল্যাণার্থ তাছাদের আয় ব্যস্থিত হওয়া উচিত । এই উদ্বেগুসাধন যদি আমরা স্বয়ং করিতে না পারি, তাহা হইলে রাজশক্তির সাহায্য লইয়া আইন প্রণয়ন অবগুকৰ্ত্তব্য। “ধৰ্ম্মের উপর হস্তক্ষেপ করা হইতেছে, ইত্যাদি চীংকার জুড়িয়া দিলে, মহাস্ত পাণ্ড প্রভৃতিদের মধ্যে যাহারা দুবৃত্তি তাছাদের সুবিধাই করিয়া দেওয়া হয় । আমাদের অনেক সামাজিক ক্রিয়াকলাপে বিস্তর অপচয় হয়। অনেকে ঋণ করিয়াও অপচয় করে। ইহ। নিবারিত হইলে লোকহিত সাধনে আরো বেশী টাকা প্রযুক্ত হইতে পারে। বিবিধ প্রসঙ্গ-জাতীয় কাজে ব্যয় বাড়াইবার ক্ষমতা خمیر ناحیهای یخی حابر ۹۰ میرسی ۳ گی yప్రిలి: جمعیت حصه ۹جمعیسیخ حبیبی تعیی ৰহুকাল হইতে বহু দেশহিত্বৈৰী বলিয়া জালিতেছেন এবং ইহা সহজে বুদ্ধিগম্যও বটে, যে, আমরা পরম্পর. ঝগড়া বিবাদ না করিলে, এবং ঝগড় দ্বিবাদ ঘটিলে ञांरभीष्म उांश भिÉाहेञ्च ८फलिटल, cशांकणामांब्र थब्र5छै। दैiछिब्रां यांग्र । हेहां८ङ मशtञ्चब्र च भड यांरफ़ । यवञ्च টাকা হাতে থাকিলেই যে মানুষ সব সময় সৰা করিবে, এমন আশা করা যায় না । কিন্তু যদি স্ববুদ্ধি-বশতঃ মানুষ ঝগড়া বিৰাদ ন করে বা আপোলে মিটাইয় ফেলে, তাছা হইলে সেই স্ববুদ্ধি তাহাকে উদ্ধৃত্ত টাকার কিয়দংশ লোকহিতার্থ ব্যয় করিতেও প্রবৃত্ত করিতে পারে। সমগ্র ভারতবর্ষের আদালতের আয় কম নয় । ১৯২৯ সালে উহা সীত কোটি বারে লক্ষ বিরাশি হাজার পাচ শত “ পয়তাল্লিশ টাকা হইয়াছিল । তা ছাড়া, পক্ষদিগকে উকীল মোক্তার ব্যারিষ্টার খরচ, থোরীকী ও ভদ্বীরের খরচ প্রভৃতি করিতে হইয়াছিল। মোট খরচ পনর ষোল কোটি টাকা ধরিলে বেশী ধরা হইবে না । ইহার সিকি চারি কোটি টাকাও লোকহিতার্থ ব্যয়িত হইলে কত না মঙ্গল হয়! শুধু বাংলাদেশেই আদালতের আয় ১৯২০ সালে এক কোটি সাতাশি লক্ষ ছিয়াত্তর টাকা হইয়াছিল। এত আয় আর কোন প্রদেশে হয় নাই । বঙ্গে পক্ষদের মোট মোকদ্দমা খরচ চারি কোটি টাকা হইয়া থাকিবে । ইহার সিকি এক কোটি টাকাও লোকহিতার্থ বঙ্গে ব্যতি হইলে কত উপকার হয় । মহাত্মা গান্ধির দলের লোকের। যদি তাহার উপদেশ অনুসারে দেশের লোককে ঝগড়া বিবাদ হইতে নিবৃত্ত করিতে পারিতেন, কিম্বা ৰুগড় বিবাদ আপোসে মিটাইতে পারিতেন, তাহা হইলে দেশের মহা উপকার হইত। সমগ্র ভারতের ষ্ট্যাম্প-রাজস্ব ১৯২০-২১ সালে ১০,৯৫,৬৮,৪৮৩ টীকা—প্রায় এগার কোটি টাকা— হইয়াছিল । সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক বজে ২,৮২,২৯,১৭৪ টাকা । ইহারও অনেক অংশ অপচয় মাত্র ; তাহা বচাইয়া সৎকার্য্যে লাগাইতে পারা যায় । সমগ্র ভারতে কোর্ট-ফী ষ্ট্যাম্পেরই পরিমাণ ঐ সালে ৬,৭৮,৬১, ৩৭৩ টাকা । তাছার পর খুব বড় একটা অপব্যয় ধরুন। ইহা মদ গাজী প্রভৃতির জন্য ব্যয় । সমগ্র ভারতবর্ষে গৰণ মেন্টের