পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

های ناحیه یحییسه مجیره ماده معر ۶یسته۹ مجمع عمه هیچ کبیسهخچه রাত আর এ—ই দিন । দিন দিন কেমন করিয়া হইল ?" . জয়ন্তী হাসিতে লাগিল । ণ্ডাবুর ভিতরে বসিয়া বিহারীলাল বলিতেছিলেন, "আপনার নিশ্চিস্ত থাকুন, আমাকে যে ভার অর্পিত হইয়াছে আমি তাহা গ্রহণ করিয়াছি। কল্য হইতে আরম্ভ করিব। এক পক্ষের মধ্যে দুই সহস্র সৈন্ত আমার অধীনে প্রস্তুত থাকিবে । আমাকে আর কি করিতে হইবে ? " রঘুনন্দন কহিলেন, "দুই এক দিনে জানিতে পারিবেন। সম্প্রতি এই মহকুমা আপনার অধীন হইবে, তাহার পর আবশু্যক হয় আপনাকে স্বসৈন্যে শাহজাদার সহিত যোগদান করিতে হইবে ।" “ আদেশ প্রাপ্ত হইলে আমি সেই দণ্ডে যাত্র করিব । আপনাদের কি অভিপ্রায় ?” “আমরাও আপনার সেনাপতি ।" সঙ্গে থাকিব । আপনি “আমি অযোগ্য, যুদ্ধের আমার কি অভিজ্ঞত। আছে ?" “সে কথা র্যাহারা আপনাকে নিযুক্ত করিয়াছেন র্তাহারা বুঝিবেন।” বিহারীলাল একটু ইত ওতঃ করিয়া কহিলেন, "আপনাদের সঙ্গে আর-একজন হোলির সময় গিয়াছিলেন, র্তাহাকে দেখিতে পাইতেছি না। জয়ন্তপ্রসাদ কোথায় ?" অল্প হাসিয়া রঘুনন্দন কহিলেন, “একটু মুঙ্গিল হইয়াছে। তখন তিনি পুরুষ ছিলেন, এখন স্ত্রীলোক।” “সে কথা আমি জানি । পুরুষ সাজিবার পূৰ্ব্বে তাহার সহিত আমার দেখা হইয়াছিল।" “তবে এ দিকে আমুন ।" রঘুনন্দন পথ দেখাইয়। তাবুর বাহিরে গেলেন । বাহিরে অল্প অন্ধকারে জয়ন্তী দাড়াইয়া ছিল। বিহারীলাল দ্রুতপদে গিয়া তাহাকে সম্ভাষণ করিলেন। দুষ্ট জনে কথা কহিতে কহিতে শিবিরের বাহিরে চলিলেন । রঘুনন্দন পিছাইয়া পড়িলেন । পুণ্ডরীক কোথায় গেল দেখা গেল না । - छञ्चखौ । & f AM MAM AMM MASAS SSAS SSAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAASAS SSMS M eeAAASAAAS পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ - জ্যোৎস্নালোকে শিবির একটা উপবনের মধ্যে। সেইজন্ত সেখানে অল্প অন্ধকার। বাহিরে জ্যোংস্ক, বড় মধুর বড় মায়াধী। বাতাস থাকিয়৷ থাকিয়৷ মৃদু মৃদু বহিতেছে । শিবিরের শব্দ স্তব্ধ হইয়া আসিল । কখন কোন পক্ষীর রব, আবার চারিদিক্‌ শব্দশূন্য। অদূরে অন্ধকার অরণ্য । পূৰ্ব্বদুষ্ট মন্দির সম্মুখে আসিল । বিহারীলাল জয়ন্তীর হস্ত ধারণ করিয়াছিলেন। যেখানে জয়ন্তী অশ্বে আরোহণ করিয়াছিল বিহারীলাল সেইখানে আসিয় দাড়াইলেন । হৃদয়ের আবেগপূর্ণ-স্বরে বিহারীলাল ডাকিলেন, “জয়ন্তী !" জয়ন্তী নিরুত্তর । “মনে পড়ে এইখানে তুমি করিয়াছিলে ?” “পড়ে ।” “সেই প্রথম হস্তে হস্তে স্পশ ?” “পড়ে ।” “দোলের রান্ত্ৰি ?” “মনে পড়ে ।” I “পুরুষ সাজিয়াছিলে কেন ?" "গৌরীশঙ্করের আদেশ । এ বেশে যাইতে পাইতাম ন। " অশ্বে আরোহণ "ভাই। হইলে তাহার ষ্টচ্ছা আমাদের দেখা হয় ?” “কি জানি ?" "গৌরীশঙ্কর তোমার কে ?" “তিনি আমার পিতৃতুল্য। আমার পিতা মাতা নাই, তিনি আমাকে লালন পালন করিয়াছিলেন । এই লোকসেবা-ব্রতেও তিনি আমাকে দীক্ষিত করেন।” “আমি তোমার সহিত গোপনে সাক্ষাং করি নাই, আজ রঘুনন্দন আর সকলে ইচ্ছা করিয়া তোমাকে আমার সঙ্গে আসিতে দিলেন । ইহার অর্থ এই যে আমাদের মিলনে কাহারও আপত্তি নাই।" জয়ন্তী আবার নিরুত্তর ।