পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ዓፅ বোধে জয়ন্তী তাঙ্গর জলসোগের ব্যবস্থা করিতে প্রস্থান করিলেন । স্বরম ও বিমল সহ ডুপ্লিংরূমে, উপস্থিত হইয়। প্রমদাচরণ স্বরেশ্বরকে বিশেষরূপে সংলৰ্দ্ধিত করিলেন এলঃ তাহার মস্তকে হস্তাপণ করিয়ু আশীৰ্ব্বাদ করিলেন—মে পরোপকার-প্রবৃত্তি ও নির্ভীকতার পরিচয় আজ সে দিয়াছে তাহা যেন ক্রমশঃ বৰ্দ্ধনশীল হইয় একদিন দেশের মধ্যে তাহাকে বরেণ্য করে । প্রমদাচরণের কথা শুনিয়। সুরেশ্বর সলঙ্ক-স্মিতমুখে কহিল, “আপনার আশীৰ্ব্বাদ আমি মাথ। পেতে নিচ্ছি। কিন্তু কৰ্ত্তব্যের বেশী কিছুই আমি করিনি বার জন্যে এতটা প্রশংসা পেতে পারি।" প্রমদাচরণ স্বরেশ্বরকে বাহুধারণ করিয়া একটা চেয়ারে বসাঁইয়া দিয়া নিকটস্থ একটা চেয়ারে বসিয়। সহস্ত্যে কহিলেন, “ তা যদি বল তাতলে তোমার প্রশংসা একটুও কমে না, বরং বেড়েই যায়। সাময়িক উত্তেজনায় যে কাজ করে তার চাইতে কৰ্ত্তলা-বোধে সে কাজ করে তার আসন অনেক উচ্চে ।" প্রশংসাবাদকে নিরস্ত করিতে গিয়া ফলে বিপরীত ছইল দেখিয়া অগত্যা সুরেশ্বর নিজেই নিরস্ত হইল । এঁর্মদাচরণের কথার কোনো উত্তর না দিয়া সে নীরবে বসিয়া রহিল । বিমান কিন্তু কথাটাকে এইখানে শেষ হইতে ন। দিয়! কহিল, “তা ছাড়া এর মধ্যে শুধু কৰ্ত্তব্য-পালনের কথাই নেই ; সাহস এবং শক্তির কথা এমন আছে, ধ৷ সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। আপনি সুরেশ্বরবাবুকে দেখছেন পাতলা ছিপছিপে, বিশেষ যে শক্তিশালী তা চেহারা দেখে বোঝবার কিছু নেই ; ইনি সেই লম্বা-চওড়ারমদূতের মত গুণ্ডাটাকে অসঙ্কোচে আক্রমণ করলেন আর অনায়াসে হারিয়ে দিলেন । এ ব্যাপার আজ যারা স্বচক্ষে দেখেছে তারাই বুঝতে পারছে।” বিমানের কথা বিশেষ ভাবে সমর্থন করিয়া সুরমা কহিল, "সত্যি কথা ! সে কথা মনে হলে এখনও শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে ! অদ্ভুতসাহস সুরেশ্বর-বাৰু দেখিয়েছেন!" বিমানের কথার উত্তরে সুরেশ্বর প্রতিবাদ করিতে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, කළුවඳ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড - S AAAAAA AAAS S AAAAA SAAAAA S AAAA S SAASA SAAAAS AAAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAAAAMA AMA AMMMMMAAASAAAA লাইতেছিল, মধ্যে স্তরম। সে কথার সমর্থন করায় সে বিমলার দিকে চৰ্চিয় মুছুম্বরে কহিল, "কিন্তু যতটুকু আমি করেছি ততটুকু না করলেই যে কাপুরুষতা হ’ত । যে অবস্থায় আমি আপনাদের দেখতে পেলাম সে অবস্থায় আপনাদের মধ্যে গিয়ে পড়া ভিন্ন উপায় ছিল ন! ৷” বিমান হাস্যমুখে কহিল, “আচ্ছ, সাহসের কথা না সর উপস্থিত ছেড়েই দিচ্ছি ; কিন্তু শক্তির কথা ? সেটা ত আর অঙ্গীকার করুবার উপায় নেই ?” সুরেশ্বর কঠিল, “শক্তি, সেও মনের শক্তি ; দেহের শক্তি নয় । আপনি কি মনে করেন বাস্তবিকই সে গুণ্ডাটার চেয়ে আমার শরীরে শক্তি বেশী আছে ? কখনই নেই। সে ধে আমার কাছে হেরে গেল তার প্রধান কারণ সে একটা অন্যায় কাজ করছিল যার জন্যে তার কোনো নৈতিক শক্তি ছিল না ।" স্বরেশ্বরের কথা শুনিয়া বিমান হাসিয়া উঠিয়া কহিল, "মনের শক্তি বা নৈতিক শক্তি যে নামই দিন না কেন, সেক্টটেই হচ্ছে সাহস । মনের শক্তির দ্বারা আমরা অগ্রসর তই, দেহের শক্তিতে আমরা জয় করি। তা যদি না হ’ত, তা হলে কোনে গুণ্ডাই কোনো সাধুলোককে কখনো জুলুম করতে পারত না। আপনি যতই অস্বীকার করুন ন সুরেশ্বর-বাবু এ অনায়াসে প্রমাণ করতে পারব যে দেহের শক্তিতেই বলুন বা মনের সাহসেই বলুন আপনি সে গুণ্ডাটার চেয়ে ওপরে, কারণ তাকে যে আপনি আজ পরাস্ত করেছেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।” সুরমা বিমানের দিকে চাহিয়া মৃদু কণ্ঠে বলিল, “আর তর্কে তুমি যে সুরেশ্বর-বাবুকে পরাস্ত করেছ সে বিষয়েও কোনো সন্দেহ নেই ।” E মৃদুস্বরে বলিলেও সুরমার কথা সকলেরই শ্রুতিগোচর হইয়াছিল ; শুনিয়া প্রমদাচরণ-বাবু হাসিয়া উঠিলেন, এমন কি স্বরেশ্বর নিজে ও তর্ক ছাড়িয়া দিয়া হাসিতেই লাগিল । প্রমদাচরণ কহিলেন, “তর্কে যেই হারুন না কেন, স্বরেশ্বর যে কথা বলছিলেন সে কথাও একেবারে অগ্রাহ করা যায় না। নৈতিক কারণের বিরুদ্ধে শক্তিশালীও অনেক সময়ে শক্তি হারিয়ে বসে। এর ভারি স্বন্দর একটা