পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বিদেশীর অধীন থাকিলে এবং উখর সমস্ত বা প্রায় সমস্ত উচ্চ কাজ গুলি বিদেশীর হাতে থাকিলে শাসন কায্যের ব্যয় বেশী হুইবেই। স্বতরাং যতদূর সম্ভব ব্যয়সংক্ষেপ করিতে হইলে-দেশকে স্বাধীন করিতে হইবে। এই গেল একটি প্রধান ও আসল উপায় । দ্বিতীয় উপায়, সরকারী কাজ দেশের লোকেই করুন বা বিদেশীই করুন, বেতনট দেশের দারিদ্র্যের বা ধনশালিতার অনুরূপ হওয়া দরকার। অথচ এদেশে ব্রিটিশ শাসন কালে উচ্চপদস্থ দেশী সরকারী কৰ্ম্মচারীদিগকেও বেশী বেতন দেওয়ার রীতি প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছে। “প্রবৰ্ত্তিত” বলিলে একটু ভুল হয় । কারণ, উচ্চপদস্থ লোকদিগকে বেশী টাকা দেওয়ার এবং নিম্নপদস্থ লোকদিগকে গ্রাসাচ্ছাদনের পক্ষেও অযথেষ্ট টাকা দেওয়ার রীতি এখনও অনেক ভারতীয় দেশীরাজ্যে আছে, এবং ব্রিটিশ শাসনের আগেও ছিল । উচ্চ সরকারী কাজ করিলেই বেশী টাকা পাইতে হইবে, এই ধারণ ও রীতি বদলাইতে হইবে ; সরকারী কাজ দেশের সেবা, এই ধারণা জন্মাইতে হইবে ; এবং জাতীয় চরিত্রকে এরূপ উন্নত করিতে হইবে, যে, উচ্চতম কাজ করিয়া, এখনকার তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম বেতন পাইলেও যোগ্য লোকের উৎকোচ প্ত তহবিল তছরূপ আদি দোষ হইতে মুক্ত থাকিবেন। কিন্তু আমরা দেখাইতে চাই, যে, এই প্রকারে যথাসম্ভব ব্যয় সংক্ষেপ করিলেও, সমগ্র ভারতের এবং এক একটি প্রদেশের বর্তমানে যে সরকারী আয় আছে, তাহাতে অন্য সব সভ্য দেশের সমকক্ষ হইবার জন্য যত ব্যয় করা আবশ্যক, তাহা আমরা করিতে পারিব না . সরকারী আয় বাড়াইতে হইবে । আয় বাড়াইবার উপায় প্রজাদের নিকট হইতে বেশী করিয়৷ ট্যাক্স আদায় । কিন্তু সমগ্র ভারতীয় বজেটে এবং বাংলাদেশের বজেটে দেখা গিয়াছে যে, ভারত-গবর্ণমেণ্ট ও বাংলা গবর্ণমেণ্ট নূতন ট্যাক্স বসাইয় এবং কোন কোন পুরাতন ট্যাক্স বাড়াইয়। যত আয় হইবে মনে করিয়া ছিলেন, তাহ হয় নাই। ইহা হইতে বুঝিতে হইবে, যে, দেশের লোকের বর্তমান আয়ে তাহার! আর বেশী ট্যাক্স দিতে অসমর্থ । তাহাদের টাক্সি দিবার সামর্থ্য বাড়াইতে হক্টলে তাহাদিগকে অধিকতর ধনী করিতে হইবে । ہے ------۔---------.۔-م۔۔۔ -م۔م۔-م... --مے‘‘۔ বিবিধ প্রসঙ্গ-টাক চাই SAASASAAAAASA SSASAS SSAS SS SAAAAAA AAAA AAAA SAAAAA S AAA S AAAA S ১১৭ AAAAAA AAAA AAAA SAAA AAAA AAAA S SAAAASAASAASAASAAAS

  • --- - - - -

কোন দেশ ও জাতি যদি ধনী হইতে চায়, তাহ। হক্টলে তাহাকে ( ১ ) মাটীর উপরে যাহা জন্মে তাহ হইতে ধন আহরণ করিতে হইবে, ( ২ ) মাটীর নীচে যাহা সঞ্চিত আছে, তাহা লইতে হইবে, (৩) নদী ও সমুদ্র হইতে মূল্যবান পদার্থ সংগ্ৰহ করিতে হইবে, ( s ) বায়ু, হইতে মূল্যবান জিনিষ লইতে হইবে। তাহার জন্য, (১) সাধারণ কৃষি, ফুল ফলের বাগান, ঘরবাড়ী আসবাব জাহাজ-আদি নিৰ্ম্মাণের উপযোগী কাঠের জন্য অরণ্য ও উদ্যান রচনা ও রক্ষ, মৌমাছির চাষ, দুধ ঘি প্রভৃতির ব্যবসা, গো মেষ মহিম ছাগল ঘোড়া প্রভৃতি পশুপালন, ডিমের ব্যবসা, হাস মুরগীর ব্যবসা, প্রভৃতি আবশ্যক ; (২) খনি হইতে কয়লা, এবং লোহা প্রভৃতি ধাতু উত্তোলন ও তাহা হইতে নানাবিধ পণ্যদ্রব্য উৎপাদন আবশ্যক, এবং তজ্জন্ত খনিজবিষ্ঠা ও তৎসম্পৰ্কীয় এঞ্জিনীয়ারিং জান প্রয়োজন ; (৩) জলজ নানা উদ্ভিদ ৪ প্রাণী হইতে মানুষের ব্যবহার্ষ্য বহুলাভজনক পদার্থ সংগ্ৰহ করিতে হইবে ; ( 8 ) রসায়নী বিদ্যার সাহায্যে বাতাসের মাইট্রোজেন ব। যবক্ষারজানকে চাষের সারে পরিণত করিতে হুইবে । সংক্ষেপে বলিতে গেলে দেশকে ধনী করিতে হইলে কৃষি, পশুপক্ষী ও মধুমক্ষিকপালন, পণ্যশিল্প এবং বাণিজ্যের বিস্তার ও উন্নতি করিতে হইবে । ইহার জন্য দেশের সমুদয় পুরুষজাতীয় ও স্ত্রীজাতীয় লোকদের সাধারণ শিক্ষা দরকার । তা ছাড়া বাহারা যে যে কাজ দ্বারা উপার্জন করিতে চায়, তাহাদিগকে কুলি, পশ্বাদিপালন, পণ্যশিল্প বা বাণিজ্য শিখিতে হইবে। এই সব বহুবিস্তৃত জাতীয় শিক্ষা সরকারী বায়ে ভিন্ন যথেষ্ট পরিমাণে হইতে পারে না। কিন্তু শুধু শিক্ষাতেই হইবে না। স্বস্থ ও সবল দেহ চাই । কারণ, শ্রম না করিলে শিক্ষাপ্রাপ্ত লোকেরা কি করিতে পারে ? এবং অসুস্থ দুৰ্ব্বল লোকের শ্রম করিতে পারে না। শিক্ষালাভ ও স্বাস্থ্যসাপেক্ষ। সেই জন্য দেশকে স্বাস্থ্যকর করা চাই । এই কাজও সরকারী ব্যয়ে ভিন্ন আশাহুরূপ হইতে পারে না । অতএব, নানাদিকের অনাবশ্যক ব্যয় যাঙ্গ আছে, আপাততঃ তাঙ্গ ছাটিয়া দিয়া সাধারণ শিক্ষা ও কেজে।