পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা} এই শোভাযাত্রা নদীপথে গ্রাসাদের দিকে অগ্রসর হ’ল । চতুর্দশ লুইয়ের চিঠি একটা বড় শাম্পানে নিয়ে গিয়ে রাখা হ’ল চিঠি রাখবার জন্য আগেই সেই শাম্পানে একটা উচু বেদী তৈরি করা হয়েছিল। এর পিছনেই ম্যসিয় দ্য শোমো ও তারপরে আবে দ্য শোয়াজীর শাম্পান চলল। এদের শাম্পান ছাড়া শ্যাম রাজ্যের অনেক কৰ্ম্মচারীই স্থন্দর স্বন্দর সুসজ্জিত শাম্পানে গিয়ে দূতকে অভ্যর্থনা করতে এসেছিলেন, তারাও এই শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন । এদের পরেই ফরাসী দূতের অনুচর ও জাহাজের কৰ্ম্মচারীদের শাম্পান ; তার পরেই একশত শাম্পান কেবল মাদারিনদের নিয়ে তাদের অনুসরণ করতে লাগল। এই শোভাযাত্রায় নাকি ইংরেজ, ওলন্দাজ, পর্তুগীজ, চীন, জাভা প্রভৃতি চল্লিশটি ভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিতে এসেছিলেন । শোভাযাত্রা দেখবার জন্য নদীর দু-দিকে বিস্তর লোক দাড়িয়ে গিয়েছিল, আর তারা সকলেই সাষ্টাঙ্গে প্রণাম ক’রে ফরাসী রাজের চিঠির প্রতি তাদের গভীর সম্মান জানিয়েছিল। " শাম্পানগুলি ঘাটে গিয়ে থাম্বার পর ফরাসী রাজের চিঠিখান! নামিয়ে একটা তিনতলা সাজান গাড়ীতে রাখা হ’ল । তার পেছনে মাসিয় দ্য শোমে এক গদীমোড়া চেয়ারে বসে দশ বেহারার কাধে উঠলেন, তার পশ্চাতেই আবে দ্য শোয়াজীর চেয়ার । আবের চেয়ার আটজন লোকে বইতে লাগল। আবে তার এক বন্ধুকে এই শোভাযাত্রার সমারোহের বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন যে,—আমি জীবনে এরকম শোভাযাত্রা কখনো দেখি নি, আমার মনে হতে লাগল যে, আমি যেন পোপ হয়েছি।” ফরাসী দূতের অন্তচরেরা ও শ্যামরাজ্যের কৰ্মচারীরা এই শোভাযাত্রার পশ্চাতে ঘোড়ায় চড়ে’ অগ্রসর হতে লাগল। প্রাসাদের বাহিরের দরজার কাছে এসে সেই বিরাট, শোভা যাত্রা দাড়াল । তার পর ম্যসিয় দ্য শোমে। তার চেয়ার থেকে নেমে গাড়ী থেকে সেই চিঠিখান নিয়ে এসে স্বাবে দ্য য়োজরর হাতে দিলেন । তার পর তার প্রাসাদের মধ্যে 'চুকুলেন। প্রাসাদের মধ্যে গোলক ᎼᏔa শুiমরাজ্যে ফরাসী দৌত্য AMM MM M M M S M S M SAAAAA AAAA AAAA MAeMA SAMAAA S 3 'W', SMe AeA AeA AeeA AAAAS AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAS A SAS A SAS AA SAAAAA AAAA AAAA S AAA S AAAAeS SSS SS MAS MeM S S S AAS AA eM MAS AM ধাধার মত গলিপথ পার হয়ে তারা একট। বড় উঠানে এসে পড়লেন। এই উঠানের দুই দিকে সারবন্দি ভাবে সোনার ঢাল নিয়ে হাটু গেড়ে সৈন্যেরা বলেছিল, তার মধ্যে দিয়ে তারা পার হয়ে গেলেন। আরও কিছুক্ষণ চলার পর তারা আর-একটা বড় উঠানে এসে পড়লেন । এই উঠানের চারিদিকে স্থসজ্জিত অশ্বগৃষ্ঠে তিনশত সৈন্ত ও একশত হাতী দাড় করান হয়েছিল। এদের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়ে তারা আর একটা বড় উঠানে এলেন । এই উঠানের ঠিক মাঝখানে শুামদেশের চিরবিখ্যাত পবিত্র একটি শ্বেত-হস্তীকে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল । তারা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হ’তেই শ্বেতহস্তী র্তাদের সেলাম জানালে । এই হাতীর চারদিকে চারজন মান্দারিন পাখা হাতে নিয়ে তার গায়ে বাতাস করছিল ও মাছি তাড়াচ্ছিল । পাছে হাতীর গায়ে রন্ধর লাগে, সেজন্য প্রকা ও একটা ছাতার নীচে তাকে দাড় করান হয়েছিল । হাতী শুড় তুলে ফরাসী দূতকে সেলাম জানালে । ফরাসী দূত ও তার অনুচরেরা এর পরে আরো দুটো বড় বড় উঠান পার হয়ে গেলেন। এই উঠানে শু্যামরাজ্যের বড় বড় কৰ্ম্মচারীরা তাদের অভ্যর্থনা করবার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এখান থেকে তারা শেষে রাজার খাস দরবারগৃহে প্রবেশ করলেন। দরবারগৃহে ফরাসীদের প্রত্যেকের জন্য নিদিষ্ট আসন ঠিক করা ছিল । ম্যসিয় শোমো এবং আবে ছাড়া সকলেই নির্দিষ্ট আসনে গিয়ে সিংহাসনের দিকে মুখ করে বস্লেন। তার পর সব চুপচাপ, । হঠাৎ চারিদিক কঁাপিয়ে ভেঁপু বেজে উঠল ; সঙ্গে-সঙ্গেই নান-রকম বাজনা বাজিয়ে রাজার আগমনের সময় ঘোষণা করা হ’ল । রাজা আসছেন শুনে, ফরাসীর পা ঢাকৃতে লাগল, ওদিকে মান্দারিনের গড়াগড় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল । মান্দারিনদের হঠাৎ সেইভাবে শুষে পড়া ও তটস্থ ভাবভঙ্গী দেখে ফরাসীদের পক্ষে হাস্য সম্বরণ করা নাকি দুষ্কর হ’য়ে উঠেছিল। মাঝে মাঝে থেমে থেমে ছ-বার .সেই রকম বাজনা বাজার পর দরবার-ঘরে যে জানালায় রাজা দেখা দিতেন সেই জানালার পরদ সরে গেল--রাজা দেখা দিলেন।