পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

36 & প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৬ | ર૭ન ভাগ, it até বিজ্ঞানে নবীনের স্থান বিজ্ঞান-জগতে তরুণের স্থান বিশেষ সম্মানাস্পদ নহে—এইরূপ একটা ধারণ সাধারণের মনে বহুকাল হইতে বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছে। বস্তুতপক্ষে ভূয়োদর্শন যাহার আবিষ্ক্রয়ার মূলে বিদ্যমান তাহাতে কৃতিত্ব প্রদর্শন করা অজ্ঞাতকুলশীলের পক্ষে যে বিশেষ কষ্টসাধা ব্যাপার তাহা কাহাকেও বুঝাইয়া বলিতে হইবে না । কিন্তু সৰ্ব্বত্র মনীষা যেমন; নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাইয়া সাধারণ নিয়মের প্রমাণ দুঢ় করিয়া দেয়, এ ক্ষেত্রে ও তাহার ব্যতিক্রম ঘটে নাই। জগতের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক নিউটন যে অতি অল্প বয়সেই অনন্যসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়াছিলেন তাহা সম্ভবতঃ কাহারও অজ্ঞাত নাই । বৰ্ত্তমান বর্ষে যে দুইজন মনীষী পদার্থতত্ত্বমূলক শাস্ত্রের শ্রেষ্ঠ গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পাইয়াছেন, কোপেনহেগেন্‌-নিবাসী অধ্যাপক নীলস্ বোর তাহাদের অন্যতম । ইনি অতি অল্প বয়সেই পদার্থশাস্ত্রে বিশেষ কুতিত্ব প্রদর্শন করিয়া যশস্বী হইয়াছেন । কিছুকাল পূৰ্ব্বে বোর পদার্থশাস্ত্ৰবিং ইংরেজ পণ্ডিত রাদারফোর্ডের অধীনে তাহার পরীক্ষাগারে পরীক্ষামূলক গবেষণা করিয়াছিলেন । এই সময় প্রবীণ ইংরেজ পণ্ডিত সার জে জে টমসন একটি মৃতন আণবিক মতবাদ প্রচার করেন। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে সার উইলিয়াম্ ক্রুক্স, রন্টজেন প্রভৃতি পণ্ডিতবর্গের গবেষণার ফলে স্থির হয় যে বস্তুর চরম পরিণতি অবিভাজা পরমাণুতে নহে । পরমাণুতে বিশ্লেষণ করিয়৷ সাহাতে উপনীত হওয়া যায় তাহা স্বল্পভারবিশিষ্ট বিয়োগধৰ্ম্মী তড়িংকণ। মাত্র। এই ক্ষুদ্র কণিকাসমূহ ইলেক্ট্রন নামে অভিহিত হয়। পরমাণুর স্বতন্ত্র সত্তা কল্পনা করিলে সহজেই অল্পমাম করা যাইতে পারে যে সমগ্র পরমাণুতে বৈদ্যুতিক শক্তির অস্তিত্ব নাই । এই অঞ্চমানের উপর নিভর করিয়াই টমসস্থ সংযোগতড়িংবিশিষ্ট পরমাণু-গোলকের মধ্যে ইতস্তত: ভ্ৰাম্যমাণ ইলেক্ট্রনের পরিকল্পনা করিয়া পরমাণুর স্বরূপ বুঝাইতে চেষ্টা করেন। টমসনের মতবাদের মধ্যে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে টমসন পরমাণুর মধ্যে অসামঞ্জস্যের কল্পনা করেম নাই- সমগ্ৰ গোলকটির মধ্যে সংযোগ-তড়িৎ সমভাবে বিলিপ্ত হইয়া রহিয়াছে ইহাই টমসনের ধারণ। এই থিওরীর সাহায্যে টমসন মেণ্ডেলীফের Periodic Law প্রমাণ করিতে সমর্থ হ’ন । উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্রসিদ্ধ রুম রাসায়নিক পণ্ডিত মেণ্ডেলীফ একটি নুতন নিয়ম আবিষ্কার করেন । সঙ্গীতের স্বরলিপিতে যেমন প্রথম সপ্তকের পর স্বরের পুনরাবৃত্তি হইতে থাকে, মূল পদার্থগুলিকে আপেক্ষিক আণবিক ভার অনুসারে সাজাইয়া গেলে সেইরূপ দেখা যায় যে প্রথম সাতটি মূল পদার্থের পর পরবর্তী মূল পদার্থে পূর্কের গুণসমূহের পুনরাবিভাব হইতে থাকে । টমসন সাধারণ ভাবে তাহার মতবাদের সাহায্যে মেণ্ডেলীফের এই নিয়ম প্রমাণ করিতে সমর্থ হ’ল । অবশ্য এই প্রসঙ্গে বলা আবশ্যক ঘে মেণ্ডেলীমের নিয়ম সে সৰ্ব্বত্র অবিসংবাদে প্রযোজ্য এমন নহে । টমসন তাহার থিওরীর সাহায্যে পরমাণুর অারে। অদ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করিতে পারিয়াছিলেন । টমসনের প্রিয় শিষ্য রাদারফোর্ড, অধ্যাপকের মতবাদ আলোচনা করিতে গিয়| এক বিষম সমস্যায় পড়িয়া গেলেন । এই সময় নবীন যুবক বোর সবেমাত্র তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করিয়াছেন । রেডিয়ামের সমধৰ্ম্মী বস্তু হইতে সাধারণতঃ তিন প্রকার শক্তির স্বতঃবিকিরণ হইয় থাকে। পদার্থশাস্ত্রে ইহাদিগকে আলফা, বীট এবং গামা রশ্মি বলা হইয়া থাকে। গামা-রশ্মিসমূহকে সংযোগ-তড়িৎযুক্ত হিলিয়ম্ নামক বাপের পরমাণুর সমষ্টি মনে করিবার যথেষ্ট কারণ বৰ্ত্তমান । রাদারফোর্ড, বস্তুর ভিতর দিয়া আলফারশ্মি পরিচালিত করিতে গিয়৷ দেখিতে পাইলেন যে বস্তুর মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া রশ্মির বক্স হঠাৎ বাকিয়া si#cstẽ ! đề <RFsl (Scattering of alpha particles ) ব্যাখ্যা করিতে গিয়াই রাদারফোর্ডকে