পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ আদেশ করিয়াছিলেন । জীবিত বস্থায় যিনি সকল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি ছিলেন, মৃত্যুর পরে তাহার দেহ ভিক্ষুকের দেহের ন্যায় সমাধিস্থ হইবে । নানা মণিমাণিক্যে খচিত, তারক মণ্ডিত সিংহাসন আজ শূন্য । যিনি নিৰ্ব্বিবাদে তথং-তাউসে আসন গ্রহণ করিতেন তিনি ধরাধাম ছাড়িয়া গিয়াছেন, এখন রক্তস্রোত প্রবাহিত না করিয়। সে আসন কেন্স অধিকার করিতে পাইবে না । এই মণিময় ময়রের পদ শোণিতে রঞ্জিত । নগরে বা প্রাসাদে প্রবেশ না করিয়। শাহজাদা রুস্তম্ নগরদ্বারে অবস্থান করিতেছিলেন। তিনি প্রাসাদে বলিয়া পাঠাইয়াছিলেন যে বাদশাহের দেহ তিনি নিজের স্বন্ধে বহন করিয়া সমাধি-স্থলে লইয়া যাইবেন । শাহজাদা হাভিম আসিয়া দেখিলেন নগরেব সকল দ্বার রুদ্ধ, মক্ষিক প্রবেশের ছিদ্র কোথা ও নাই । যাবৎ বাদশাহের সমাধি না হয় সে পয্যন্ত যুদ্ধের কোন কথাই হইতে পারে না। শাহজাদ হাতিম বলিয়৷ পাঠাইলেন যে তিনি বাদশাঙ্গেব নিজের স্বন্ধে বহন করিতে চাহেন। শাহজাদ রুস্তমের জবাব আসিল যে শাহজাদা হাতিম পাঁচজন অনুচব লঙ্গয কফল হুইবার কালে নগরে প্রবেশ করিতে পারেন । কেঃ তাহার অঙ্গ স্পর্শ কfরবে না, সেজন্য শাহজাদ রুস্তম্ স্বয়ং দায়ী । কিন্তু সমাধির পরে তাহাকে নিজের শিবিরে ফিরিয়া যাইতে হইবে । হাতিম ইহাতে,স্বীকৃত হইলেন। বাদশাহের মৃতদেহের সম্মুখে দুই ভ্রাতার সাক্ষাং হইল । দুইজনের চক্ষে তথং তাউস দুই জনকে সক্ষেতে ডাকিতেছে। যখন তাঞ্ছার বাদশাহের দেহ বহন করিতেছেন তখনও তাহদের মধ্যে তথৎ-তাউস রুধির-রঞ্জিত চরণে দাড়াইয়া মণিময় চক্ষু দিয়া দুইজনকে আহবান করিতেছে । সমাধি সমাপ্ত হইলে দুই জনে নিজের শিবিরে চলিয়া গেলেন । পর দিবস হাতিম রুস্তমকে আক্রমণ করিলেন । রুস্তম্ নগরদ্বার ছাড়িয়া দিয়া ময়দানে সৈন্য সাজাইয়াছিলেন। সারাদিন যুদ্ধ হইল। সন্ধ্যার সময় হাতিমের সৈষ্ঠের পরাজিত হইয়া পলায়ন করিল। হাতিম বন্দী হইলেন। দুর্গের ভিতর ཤཱཙེ་ রকম সম্রাটু-বংশের বন্দী S SAAAAA SAAAAA AAAA AAAAM MMM MAAA AAAA S AeA AM S MS MS (wジ প্রবাসী -ऐछार्छ, ०००० [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAA AAAA AAAA S M S M SAAAAA ASAS A S A S M S AAAAA AAASAAAAeAeM MM MSMAeeAM MM eMAM AeeSAeSAeS eSASAMAS AMS রাখিবার স্বতন্ত্র স্থান ছিল । সেইখানে হাতিম রাত্রি যাপন করিলেন। মধ্যাহের সময় আহারাদির পর কারারক্ষী হাতিমকে রুস্তমের নিকট লইয়া গেল। দরবার-ই আমে তখংভাউসে বসিয়া শাহজাদা রুস্তম্। তখং-আউসের কুহক । নীচে স্বতন্ত্র আসনে বসিয়া গৌরীশঙ্কর । আর কেহ ছিল না । শাহজাদা রুস্তমের সেখানে বসিবার কোন প্রয়োজন ছিল না, প্রকাশ্বে বসিতেও পারিতেন ন । মাতমের, লোকের অশেীচের কাল অতীত না হইলে বাদশাহ দরবারে বসিতে পারেন না। তিনি বসিয়াছিলেন কেবল মনের ও প্রতিহিংসার তৃপ্তির কারণে-তখং-তাউসে বসিয়া মনের তৃপ্তি, আর শাহজাদ হাতিমকে দেখাইয় প্রতিহিংসার তৃপ্তি । বাদশাহের সমক্ষে কেহ বসে না । রুস্তম এখনও ন্যায়মত বাদশাহ হন নাই, যদিও প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করিয়া বাদশাহীর পথ পরিষ্কার করিয়াছিলেন । গৌরীশঙ্কর তাঙ্গকে বলিয়াছিলেন স্তুে তিনি দরবারে কখন প্রবেশ করিবেন না। তাই আজ বাদশাহ তাহাকে ৬াকাইয় বসাইঘাছিলেন । ইচ্ছা, হাতিমের সম্বন্ধে একট। হে স্তনেস্ত র্তাহার সাক্ষাতেই হয় । গতিমের সঙ্গে শুধু একজন প্রহরী ছিল । হাতিমকে রুস্তম্ বসিতে বলিলেন না, হাতিম দাড়াইয়া রহিলেন। রুস্তম্ নিষ্ঠুর হাসি হাসিয়া কহিলেন, “তোমাকে বিনাযুদ্ধে রাজ্যের একাংশ দিতে স্বীকার করিয়াছিলাম, তখন তুমি কর্ণপাত কর নাই। এখন ?” হাতিমের মুখ শুষ্ক, চক্ষের কোলে কালি পড়িয়াছে, বেশ অসংযত । কিন্তু চক্ষের দীপ্তি মান হয় নাই, মুখের গৰ্ব্বিত ভাব দূর হয় নাই, মাথা তুলিয়া সগৰ্ব্বে ভ্রাতার প্রতি চাহিয়া ছিলেন। যে পিতার পুত্র রুস্তম, সেই পিতার পুত্র হাতিম। র্তাহারও তাইমূর-বংশে জন্ম, মৃত্যুভয় নাই। তিনি সগৰ্ব্বে কহিলেন, “এখন ? এখন তুমি তথং-তাউসে, আমি মৃত্যুর অপেক্ষা করিতেছি। জয় পরাজয় যুদ্ধের নিয়ম, এ যুদ্ধে জিতিলে তখৎ-তাউস, হারিলে মৃত্যু। ভাইয়ে ভাইয়ে চিরকাল এইরূপ ঘটিয়া থাকে। বাল্যাবস্থা হইতে বিরোধ। হয় মায়ের স্নেহ,