পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংথ্যা ] ہمالیہ হইয়াছে। তাহা আর কিছুই নহে পরাগ-বৃষ্টি ! অর্থাং বাতাসে সাদা ও লাল বর্ণের বেণু উড়িতেছিল, বৃষ্টির সহিত বর্ষিত হইয়াছে। কীট-বাহিত রেণুগুলি—বড়, শুয়যুক্ত বা আঠাল হয়, কীট-পতঙ্গের স্পর্শে আসিলে তাহদের গায়ে লাগিয়া যায় । পুপের বীজ গৰ্ভকেশরে বদ্ধ থাকে, বাহিরে আসিতে পারে ন—সুতরাং ফুলের অবরোধ-প্রথা আমাদের অপেক্ষা কম নহে। এই বীজই রূপান্তরিত হইয়া ভবিষ্যতে বংশ রক্ষা করে । ইহাদেরও আকার-প্রকার ভেদ আছে । শ্ৰী ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ বস্থ ফেরি ওয়াল ফেরি ওয়াল থেকে যাচ্ছিল—“চাই আম— পাক৷ আউম্‌” ! রাস্তার ধাবে বাবান্দায় জমিদাব-বব দাড়িয়ে ছিলেন —ডাক পড়ল ফেরিওয়ালাকে। দর-দপ্তর হ’ল। ফেরিওয়ালা বলে ১২টা, বাপু বলেন ; ০টা । ক্রমে বাবু ১৮ট। ক’বে নিতে স্বীকার করলেন । ফেবি ওয়াল অনেক অঙ্গনয-বিনয় কবে? জানালে ১২টাব বেশী সে দিতে পারবে না । গরীব লোক –বেশী লাভ নেই—কয়েকটি পোষ্য আছে, ইত্যাদি। বাবু তবু দর করতে ছাড়লেন না । তিনি ১৬টা পৰ্য্যন্ত নিতে পারেন। তখন ফেরি ওযtলা ফলের চ্যাঙারিট মাথায় তুলে নিয়ে বললে, “আমি গরীব মাহুষ, পাচ জায়গায় ফেবি করতে হবে--আমায় বিদায় দিন – আমি ১২টার বেশী দিতে পারব না। আমি দর-দস্তুর করি নে।” বাবু রেগে বললেন, “ব্যাট ধৰ্ম্মপুত্তর যুধিষ্ঠির ! ব্যাট ফেরিওয়ালা বলে কিনা দর-দপ্তর করি নে ?" সময়ের বৈ গুণ্যে সে আজ ফেরিওয়ালা—গালটা তার পচ্ছন্দ হ’ল না—সে ক্রুদ্ধভাবে উত্তর দিল, “বাবু, আপনি বড়লোক, আমি গরীব ফেরিওয়ালা, তাই বলে আমাকে গালাগালি কর। ছেলেদের পাত্তাড়ি—ফেরিওয়াল b 。 সামান্য ফেরিওয়ালা অত বড় একটা জমিদারকে অপমান কবে—তাকে কিনা প্রকারান্তরে অভদ্র বলে ! বাবু ভয়ানক রাগ লেন-পেয়াদ। ডাকূলেন, গরীবকে দুচার ঘা প্রহার দিয়ে তার ফলগুলো সব পথে ফেলিয়ে দিলেন । বেচারির সামান্ত পুজিটুকু নষ্ট হ’ল। পথে দাড়িয়ে সে এই অত্যাচার সহ কবুলে—তার মুখ দিয়ে একটি কথাও ফুটুল না। যখন ফলগুলে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল— তখন সে নিৰ্ব্বাকু স্তম্ভিত হ’য়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে’ পড়ল—ফলগুলো লোক ও ধান-বাহনের চলা-ফেরাতে সব ছড়িয়ে নষ্ট হ’য়ে যেতে লাগ ল—শুধু চেয়ে ফ্যালফেলিযে দেখতে লাগল। তার ক্ষতি যে কতটা হ’ল জানলেন শুধু সেই অস্তযামী । এক অব্যক্ত ব্যথায় উপর দিকে চেয়ে “হ ভগবান!" বলে উঠে দাড়াতেই তার মাথাটা কেমন ঘুরে গেল, নিজেকে সামূলীতে ন পেরে দ্রুতগামী একটা গাড়ীর আঘাতে সে পড়ে’ গিয়ে—অজ্ঞান হয়ে গেল । বাবু তখন তাব “বৈঠকে” বসে’ রাগের জেরটুকু অম্বরী তামাকের ধোয়ার সঙ্গে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন । & এই ঘটনার পর পাচ বছর কেটে গেছে। একটি আট বছবের ছেলে সেদিন সকাল-সকাল স্কুল থেকে বাড়ী কিরছিল। ছেলেটি বড়লোকের—বোঙ্গ দ্বারবান সঙ্গে করে আনে—আজ একটা অজানিত কারণে আগেই ছুটি হওয়াতে দ্বারবান আসেনি। বালক অপেক্ষা না করে’ পড়ার দুজন ছেলের সঙ্গে বাড়ী ফিরছিল । ছেলে দুটি তাৰ চেয়ে বয়সে বড়। পথের বাক ফিরতেই হঠাৎ একটা জুড়ী গাড়ী তাদের সামনে এসে পড়ল । কোচ ম্যান প্রাণপণে লাগামে টান দিলে। বড় ছেলে দুটি ছুটে ছুদিকে সরে গেল—তারা রোজ হেঁটেই যাওয়া-আসা কবে, কিন্তু ছোটটি পথ চলতে অনভ্যস্ত, ভয়ে কি রকম হতবুদ্ধি হয়ে সেইখানেই দাড়িয়ে পড়ল। পলক ফেলতে না ফেলতে বেগে জুড়ীট। একেবারে ছেলেটির একহাত তফাতে এসে পড়ল । কোচ ম্যান বহু যত্নে ও গাড়ীর বেগটা হঠাৎ সংযত করতে পারলে না । চারিদিক থেকে একট। হাহাকার রব উঠল।