পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] AA AMMAAA AAAA SAAAAA AAAAMAeM AAAA SAAAA SAS A SAS SSAAAA AAAA AAAA AAAAMMA AM সঙ্গীতে বর্তমান, সৰ্ব্বভূতে-চেতন অচেতন সমুদায় স্বেতে পরিব্যাপ্ত। আবার এই স্তষ্টিতেই যে তাহার স"। নিঃশেষিত হইয়াছে, তাঙ্গ। নহে । এ-সমুদায়কে অতিক্রমণ করিয়াও তিনি বত্তমান । এই জগদতীত সদা বুঝাইবার জন্যই ঋষি বলিয়াছেন যে “তিনি পৃথিবীকে সৰ্ব্বত্র বেষ্টন করিয়া দঙ্গ অঙ্গুলী পরিমাণ সম্রাট আকবর ইতিহাস-পাঠক মাত্রেই জানেন, যে, সম্রাট যেমন নিরক্ষর ছিলেন, তদ্বিপরীত বিদ্বান পণ্ডিতদের গুণ গ্রাহী ছিলেন । তাহার নুতন রাজপানী ফতেপুরসাঁক্রীর ইবাদংগানাতে পদধূলি দেন নাই সেকালে এমন বিদ্বান উত্তরভারতে কেহ ছিলেন না । আকবর স্বয়ং সন্নি মুসলমান ছিলেন, কিন্তু উঙ্গের বিদ্যামন্দিরে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মুসলমান, মান সম্প্রদায়ের হিন্দু শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, জৈন, বৌদ্ধ, ইত্যাদি --ও ক্রিশচীন, ইহুদী, পাসী, সমান আদরে সম্মান লাভ করিতেন । একদিন প্রাতে সম্রাট ফতেপুরের উচ্চ আটালিকার ঝরোকাতে কয়েকটি সভাসদ সঙ্গ বসিয়া ছিলেন, হঠাং বাw্যোংসব সহ শোভাযাত্রার শব্দ শুনিভে পাঙ্গলেন । fক জন চেলা সংবাদ অলিল- একটি হিন্দু মহিলা ছয় - মাস-ব্যাপী উপবাস করিয়া ছিল, আজ তাহার পরিণ, সেইজন্ত বাজ না বাজাইয়া মন্দিরে পূজা দিতে যাইতেছে। কথাটা বিশ্বাসযোগ্য বোপ হুষ্টল না, অতএব একজন সভাসকে সত্যসংবাদ লইতে পাঠাইলেন। তিনি সংবাদ আনিলেন--সত্য সত্যই চাপ নাম্নী এক হিন্দু মহিলা ছয় মাস উপবাসী ছিল । অকৃবর চাপাকে দেখিতে চাঙ্গিলেন । চাপ রাজ-সকাশে উপস্থিত হইলে আকৃবর জিজ্ঞাসা করিলেন—“ভগ্নী, এক দিবস আহার না-করিলে প্রাকত মনুষ্য ছট্‌ফট্‌ করিতে থাকে, শরীর রক্ষা অসম্ভব *য় ; তুমি ছয় মাস অল্প গ্রহণ না করিয়। কিরূপে জীবন অকৃবর সম্রাট অক্বর ও জৈনাচাৰ্য্যগণ Ꮌ8Ꮌ AMAMAAA AAAA AAAASAAAASAAAAMAM MAMM AMMM MMAM SMMMAMAMAMMMMeeMAMAeMA AMAMMAAA AAAAA উৰ্দ্ধে রহিয়াছেন, বিশ্বভূত ইহার একপাদ, ইহার তিনপাদ অমৃতরূপে বৰ্ত্তমান, তিনি তিনপাদ লইয়া উৰ্দ্ধে উঠিলেন।” এই পুরুষ বিশ্বাত্মা এবং বিশ্বাতীত উভয়ই । ইংরেজীতে বলিতে হইলে আমরা বলিব তিনি Immanent এবং Transcendent Ústíš অথৰ্ব্ববেদের ঈশ্বরতত্ত্ব পরে আলোচিত হইবে । মহেশচন্দ্র ঘোষ ও জৈনাচাৰ্য্যগণ ধারণ করিয় ছিলে ?” চাপ। জৈনধৰ্ম্মাবলম্বিনী বিদুষী রমণী ছিলেন । তিনি বলিলেন, “রাজন, আমি চিকিৎসাবিদ্য জানি না, আহার গ্রহণ না করিলে শরীরে কি হয় ন। হয় বুঝি না, আমি কেবল আমার গুরুদেবের উপদেশমত সঙ্কল্প করিয়া উপবাস করিয়াছিলাম । যখন অত্যন্ত পিপাস। অল্পভব করিতাম, তপন অল্প উষ্ণ জল পান করিতাম ও সকল সময়ে তপস্যাতে মন নিবেশ করিতাম । গুরুদেবের কপায় আমার কোনও কষ্ট হয় নাই ।” সম্রাট জিজ্ঞাস করিলেন, “তোমার ধৰ্ম্ম কি ও কিরূপ তপস্ত কর " চাপা বিনীতভাবে উত্তর করিলেন, “রাজন, আমি মুর্থ সামান্ত। স্ত্রীলোক, আমি ধৰ্ম্ম অথবা তপস্যার গৃঢ় মৰ্ম্ম আপনাকে বুঝাইবার ক্ষমতা রাখি না। আমার গুরুদেব এখানে থাকিলে তিনি বুঝাইতে পারিতেন।” এষ্টরূপ নানা প্রশ্নোত্তরে অক্টবর জানিতে পারিলেন যে চাপার গুরুর নাম হীরবিজয় স্থরি, তিনি একজন জৈনাচায্য সাধু । সাধুদের নিয়ম-মত তিনি এক স্থানে বেশীদিন বাস করেন না। তবে গুজরাট, দেশেই বেশীর ভাগ বিচরণ করিয়া থাকেন ও সে সময়েও গুজরাটের কোন নগরে বিচরণ করিতেছেন। সম্রাটের সভাসদ মধ্যে এ্যাংমাদ থ। কিছুকাল গুজরাটে ছিলেন । র্তাহাকে আচায্য সম্বন্ধে প্রশ্ন করাতে তিনি বলিলেন, “আমি ঐ আচাৰ্য্যকে কয়েকবার দেখিয়াছি। তাহাকে বিদ্বান, সাধু ও প্রকৃত ফকার বলিয়া বিশ্বাস করি।” একজন