পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.... ,{ a ARellد --- هم به عیبیه» تعبیه میی তিনি পূজি করিতেছেন। তঁrহার দলের লোকদের ধারণা এই,যে, ভারত-শাসন-সংস্কার-আইন অনুসারেদেশের কাজ হইলে ভবিষ্যতে ক্রমশ: দেশের উপকার হইবে। এই আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে দেশেরসেবা করিবার জন্তভূপেন্দ্রবাৰু রাজকর্মচারী হইয়াছেন, আমাদের ধারণা এইরূপ । ভূপেন্দ্র-বাবুর সঙ্গে একজন বড়লাট ও অন্যান্ত লোকদের সঙ্গে খুব তর্কযুদ্ধও হইয়াছিল । মডারেটদের কোন ভ্রম সম্বন্ধে;আমরা কখন অন্ধ হই নাই। ভবিষ্যতে র্তঃহাদের বা ভূপেন্দ্র-বাবুর, আমাদের মতে, কোনও ভ্রম হইলে তখনও চোখ-কান বন্ধ করিয়া থাকিব না। কিন্তু তাষ্ট বলিয়। আণ্ড-বাবুর আরোপিত জঘন্য দোষ ভূপেন্দ্র-বাবুর বা অন্য কাহারে সম্বন্ধে আগে হইতে মানিয়া লইতে পারি না । স্যার আশুতোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ-সম্পর্কে, র্তাহার নিজের ও র্তাহার সহচর-অন্তচরদের মতে, যতটা স্বাধীনতা দেখাইয়াছেন বলিয়া মনে করেন, তাহা সৰ্ব্বাংশে সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়া লইলেও, ইহাও সভা, যে, বাংলাদেশের আরো অনেক শিক্ষিত লোক নান৷ কাৰ্য্যক্ষেত্রে তাহার সমান ও র্তাহ অপেক্ষাও বেশী স্বাধীনচিত্তত দেখাইয়াছেন । সুতরাং তাহার পর যে-কেহ তাহার পদে অধিষ্ঠিত হইবেন, তিনিই গুপ্তচর হইবেন ও গবর্ণ মেণ্টের পদলেহন করিবেন এবং সৰ্বে আবদ্ধ হইয়া ঐ পদ গ্রহণ করিবেন, এরূপ মনে করিবার যথেষ্ট কারণ ছিল না। বস্তুতঃ, আশু-বাবুর পক্ষাবলম্বী এবং অন্য কোন কোন কাগজে এই সংবাদ বাহির হইয়াছে, ধ, ভূপেন্দ্র-বাবু কোন প্রকার সৰ্ত্তে আবদ্ধ হইয়া ভাইসমান্সেলারের পদ গ্রহণ করেন নাই । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজন স্বীকার স্তার আশুতোষ বলিয়াছেন, যে, গোয়েন্দাগিরি চরিতে রাজী ভাইস-চ্যান্সেলার পাওয়া লর্ড লিটনের পক্ষে সম্ভব না হইতে পারে। কিন্তু এ সম্পর্কে গোয়েন্দাগিরির থাটা . আণ্ড-বাবুর মা{ায় চুকিল কেমন করিয়া ? বিবিধ প্রসঙ্গ-চিঠিগুলির প্রকৃতি ४३१ ব্যবস্থাপক সভার উপর বা হাইকোর্টের কোন এজ লাসের উপর গুপ্তচরের দরকার এবং তাহ পাওয়া যাইতে পারে, এমন কথা কেহ বলে না; কেন না, ব্যবস্থাপক সভার ও হাইকোর্টের এজ লাসগুলির কাজ প্রকাশ্যভাবে হয় ও সেখানে খবরের কাগজের রিপোর্টার ও অন্য লোকেরা গিয়া সব দেখিয়া শুনিয়া আসিয়া প্রকাশ করে ও করিতে পারে। ব্যবস্থাপক সভার সরকারী রিপোর্ট, এবং হাইকোর্টের বিচারেরও রিপোর্ট কিনিতেও পাওয়া যায়। সেইরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সভাসমষ্টি ও কমিটির মিনিটস ও প্রোসীডিংস ( কাৰ্য্যবিবরণ ) বাহির হয় এবং তাহ ফেলো এবং অন্য কেহ কেহ পায় (যদিও এগুলি কিনিতে পাওয়া যায় ন—আমরা দরখাস্ত করিয়াও পাই নাই)। যাহা হউক, খবরের কাগজে এবং স্বতন্ত্র পুস্তকাকারে সেনেটের কার্য্যবিবরণ প্রকাশিত হওয়ায় লোকের মনে এই ধারণাই আছে, যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোন কাজ হয় না, যাহা গোপনযোগ্য, যাহা প্রকাশ হইয়া পড়িলে লজ্জার কারণ হইবে । ইহা যদি সত্য হয়, তাহ হইলে গুপ্তচরের কার্য্যক্ষেত্র কোথায় ? প্রয়োজনই বা কি ? কাৰ্য্যক্ষেত্র ও প্রয়োজন যখন নাই, তখন গবৰ্ণমেণ্ট ভাইসচ্যান্সেলাররূপী গুপ্তচর খুজিবেন কেন ? কিন্তু আশু-বাৰু বলিতেছেন, গুপ্তচরের কাজ করিতে রাজী ভাইসচ্যান্সেলার গবর্ণমেণ্ট, পাইতে পারিবেন। তাহা হইলে কি ইহাই মনে করিতে হইবে, যে, আশু-বাৰু মনে মনে জানেন, যে, তাহার আমলে বা আজ্ঞায় এমন কিছু কাজ হুইত, যাহা গোপন করা হইয়াছে এবং शॆशृ।। ভাইস-চ্যান্সেলার-রূপী কোন গুপ্তচর থাকিলে প্রকাশিত হইয়া যাইত ? নতুবা গুপ্তচরের কথা কেন তিনি লিখিলেন, বুঝা কঠিন । ● চিঠিগুলির প্রকৃতি আশু-বাবুর জবাবের প্রত্যুত্তরে লর্ড লিটন তাহাদের পত্রব্যবহারকে সরকারী-কাৰ্য্য-সংক্রান্ত (“official correspondence” ) (fMC SIĘR I fors সরকারী-কাৰ্য্য-সংক্রান্ত চিঠিপত্রও আধা-অফিশাল ( demi-official ) এবং safrosoft (considential) হইয়া থাকে। লাট