পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] AA AMMMAM MMAMMMM MMSMMMMMM MMMMMM MMAASAA AA ASASASA AAAAASAS চাবুকের ফল তখনি ফলিল। মনসবদার অশ্রাবা কটু গালি দিয়া, তরবারি টানিয়া জয়ন্তীকে এত বেগে আক্রমণ করিলেন যে আত্মরক্ষা করিতে না পারিলে জয়ন্তীর শিরশ্ছেদন হইত। সে অবলীলাক্রমে, হাসিমুখে মন্‌সব দারের আঘাত ব্যর্থ করিল। জয়ন্তীর অসি-চালনা দেখিয়া বিহারীলাল বুঝিয়াছিলেন যে জয়ন্তীকে পরাজয় করা সাধারণ কথা নয়। তিনি নিশ্চিন্ত হইয়া দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ দেখিতে লাগিলেন । ক্ৰোধে অস্তির হইয়। মনসবদার বার বার জয়ন্ত্রীকে আক্রমণ করিলেন, কখন মস্তকে, কখন স্বন্ধে, কখন স্তস্তে, ফপন দক্ষিণে, কপন বামে আঘাত করিবার চেষ্টা করিলেন কিন্তু কোথা ও স্পর্শ করিতে পরিলেন না । জয় ?াব মুষ্টিতে অসি অলাতচক্রের ন্যায় ঘুরিতেছিল । যেখানে মনসবদার লক্ষ্য করেন দেখানেই জয়ন্তীর তরবারি । মনসবদার বুঝিলেন যে শিক্ষার জয়ী তাহার অপেক্ষ অনেক শ্রেষ্ঠ । তাহার মুগ বিবর্ণ হইয় গেল । তাহার পর একপদ অগ্রসর হইয়া জয়ন্তী মনসবদারকে আক্রমণ করিল। বিড়াল যেমন মূষিককে লইয়া গেল। করে মনসবদারকে লইয়া জযন্ত্রী সেইকপ ক্রীড়া করিতে লাগিল । ইচ্ছা করিলে শত বার তাহাকে শত স্থলে আঘাত করিতে পারিত, কিন্তু দুষ্ট একবার স্পশ করিল মাত্র । অবশেষে তরবারিতে তরবারি জড়াইয়। মুষ্টি ঘুরাইতেই মনসবদারের তরবারি তাহার হস্তমুক্ত হইয দূরে গিয়া পড়িল । মনসবদার নিরস্থ, ঘৰ্ম্মাক্ত-কলেবর । জয়ন্তীর চক্ষের দৃষ্টি বড় কঠিন, তাহার আর কোন পরিবর্তন হয় নাই। কহিল, “কেমন, এখন আমার গোলামী স্বীকার করিবে ?” মন্‌সবদার অধোবদন । কহিবেন ? জয়ন্তী কহিল, "এবার তোমাকে ক্ষমা করিলাম, তুমি বিদায় হও । কিন্তু আবার যদি তোমার মুখে স্পৰ্দ্ধার কথা শুনিতে পাই, তাহা হইলে তোমার জিহব। ছেদন করিব।” মনসবদার তরবারি উঠাইয়া লইয়া চলিয়া গেলেন। বিহারীলালের সহিত পরামর্শ হইল না। কেল্লায় গিয়া ریاسامسیح داد : আর কোন মুথে কথ। S AAAAAS S AAAA S S S ASAS A SAS SSAS SSAS জয়ন্তী لات لا তিনি ঘোষণা করিলেন, বাদশাহ বিহিশতে এবং শাহজাদ হাতিম সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছেন । র্তাহাকে যে বাদশাহ স্বীকার না করিবে সে বিদ্রোহী । মনসবদার বিদায় হইলে জয়ন্তী বিহারীলালকে তরবারি ফিরাইয় দিল । বিহারীলাল তরবারি মাথার উপর তুলিয়া কহিলেন, “জয়ন্তীর জয়, জয় জয়ন্তী !” কে যেন জয়ন্ত্রীর সকল তেজ, সকল বল, হরণ করিল ; সে শিথিল আলস্তে বিহারীলালের গলায় গুণত দিয়া বলিল, “আমাকে ভিন বে লক্ট্য চল ।” ত্রিংশ পরিচ্ছেদ এপ ই তাউস অপমানে ক্রোপে জ্ঞানশন্ত হইয়। জলালুদ্দীন যে কথ। প্রচার করিয়াছিলেন তাঙ্গ সম্পূর্ণ সত্য, না জানিয়া মনসবদার রটাইয়াছিলেন । বাদশাহ ইহলোক ত্যাগ করিয়া গিয়াছিলেন, তাতিম ও আপনাকে বাদশাহ বলিয়। ঘোষণা করিয়াছিলেন । কিন্তু নিজকে বাদশাহ বলা ও বাদশাহী হস্তমিলকের মত হস্তগত হওয়ায় অনেক প্রভেদ । সতক্ষণ হাতিন ঘোষণাপত্ৰ চারিদিকে প্রচার করিতেছিলেন রুম ততক্ষণ বাজধানী বেষ্টন করিয়া সকল দরজ। অ টিস দিলেন । বাজপানীব ভিতর বাদশাহের মৃতদেহু—আর তপ,ং তাউস । কোলাহলপূর্ণ মহানগরী এখন নিস্তব্ধ। মৃত্যুর অঞ্জীল যেন পক্ষ বিস্তার করিয়া নগরীর উপরে বসিয়৷ আছেন, তাহfর পক্ষতলে সব অন্ধকার । হাট বাজার সব বন্ধ, পথে লোকের চলাচল নাই । কেহ জোরে কথা কয় না, কোথাও হাসি শোনা যায় না। জহাপনাই – ' জগংশরণ–নাই, আজ ধরণী অশরণ হইয়াছে। বিশাল রাজপ্রাসাদ আজ শোকময় । দ্বারে প্রহরী প্রস্তরমৃত্তির ন্যায় নিঃশব্দে দণ্ডায়মান। কৰ্ম্মচারীদের মুখে কথা নাই, অমাতা ভূত্য নিঃশব্দে যাতায়াত করিতেছে । শয়ন-প্রকোষ্ঠে বাদশাঙ্গের মৃতদেহ । বক্ষের উপর কোরাণ শরীফ, তাহার পাশে তসবী । শয্যাতলে মৃতদেহ রক্ষা করিবার আধার, দরিদ্র ভিক্ষুকের দেহ যাহতে রক্ষা করা হয় সেইরূপ । মৃত্যুর পূৰ্ব্বে বাদশাহ এইরূপ