পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] SAAAAAA AAAAMAMAeAe eMA MAeMAMMeMMAeAMAMMAeAMAe MMe eeS নবাবকে সংবাদ দিয়া আসিল । নবাব কোনও অতুসন্ধান না করিয়াই সাধুকে ধরিয়া লইয়া গেলেন ও শাসন করিতে লাগিলেন। এবার সাধুকে ঐ বালকের বিবাহ শেষ ং ওয়া পৰ্য্যন্ত প্রায় একমাস লুকাইয়া থাকিতে হইয়াছিল। এখন স্ববা দেখিলেন সম্রাটু সেই সাধুকে ভক্তিপূর্ণ বিনীত নিমন্ত্রণ পত্র পাঠাইয়াছেন । তিনি ভাবিলেন, সাধু নিশ্চয় পূর্ণ অপমানের প্রতিশোধ লইবেন । মখন আচার্য্য সম্রাটের নিমন্ত্রণ-পত্ৰ পাইলেন, তখন গুজরাটের শ্রাবকের আনন্দোংসব করিতে লাগিল । ঠাঙ্গাব সঠিত ফতেপুর সাইবার জন্য বাছ বাছ অনেক গুলি বিদ্বান সাধু প্রস্বত ইষ্টলেন । তাঙ্গাদেব মধ্যে কেহ বৈমাকৰণ, কেহু নৈর্যায়িক, কেহ বাদী, কেহ ব্যাখ্যানী, কুঠ আধ্যায়ী, কেহ অষ্টাবপানী, কেহ শতাবধানী, কেত কপি-স্বালঙ্কারিক, কেহ ধ্যানী ছিলেন । এইরূপে ৬৭ জন একত্র তক্টলেন, তন্মধ্যে ১৫ জন দিগ্বিজয়ী ধর্মলয় প্রসিদ্ধ । জৈন সাধুদের কোন ও রূপ দান-বাহনে উঠিতে মাষ্ট, একমাত্র পদব্রজে গমনই তাহাদের পক্ষে প্রশস্ত । অতএব তাহারা সম্রাটের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিয়াও সম্রাট দন্তু হাতী ঘোড়া ইত্যাদি কিছুই স্বীকার করিতে পারিলেন না । সুব কতকগুলি রক্ষী ও ভারবাহী পশু সঙ্গে দিলেন । জৈন সাধুরা ত্যাগী সন্ন্যাসী, তাতাদের খাদ্য অপব পাকের উপকরণ রাখিতে নাই । দুই প্রহরের সময বা কিছু পূর্বে তাঙ্গর জৈন গৃহস্থবাটতে ভিক্ষা করেন ; জৈন ম৷ থাকিলে বৈষ্ণব-বাটীতে ভিক্ষ করেন ; কি ক্ষু আমিয|হাবীর ভিক্ষা গ্রহণ করেন না । গৃহস্থের নিজের জন্য প্রস্থত শুদ্ধ খাদা যাহা কিছু পান, তাই দ্বারা ক্ষুধ নিবারণ করেন। সাধুর জন্য কোনও মূল্যবান বা মুখরোচক পন্থ প্রস্তুত করিয়া রাগিলে তাহ। স্বীকাৰ করিতে পারেন না । নিমজিত হইয়। কোনও গৃহস্থবাটীতে যাইতে পারেন না। দুগ্ধ ঘৃত ক্ষীর মিষ্টান্ন Fপন কদাচিং পাইলে খাইতে পারেন, সচরাচর নহে । উfহার কাচা জল পান করেন না। শ্রাবকেরা ২৩ ঘণ্টা স্থল সিদ্ধ করিয়া শীতল করিয়া রাখে, তাহাই সাধুকে শন করে। সেই জল ছাড়া অন্য জলও পান করিতে ০:রেন না। যেপানে, যেদেশে শ্রাবক নাই, সেখানে সম্রাট অকৃবর ও জৈনাচার্য্যগণ MSMSMSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMSeMAAASA SAASAASAASAASAA AAAA AAAASAAAS ΣΦ Σ. حمید سمیعی گیاهیم علیههای یخ ۹ ہ* جمعےـ সাধুদের বিচরণ করা অসম্ভব। বোধ হয় এই কারণে জৈন ধৰ্ম্ম ভারতের সীমা অতিক্রম করে নাই। দূর দেশে যাইবার স্ময়ে সাধুদের সহিত কয়েকটি শ্রাবক ভ্রমণ করেন ও পথে যদি শ্রাবক না থাকে তবে তাহার ভিক্ষা দিয়া থাকেন। অর্থাৎ যেখানে দুই প্রহরের সময়ে আশ্রয় লইলেন সেইখানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ( বাগাছতলায় ) ৫৭ জন শ্রাবক অন্ন পাক করিয়া বসিয়া থাকেন। সাধুর দ্বারস্থ হইলে প্রত্যেককে মাধুকরী ভিক্ষ দান করেন। ধদিও এটা ভিক্ষণ গ্রহণের অভিনয় মাত্র, তথাপি তাঙ্গার নিয়ম ভঙ্গ করিতে প্রস্থত নহেন। হীরবিজয় কুরির সহিত কয়েকজন শ্রাবক যাইতে প্রস্তুত হইলেন। আচার্য্য মৰ্পন নিমন্ত্রণ-পত্ৰ পাইলেন, তখন তিনি ভরু কচ্ছ নগরের কাছে গান্ধীর নগরে ছিলেন । সেখান হইতে সাঙ্গোপাঙ্গ সহ বিহার করিতে করিতে রাজপুতানায় আধুনিক জয়পুরের কাছে সাঙ্গনের নগরে পহুছিয়। চারজন উপাধ্যায়কে সম্রাটুকে আপনার আগমনসংবাদ দিবার জন্য পাঠাইয়া দিলেন । এই উপাধ্যায়চতুষ্টয় ফতেপুরে পুহুছিয়া প্রথমে শেখ আবুল ফজলের সহিত সাক্ষাং করিলেন, পরে তাহার মধ্যস্থতায় সম্রাটের সহিত সাক্ষাং করিলেন । সম্রাট তাহাদের পাণ্ডিত্যপূর্ণ নিৰ্ভীক স্পষ্ট বক্তৃতা শুনিয়া প্রীত হইলেন ও র্তাহাদের গুরুর সহিত সাক্ষাং করিতে আর ও আগ্রহ প্রকাশ করিতে লাগিলেন । ১৫৮২ খৃষ্টাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণ দ্বাদশীর দিন হারবিজয়স্থরি ৬৭ জন সাধুর সহিত ফতেপুর নগরে প্রবেশ করিলেন । সম্রাঢ় তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া অতি আনন্দিত হক্টলেন । অন্য অন্য সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী মোহন্তর। হাতী ঘোড়া পতাক বাদ্য ইত্যাদি নান} রাজলক্ষণ লইয়া দেশ পর্যাটন করিয়া থাকেন, তবে হীরবিজয় মুবী-দত্ত আড়ম্বর অস্বীকার করিলেন কেন, প্রথমে সম্রাটু বুঝিতে পারিলেন না। যখন আচার্ধ্য জৈনদের নিয়মগুলি বুঝাইয়া দিলেন তখন তাহার সম্রম বাড়িয়া গেল । সম্রাটের কাছে নানা প্রকার লোক আসিতেন, কেহ