পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ ജ്ഷ് ഘ. جمعیت معدی-مه. بہ= جمہ এমন কি কিছু পূৰ্ব্বে চা ও মিছ রীর পান। লইয়। স্থমিত্র। যেটুকু পরিহাস করিয়াছিল এই সদ্যলব্ধ সুত্রের সাহায্যে তাহার মৰ্ম্মও অবিদিত রহিল না । কিন্তু ইহ তাহার ভাল লাগিল না । সুমিত্রার এই স্বচ্ছন্দতা, এই কৌতুকরসপ্রিয়ত, দুই তিন ঘণ্টার পরিচয়েই একট। সপ্রতিভত তাহাকে অসন্তুষ্ট করিল। তদুপরি, এইসমস্ত পরিহাসের ভিতর স্বদেশীয়তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল মনে করিয়া সে মনে মনে ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল । সুমিত্রার প্রতি চাহিয়| শাস্ত অথচ দৃঢ়কণ্ঠে সে কঠিল, “বিলাতী আমদানী মাত্রই যে নির্বিচারে ফেরত দেওয়৷ উচিত তা জোর করে’ হয়ত বলা যায় ন!—বিশেষতঃ যখন দেখা যাচ্ছে সে বিলিতী কাপড়, এমন কি বিলিতী কাপড়ের টুক্‌রে। পর্য্যন্ত, আমরা গ্রহণ করতে ছাড় ছিনে ?” যতটুকু আঘাত সুরেশ্বর তাহার বাক্যের দ্বারা দিতে গেল তাহার সবটুকুই উপলব্ধি করিয়৷ স্তমিত্রার কর্ণমূল পৰ্যন্ত রক্তিম হইয়| উঠিল ; বিলাতী কাপড়ের টুকরার উল্লেখে সুরেশ্বর যে তাহার আইরীশ লিলেনের রুমালষ্ট নির্দেশ করিল তাহা বুঝিতে তাহার ক্ষণমাত্র বিলম্ব হইল না। কিন্তু সুরেশ্বরের নিকট তাহার উপকৃত ও ক্টরেশ্বর তাহাদের অতিথি এ কথা স্মরণ করিয়া সুরেশ্বরের কথার কোনপ্রকার প্রতিবাদ না করিয়৷ সে স্মিতমুখে ক্ষিপ্তস্তরে কহিল, “বিলাতী কাপড়ের টুকুর। এবার থেকে না হয় ত্যাগ করলেই হবে, কিন্তু আপনাকে দেওয় খাবারগুলির মধ্যে বিলাতীর নাম গন্ধ নেই ; অতএব এগুলো অল্প গ্রহ করে গ্রন্ধু করুন।” আঘাত দিয়াই একটা সূক্ষ্ম অতুতাপে স্তরেশ্বর ব্যথিত হইয়া উঠিয়াছিল। প্রথম দিনের পরিচয়ের মধ্যেই একজন মহিলার প্রতি মনে এব বাক্যে বিরুদ্ধাচরণ করা অসঙ্গত এবং অসমীচীন বলিয় তাহার মনে হইতেছিল । তাহার পর যখন সে দেখিল যে আহত হইয়াও সুমিত্ৰা আঘাতটা নিরুপদ্রবে এবং হাস্যমুখে পরিপাক করিল, এমন কি একপ্রকারে মুরেশ্বরের নিকট পরাজয়ই স্বীকার করিল, তখন স্বরেশ্বর মনের মধ্যে "ঞ্জ বেদন বোধ করিতে লাগিল ; এবং কতকটা প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩১০ AAAAA S AAA S AA AASA SAAAAA AAAA SS AASAASAA AAAA AAAA AAAA AAAAA ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড S AAAA S AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA - অপরাধ স্থালনের অভিপ্রায়ে হাসিয়৷ কহিল, “এগুলি যথম যত্ন করে আপনার দিয়েছেন তখন নিশ্চয়ই গ্রহণ করব, কিন্তু ক্ষমতা ও প্রয়োজনের অধিক হয়ে কিছু যদি পড়ে থাকে তা হলে ক্ষমা করবেন ।” বিমানবিহারী সহাস্তে কহিল, “তা হলে আর-একটা কথাও সঙ্গে সঙ্গে হওয়া দরকার । ক্ষমতা ও প্রয়োজনের কম হয়ে যদি কিছু চাইবার দরকার হয় তা হলে চেয়ে নেবেন।” স্বরেশ্বর স্মিতমূপে কহিল, “অসঙ্কোচে নেবো ।” সুরেশ্বর আহারে প্রবৃত্ত হইলে বোটানিকালগার্ডেনের ব্যাপারট। পুনৰায় পীরে ধীরে আলোচিত লাগিল । বিমান, সুরম ও বিমল। ঘটনাট। ংশে অংশে বিবুত করিতে লাগিল ; জয়ন্তী দেবী, উদ্বেগের কারণ উপস্থিত অবর্তমানেও, নিরতিশয় উদ্বেগ প্রকাশ করিতে লাগিলেন এবং প্রমদাচরণ পুনঃ পুনঃ সকলকে বুঝাইতে লাগিলেন যে আপাততঃ দৃষ্টিগোচর ন হইলে ও আদাকার ঘটনার মধ্যে ভগবানের মঙ্গল হস্ত নিশ্চয়ই আছে যাচ। অদূর ভবিষ্যতে একদিন নিশ্চয়ই বুঝা যাইবে । পায়সের বাটিট আরম্ভ করিতে সুরেশ্বর ইতস্ততঃ করিতেছিল দেখিয়া সুমিত্র। বলিল, “আপনি একমিনিট অপেক্ষ করুন সুরেশ্বর-বাবু, আমি একটা চামচ এনে দিচ্ছি।" বলিয়। দ্রুতবেগে প্রস্থান করিল। পোষাকপর চাকর বর্তমানেও হাকিমের কন্য। হুইয়। সুমিত্র নিজে চামচ আনিতে ছুটিল ইহা জয়ন্তী একেবারেই পছন্দ করিলেন না এবং পাছে সুরেশ্বর মনে করে ধে এমন সব ব্যাপার প্রত্যহুই তাহার গৃহে হইয়। থাকে সেই আশঙ্কায় মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “আমার প্লেটু বাটি ডিশ গুলে। আজ স্থমিত্র ভাঙবে দেখচি ! কোনো দিনই ত এসব নিজে হাতে করে না। বয়, তুই য। না, দেখিয়ে দিগে কোথায় আছে।” প্রমদাচরণ মৃদু হাসিয়া কহিলেন, “করুকু, করুক, বাধা দিয়ে না। . আজ তার সমস্ত মনটা কৃতজ্ঞতায় এমন ভরে আছে যে এয়ি করে নিজহাতে সেবা না করলে তৃপ্তি হবে না।” হইতে