পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] কিন্তু বাংলার প্রধান আয়গুলি গ্রাস করা ভারতসরকারের জবরদস্তি মাত্র। প্রত্যেক প্রদেশ হইতে মোট আদায়ের শতকরা নির্দিষ্ট অংশ ভারত-গবর্ণেট লইলে ন্যায় বিচার হয়। গরীব প্রদেশগুলিকে না হয় কিছু মাফ করা যাইতে পারে। কিন্তু বাংলার রক্ত যেভাবে শোষণ করা হইতেছে, তাহ অতীব গহিত । অধ্যাপক চন্দ্রশেখর বেঙ্কট রমন বিলাতের রয়্যাল সোসাইটীর ফেলো অর্থাৎ সদস্য নির্বাচিত হইবার মত উচ্চ বৈজ্ঞানিক সম্মান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে আর নাই। ইতিপূৰ্ব্বে প্রথমে মান্দ্রাজের স্বৰ্গীয় গণিতজ্ঞ রামানুজন উহার ফেলো হইয়াছিলেন । তাহার পর আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বস্ব নিৰ্ব্বাচিত হন। এক্ষণে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের তারকনাথ পালিত অধ্যাপক চন্দ্রশেখর বেঙ্কট রামন রয়্যাল সোসাইটার ফেলো নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন । ইহা ভারতীয়দের পক্ষে আহলাদ ও গৌরবের বিষয়। অধ্যাপক রামন মান্দ্রাঙ্গে শিক্ষা লাভ করেন। তথাকার প্রেসিডেন্সী কলেজ হইতে ১৬ বৎসর বয়সে সহজেই প্রথম স্থান অধিকার করিয়া তিনি বি-এ পাস করেন, এবং তাহার দুই বৎসর পরে আগেকার সব এম এ অপেক্ষা বেশী নম্বর পাইয়া এম এ পাস করেন । প্রায় তাহার অব্যবহিত পরেই তিনি ভারতীয় হিসাববিভাগের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করিয়া সহকারী একাউণ্ট্যান্ট জেনারেল হন। তিনি ৩৫ বৎসর বয়সেই রয়্যাল সোসাইটর ফেলো হইয়াছেন, ইহা খুব প্রশংসার কথা। তিনি ভারত-গবর্ণ মেন্টের হিসাব-বিভাগের চাকরীতে থাকিলে কালে খুব মোট বেতন পাইতে পারিতেন ; কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরীতে তাহার অৰ্দ্ধেকও শেষ পর্য্যন্ত পাইবেন কিনা সন্দেহ । বিজ্ঞানের আকর্ষণে তিনি যে অর্থের মায়া কাটাইয়াছেন, রয়্যাল সোসাইটব ফেলো ۹-میر বিবিধ প্রসঙ্গ—অধ্যাপক চন্দ্রশেখর বেঙ্কট রামন অধ্যাপক চন্দ্রশেখর বেঙ্কট বামন, এফ আরএস্ নিৰ্ব্বাচিত হওয়ায় এই স্বাৰ্থত্যাগেব উপযুক্ত পুরস্কার হইয়াছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্যই এই ফেলোশিপ দেওয়া হয় । ১৭ বৎসর বয়সে ছাত্র থাকিতেই তিনি তাহার বৈজ্ঞানিক গবেষণার বৃত্তান্ত বৈজ্ঞানিক সাময়িক পত্রে প্রকাশ করিতে অীরস্থ করেন। ঐ বয়সে র্তাহার প্রথম গবেষণা ইংরেজী ফিলসফিক্যাল ম্যাগাজিনে মুদ্রিত হয়। গবেষণায় তাহার কুতিত্বের বিশেষত্ব এই, যে, তিনি কেবল ভারতবর্যেই , শিক্ষালাভ করিয়াছেন, কোনও প্রসিদ্ধ গবেষকের নিকট গবেষণ। শিখিবার স্বঘোগ পান