পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ-ভারতবর্ষের আফ্রিক .) లిలి _ുപ്തസാ ASA SSASAS SS SAAAAAA AA S SA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS میان حممہ এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বাংলা দেশের বাহিরে অনেক স্থানে সরকার বাহাদুরের বাঙালীদের প্রতি যেরূপ মনের ভাব, তাহাতে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় যে বাংলা ভাষাকে একটা “দ্বিতীয় ভাষা" বলিয়া গণ্য করেন, তাহার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু সেই বাংলা যাহাতে বাস্তবিক ভাল বাংলা হয়, অশ্রুতপূৰ্ব্ব কোন প্রকার খিচুড়ি না হয়, সে দিকে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দিলে আরও কৃতজ্ঞ হই । ইহা কঠিনও নহে। কারণ, আগ্রাঅযোধ্যা প্রদেশে এমন বাঙালী অনেক আছেন, র্যাহার ভাল বাংলা লিখিতে পারেন । না থাকিলেও, বাংলা দেশের কোন যোগ্য লোককে ভার দেওয়া কঠিন নয়। এক প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য প্রদেশবাসী যোগ্য লোককে পরীক্ষক নিযুক্ত করিবার দৃষ্টান্ত অনেক আছে । এবংসর এলাহাবাদের ইন্টারমীডিয়েট পরীক্ষায় নিম্নোদ্ধত বাক্যগুলি ইংরাজীতে অনুবাদ করিতে বলা হয়— সিংহল রঙুের জন্য চিরদিন প্রসিদ্ধ। উহার উপকূল হইতে স্বন্দপ স্বন্দর মুক্তও সংগ্রহ করা হয়। যে সকল উপকূলে মুক্ত থাকে, মুক্ত সংগ্রহকারী বোট সকল বড় বড় দল বঁধিয়া সেই দিকে রওনা হয় ; কিন্তু মুক্ত এত গভীর জলে থাকে যে, তাহাদিগকে ডুব দিয়া উপরে আনিতে হয়। ডুবুরীর একের পর এক জন করিয়া নীচে যাবার পাল৷ করে ; প্রত্যেককেই পাথর বাধিয়া ভারা করিয়া দেওয়া হয়, যlহাতে সে শীঘ্র তলায় পৌছায় : সেখানে যে অাঁধ মিনিট টাক জলের নাচে পাকতে পারে তার মধ্যে যতগুলি পারে ততগুলি মুক্ত কুড়াইয়া লইতে চেষ্টা করে । যথন সে অাঁর নিশ্বাস আটকাইয়। রাখিতে পারে না, তখন সে একটি দড়ি টানির বোটের উপরের লোকদিগকে সঙ্কেত করে এবং ৩াহীর তৎক্ষণাৎ তাহাকে টানিয়া তোলে। প্রধান বিপদ হচ্ছে Shark নামক এক প্রকার জলজন্তু হইতে। প্রত্যেক বোট সেই জন্ত একজন করিয়া সাক বশীভূত করিবার লোক সঙ্গে করিয়া লইয়া যায় ; আর ঐ প্রকার অন্যান্য যাদুকরেরা কিনারায় দাড়াইয়া মগ্ন আওড়াইতে পাকে এবং অদ্ভুত অদ্ভুত প্রক্রিয় করিতে থাকে ; তাঁহাতে নাকি সার্ক দূরীভূত হইয়া যায়। যদি সাক কোনও মতে ডুবুরীকে আক্রমণ করে, তাহা হইলে সেদিন আর কাহাকেও জলে ডুবিতে লওয়ান দুষ্কর । ইহাতে