পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] রাজপথ Yፃ� AM MMAAMMMAM MAMeAMMeMMAMM MMeeeAMeMee AMMSMMAAAS AA SAASAASAASAA AAAS eee AAAA AAAA SAAAAAAASAAAAMMMA AMMMMM AeM MMM MMM MMAeMMAM AAAA AAASA SAASAASAASAASAA AAASمیه- تا جایی که تیر هسه সুরেশ্বর অপর পক্ষকে এবং অপর পক্ষ সুরেশ্বরকে ভাল করিয়া দেখিবার ও বুঝিবার প্রথম সুযোগ পাইল । সুরেশ্বর দেখিল–গুহকন্যা-তিনটি গৃহোপকরণের অল্পকমেই মূল্যবান জায় সজ্জিত , তাহাদের সুন্দর দেহাবয়বকে সুন্দরতর করিবার প্রয়াসের মধ্যে অর্থব্যয়ের কোনো কাপণ্য অথবা দেশী বিদেশী বিচারের কোন সঙ্কীর্ণত ছিল না। স্বক্ষ লেস ও ফ্রিল ভারতবর্ষ প্রস্তুত করে না, তজ্জন্ত তরুণীদের পরিচ্ছদের যেমন কোন ক্ষতি হয় নাই, ঈদুহু বেনারসী সিন্ধের তুল্য বস্তু ভারতবর্ষের বাহিরে পাওয়া কঠিন সে প্রমাণও তাহীদের সঙ্গের মধ্যে তেমনি নিঃসংশয়ের সহিত ছিল । অপর পক্ষ দেখিল সুরেশ্বরের পরিধানে থদবের মোট স্বল্পপরিসর ধুতি, অঙ্গে পদ্ধরনিৰ্ম্মিত মামুলী পিরাম, দেহাবরণ খন্দরের মোট চাদর এবং পদদ্বয়ে রুক্ষ দেশী চামুড়ার অচিকণ নাগরা জুতা। যে সময়ের কথা আমরা বলিতেছি সে সময়ের পক্ষে এ সজ্ঞ। বিশেষ কিছুই অসাধারণ বা অদ্ভুত ছিল না। তথাপি উভয় পক্ষের বহিরাবরণের এই বিরোধ ও অসঙ্গতি উভয় পক্ষকেষ্ট সামান্য আঘাত দিল । সুমিত্রা পরক্ষণেই তাহার বিস্ময় হইভে মুক্ত হইয়। সাদরে এবং সাগ্রহে কহিল, "বস্থন স্তরেশ্বর-বাবু, আমরা বাবাকে খবর দিয়ে পাচ মিনিটের মধ্যেই আসছি।” তাহার পর বিমানের দিকে ফিরিয়া কছিল, “বিমানবাবু, আপনি স্বরেশ্বর-বাবুর কাছে ততক্ষণ থাকুন।" অন্তঃপুরে প্রমদাচরণ তখন বারাণ্ডায় বসিয়া পত্নী জয়ন্তীর সহিত বাক্যালাপ করিতেছিলেন । তিনটি কন্য তথায় উপস্থিত হইল, এবং তিনজনেই উত্তেজিত ভাবে ' অল্প অল্প করিয়া বোটানিক্যাল গার্ডেনের সমস্ত কাহিনীট ংক্ষেপে বিবৃত করিল। শুনিয়া বিস্ময়ে ও আতঙ্কে প্রমদাচরণ এবং জয়ন্তী অভিভূত হইয়া পড়িলেন। স্বরম কহিল, “বাবা, সুরেশ্বরবাবুকে আমরা ধরে’ এনেছি ; ঠাকুরপোর সঙ্গে ড্রয়িংরমে রয়েছেন, তুমি wেথ। করবে চল ।" - সুরেশ্বর গুহে উপস্থিত হইয়াছে শুনিয় জয়ন্তী বাস্ত হইয়। উঠিলেন এবং তাহার সমক্ষে বাহির হইয়া কথা কহিতে পারেন কি না তদ্বিষয়ে স্বামীর অভিমত জিজ্ঞাস করিলেন । প্রমদাচরণ কছিলেন, “নিশ্চয়ই জয়ন্তী, নিশ্চয়ই ! নিজের জীবন বিপন্ন করে তোমার তিনটি মেয়েকে আর বিমানকে যে রক্ষণ করেছে, তাকে তুমি নিজে অভ্যর্থন না করলেই অন্যায় হবে ।” স্বরম কহিল, "ছেলেমান্তষ মা ; ঠাকুরপোর চেয়েও বোধ হয় কিছু ছোট হবে । আমিই ত এক রকম কথা কওয়ার মতই করেছি।” জয়ন্তী কহিলেন, "তোমর। তাহলে এগোও, আমি চ৷ আর খাবারের ব্যবস্থা করে তার পর যাচ্চি ।” স্থমিত্র। সহস্যে কহিল, "সে-সব চলবে না মা। চ৷ তিনি গান না, আর খাবার দেশী চিনির সন্দেশ, রসগোল্লা ভিন্ন কেক বিস্কুট চলবে না ; হাণ্ট লী-পামারের ত নয়ই।" জয়ন্তী সবিস্ময়ে কহিলেন, "কেন রে ? ভারি গোড়া নাকি ?” স্থমিত্রা কহিল, “গোড়া কিছু কি না তা বলতে পারিনে, কিন্তু ভারি গোড়া স্বদেশী । পোষাক দেখলেই বুঝতে । পারবে । আগাগোড় সব খদ্দর । বোধ হয় একজঞ্জ নন-কো-অপারেটার ।" কথাটা শুনিয়া জয়ন্তীর উৎসাহ অনেকখানি কমিয়া গেল। এই নবোদ্ভূত নন্‌-কো-অপারেটার সম্প্রদায়ের প্রতি তাহার কোন ও সহাষ্টণ্ডুতি বা করুণা ছিল না। যে সরকার বাহাদুরের বদান্ততায় তাহার স্বামী অবসর গ্রহণ করিয়া ও মাসে মাসে মোট টাক। পেন্সন পাইতেছেন, যুদ্ধার স্বথে স্বচ্ছন্দে তাহার স্বামীপুত্রকন্যার দিনাতিপাত হইতেছে, এবং স্বামীর কার্য্যকালে যে সরকারগাহাদুরের প্রভাবে হাকিমগৃহিণীরূপে তিনি প্রভূত ক্ষমতা, দাবী ও অধিকার করিয়া আসিয়াছেন, সেক্ট সরকার বাহাদুরের সঙ্গিত সাহাদের বিরোধ তাহাদিগকে তিনি কতকটা বিদ্বেগের চক্ষেই দেখিতেন । তথাপি যে ব্যক্তি আজ তাহাৰ কন্যাত্রয়কে রক্ষা করিয়া গুহে উপস্থিত হইয়াছে, মন-কো-অপারেটার হইলে তাঙ্গকে অভ্যর্থনা করা কৰ্ত্তব্য