পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీe প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড MMMMMMMAMMMMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAASAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSASAAA AAAA AAAASAAAAASA SAASAA AMAAA AAAA AAAA AAMM MM AAAA AAAA AAAA AAAA SASAASAASAASAA AAAA AAAA AAAA SAA MMA SAAAAA S “সে আপনার কে ? তাহার উপর আপনার কিসের দাবী ?” “তাহাকে আমি বিবাহ করিব . প্রতিজ্ঞা করিয়াছি । তুমি তাহলে এখানে আনিয়! লুকাইয়। রাপিয়াছ ।" “সাবধান ? অামার মার্জনার অতীত কোন কথা বলিবেন না ।" “আর কথায় কাজ নাই, যুদ্ধে আপনার প্রাণ রক্ষা কর । তুমি আমার পথে কণ্টক, তোমাকে সরাইলে আমি নিশ্চিন্ত হইব ।” “আমি আপনার সহিত যুদ্ধ করিব না।" “ভীরু, কাপুরুষ, তবে বিনা যুদ্ধে মর,” মনসবদার চীৎকার করিয়া উন্মত্তের স্যায় কোষ হইতে আসি মুক্ত করিলেন । মনসবদার ও বিহারীলালের মধ্যে একটা ছায়। পড়িল। সেই হাস্যমুখী বনবিহারিণী ! ..জয়ন্তী কহিল, “মনসবদার জলালুদ্দীন সাহেব, দেখিতেছি আপনাদের একটা তর্ক উপস্থিত হইয়াছে। আমি মধ্যস্থ হইতে আসিয়াছি। আমার শালিসী মঞ্জুর कुक्लन् ।” “তোমাকে লইয়াই বিবাদ । চল, আর কোন বিপদ থাকিবে না।” “মনসবদার সাহেব, ইহার মীমাংসা সহজ। চৌধুরী মহাশয়ের সহিত আপনি যুদ্ধ করিবেন কেন ? যুদ্ধে আমাকে পরাজয় করিয়া আমাকে আপনার সঙ্গে লইয়। চলুন, আমি স্বেচ্ছায় আপনার অন্তগামিনী হুইব ।” বিহারীলাল ভাকিলেন, “জয়ন্তী !” হাত তুলিয়া জয়ন্তী নিষেধ করিল। তাহার কটাক্ষে বিহারীলাল বুঝিলেন আশঙ্কার কোন কারণ নাই, আর কোন কথা কহিলেন না । “জয়ন্তী ! বড় মিঠা নাম ! আমি বদলাইয়া বিবি তুমি আমার সঙ্গে জছুরন রাখিব ।” নামটা কুৎসিত। বিহারীলালের মুখ আরক্ত হইয়। উঠিল, কিন্তু তিনি নীরব রহিলেন । জয়ন্তী হাত বাড়াইয়া কহিল, “চৌধুরী সাহেব, আপনার তরওয়াল !” বিহারীলাল বিনা রাক্যে কোটি হইতে অলি কোষমুক্ত করিয়া জয়ন্থীর হাতে দিলেন । মনসবদার মনে করিলেন, জয়ন্তী রঙ্গ করিতেছে। গোফ দাড়ির মধ্য হইতে দণত বাহির করিয়া কহিলেন, “স্ত্রীলোকের সঙ্গে যুদ্ধ কে কোথায় শুনিয়াছে ? আর বিবি, যুদ্ধে কাজ কি, আমি ত তোমার কাছে হারিয়াই আছি ! তোমার কটাক্ষেই মরিয়া আছি।" বিহারীলালের মুখ মান হইয়া গেল । অধর দংশন করিয়া নীরব রহিলেন । জয়ন্তী কহিল, “যদি বিনা যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার কর তাহা হইলে আমার সঙ্গে চল, আমার গোলাম হইয়৷ আমার ঘরে ঝাড়, লাগাইবে।” বিহারীলালের ললাট পরিষ্কার হইল। মনসবদার অস্পষ্ট স্বরে কহিলেন, “বেতমিজ অওরত !” জয়ন্তী বার কয়েক তরবারি ঘুরাইল। স্বর্ঘ্যের প্রভাতআলোকে অসি চমকিতে লাগিল । ফুলে ফুলে চারিদিক্‌ ভরিয়া রহিয়াছে। এই কি রক্ত পাতের স্থান ! মৃঢ় মনসবদার দেখিলেন, এ তরবারি-চালনা ছেলেখেলা নহে, বিচিত্র শিক্ষার পরিচয় । এ ত ভয়ানক স্ত্রীলোক ! জয়ন্তী কহিল, “আমুন, আমি আপনার অপেক্ষা করিতেছি ।” মনসবদার কহিলেন, “স্ত্রীলোকের সঙ্গে অসিযুদ্ধ ! তুমি তরবারি ফিরাইয়া দাও।” “তবে কি বিনা যুদ্ধে মরিবেন ?” মন্‌সব দারও বিহারীলালকে এই কথা বলিয়াছিলেন। জয়ন্তী শুনিয়াছিল। মনসবদার ভাবিতেছিলেন, লোকে এ কথা শুনিলে কি বলিবে ? জয়ন্তী বলিল, “কোন কোন ঘোড়া আপনি চলে, কোনটা বা চাবুক না থাইলে চলে না। আপনার চাবুক চাই ?” বলিয়াই চক্ষের পলক না পড়িতে, জয়ন্তী তরবারির চ্যাপ্ট দিক্ দিয়া ধণ করিয়া মনসবদারের গালে আঘাত করিল। ঠিক যেন একটা প্রচও চড়। মনসবদারের গাল ফুলিয়া লাল হইয়া উঠিল ।