b〜8 থেকে পড়ে গেছে—ভয়ে মুগ বিবর্ণ হ’য়ে গেছে—কিন্তু তবু সে সেখান থেকে নড়তে পারছে না। এইবার তার শবারট। বুঝি ঘোড়ার পায়ের তলায় চূর্ণ হয় ! ছুটে এসে কোথা থেকে একটা খোড়া ছেলেটাকে এক ধাক্কা দিয়ে ঘোড়ার পায়ের কাছ থেকে দূরে ছুড়ে' ফেলে দিলে, সঙ্গে সঙ্গে জুড়ীট। সেই খোড়ার ঘাড়ে এসে পড়ল। হঠাৎ গাড়াটা ও থেমে গেল । চক্ষের পলক ফেলতে না ফেলতে এই-সকল ঘটন হ’য়ে গেল । থে:ড়াকে যখন ঘোড়ার পায়ের তল থেকে টেনে বার করা হ’ল তখন সে উত্থানশক্তিরহিত । সংবাদ পাব৷ মাত্র বালকের পিতা ঘটনাস্থলে এসে গোড়ীকে দেখলেন, তাব চিকিৎসার রীতিমত ব্যবস্থা করলেন । যখন তার জ্ঞান ফিরে এল, তখন ধনী পিত উপকারীকে জানালেন যে প্রত্যুপকারে খপ্পকে তিনি মাসিক বৃত্তি দেবেন এবং তার চিকিৎসার সকল ভার বহন করবেন । খঞ্জ তখন কিছু স্থস্থ হয়েছিল, সে উত্তর দিলে, “বাপু, আমরা গরীব লোক, কিন্তু উপকার করে দাম নিই নে। প্রাণের আবেগে ছেলেটিকে বঁচিয়েছি, বড়লোকের ছেলে বলে' নয় । ক' বছর আগে ঐ রকম একটি ছেলে আমি হারিয়েছি --তার মা আর সে এক সময়েই আমাকে ছেড়ে চলে’ যায়—সে বড় দুঃখের কাহিনী, কি আর বলব—আপনুরই মত এক ধনীর দয়াতে আমি সৰ্ব্বস্ব হারিযেfছ--নিজে পঙ্গু হয়েছি— প্রাণাধিক প্রিয়জনকে দারিদ্র্যের তাড়নায় অনাহারে মরুতে দেখেছি—আমার প্রাণ বড় কঠিন, তাই এখনও ভেঙে চব হ'য়ে যায়নি।" কথ। কয়টার ব্যথা দুজনকেই অনেকগণ স্তব্ধ করে’ রাপ লে। কিছু পরে ধনী জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কেমন করে জীবিক নিৰ্ব্বাহ কর ?" খঞ্জ --“সে অনেক কথা । অবস্থা-চক্রে সব খুইযে আমি-শেযে ফেরিওয়ালা হয়েছিলাম...” বাবু—“কি হয়েছিলে ?” খঞ্জ—“ফেরি ওয়ালা হয়েছিলাম। এক ধনী বাবুর বাড়ীতে আমি বিক্রী করতে যাই--তারই কুপায় আমি সব হারিয়েছি—আজ আমি খঞ্জ, সৰ্ব্বস্বাস্ত, সংসারে একা । প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৯ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড 〜ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘイー へへーヘヘヘヘヘヘヘヘペーへ一ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘーへヘヘヘヘ কিন্তু দয়ালের বড় দয়া,নে, তিনি আজ আমার এই অসহায় অবস্থাতেও একটি শিশুর প্রাণ রক্ষা করবার ক্ষমতা আমাকে দিয়েছেন। আমি প্রাণের আবেগে—আমার সেই মৃত সন্তানকে মনে করে’ই বাছাকে বঁচিয়েছি । আশা করি বালকের পিতা হয়ে আজ আমার এই অসহায় অবস্থায় উপকারের কথা তুলে আমাকে অপমান করবেন না ।” ধনী কতক্ষণ যে তার পর স্তব্ধ হ’য়ে বসে’ ছিলেন কারও খেয়াল ছিল না যখন তিনি বাড়ী ফিরলেন চোখে তার জল—প্রাণে র্তার বুকজোড়া একট। দারুণ ব্যথা । মৃত্যুশয্যায় শেষের দিন কটা বালক গোপালের নিত্যু সঙ্গ পেয়ে খঞ্জের যা উপকার হয়েছিল তার ধনী f...'. শত চেষ্টা করলেও বোধ হয় তার শতাংশের একাংশও হ'ত না । পিতার আজ্ঞায় বালক প্রত্যহ স্কুলের পথে ও বাড়ী ফেরবার সময় নিঃসঙ্গ সেই থোড়ীকে যে নিৰ্ম্মল সাহচর্য্যটুকু দিত—তা’তে তার শেষ দিন ক’ট। যে বড়ই মধুময় হ’য়ে উঠেছিল তা তার মুখ দেখেই বুঝা যেত । সেদিন দুয্যোগের সম্ভাবনা দেখে দ্বারবানের ইচ্ছা ছিল না গোপাল পথে দেরী করে। গোপাল স্কুল থেকে একেবারে বাড়ীতেই ফিরে এল । সন্ধ্যায় বড় দুৰ্য্যোগ হওয়াতে সে সময়ও গল্পকে দেখতে যেতে পারলে না । মনটা কিন্তু তার বড়ই অস্থির হয়ে পড়েছিল । সমস্ত রাত সে ভাল করে ঘুমোতে পারেনি। সকালে উঠে যখন “খোক। বাবু”কে দেখতে পাওয়া গেল না, তখন একট। হৈ চৈ পড়ে গেল । চারি দিকে খোজা হ’ল, কোথাও পাওয়া গেল না। বাবু নিজে গাড়ী করে ছেলে খুজতে বার হলেন । কি মনে হওয়াতে আগেই খঞ্জের বাড়ীতে গেলেন—সেখানে গিয়ে দেখেন এক অপূৰ্ব্ব দৃশু —! বুকের উপর নিদ্রিত গোপালকে নিয়ে থঞ্জ চিরনিদ্রায় বিশ্রাম করছে ! আচাৰ্য্য শ্ৰী শুীম ভট্ট চীনে গল্প চীমদেশের মস্ত সদাগর চাও-সি। সদাগরের মাথার বেশী ইটার তালে হাটুর পেছনে দোল খায় । চীন-মুল্লুকে