দেখা যায় যে, তাহারা তাহদের যাদুকরদিগকে পূর্ণ বিশ্বাস করে না । সিংহল বাসীর বলিষ্ঠ জাতি নয় । তাঁহাদের জলীয় ও গরম জলবায়ু তাহীদের শ্রমশীলতা ও উৎসাহ হরণ করিয়াছে। বিদেশীর পক্ষে ৩াহীদের সম্বন্ধে একটি আশ্চয্যের বিষয় হচ্ছে এই যে, তাহাদের পুরুষদিগকে স্ত্রীলোকের ন্যায় এবং স্ত্রীলোকদিগকেও পুরুষের ন্যায় দেখায়। উভয়েরই লম্বী চুল থাকে। যতক্ষণ না পৰ্য্যবেক্ষণ কর যে, পুরমের ঠাeাদের লম্ব চুল চিকুণ দিয়া বাধিয়া রাখে আর সদ। কেচি পরে এব: স্ত্রীলোকের তাহদের চুল কঁটি দিয়া কুটি বাধিয়া রাখে এবং তাঁহাদের বিভিন্ন বর্ণের পোষাকের উপর লম্ব, ঢিলা সাদ জ্যাকেট পরিয়া থাকে, ততক্ষণ কে স্ত্রী কে পুরুষ বলা কঠিন । "Shark নামক একপ্রকার জলজন্তুকে” যে বাংলায় হাঙ্গর বলে, পরীক্ষক তাহাও জানেন না ! তাহা খুব আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। কলিকাতার একটি পুরাতন প্রসিদ্ধ সাপ্তাহিক গিনিপিগ কে একরকম পার্থী বলিয়াছেন । তাহা “সঞ্জীবনী” অফিসের উপর উড়িয় বেড়ায় । এলাহাবাদের ইন্টারমডিয়েট পরীক্ষায় উদ্ধ হইতে ইংরেজীতে অনুবাদ করিবার জন্য যে বাক্যগুলি আছে, তাহাতে বাঙালীদের কিরূপ বর্ণনা আছে, তাহা পাঠকদিগকে পরে জানাইব । ভারতবর্ষের আফ্রিক। দক্ষিণ আফ্রিকা, পূৰ্ব্ব আফ্রিকা, প্রভৃতি স্থান হইতে তথাকার বাসিন্দা ভারতীয়দিগকে তাড়াইবার চেষ্ট হইতেছে, এবং পরে ও যাহাতে ভারতীয়ের তথায় যাইতে ন পারে, তাঙ্গরও চেষ্টা হইতেছে । এই চেষ্টা অনেক বৎসর হইতে চলিতেছে । তাহাতে ভারতবর্ষবাসী ভারতীয়ের ( এবং তাঙ্গার মধ্যে বাঙালীরাও ) অত্যন্ত অপমান বোধ করিয়া থাকেন, এবং খুব ক্রোধ প্রকাশ করেন । কিন্তু বাংলার ঠিকৃ পাশেই যে বিহার ও ওড়িম প্রদেশ, সাহাতে বাংলার অন্তর্গত বিস্তুত ভূখণ্ডকে ও জোর করিয়া সামিল করিয়| লওয়া হইয়াছে, তাহা হইতে চাকুরিয়া বাঙালীকে ভাড়াইবার যে অন্যায় চেষ্টা অনেক দিন তহঁতে হইতেছে, আশ্চয্যের বিষয় ভারতবর্ষের অন্য কোন প্রদেশের সংবাদপত্র বা সাৰ্ব্বজনিক সভা তাহাতে টু • শব্দ ও করিতেছেন না ; এমন কি বাংলা দেশের বাঙালীদের নামজাদ ইংরেজী দৈনিকগুলি ও কোন প্রতিবাদ করিতেছেন না । বিহার ও ওড়িষায় বাঙালীর ছেলেদের ইস্কুল-কলেজে পড়াশুনা করিবার সুবিধ বিহারী ও উংকলীয় ছেলেদের সমান নয় । অথচ যদি বিহারওড়িষার কোন চাকুরিয়া বাঙালী শিক্ষার জন্য নিজের ছেলেদিগকে অন্যত্র পাঠান, অমনি সিদ্ধান্ত হয়, যে, তিমি বিহার-ওড়িষ। র স্থায়ী বাসিন্দা নুহেন ৷ পক্ষাস্তরে,