পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা.] مخصوصی به اتهای - ص ح به جای চলে এখন চল্লাম, গুডবাই ।” তাহার পর স্বরেশ্বরের দকে চাহিয়া অল্প হাসিয়া বলিল,"রেশ্বর-বাবু, নমস্কার!” প্রমদাচরণ ব্যস্ত হইয়া কহিলেন, "ডক্টার চ্যাটার্জি, একটু অপেক্ষ করুন আপনার ফি-টে এনে দিচ্ছে।” তাহার পর স্বরমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, “যাও মা, ডাক্তার মহাশয়ের ফি-টা এনে দাও ত?” প্রমদাচরণের কথা শুনিয়া ব্যস্ত হইয়। সুরেশ্বর কহিল, "না, না, বলেন কি ? আমি ও র ফি দিচ্ছি।” তাহার পর বিমানকে সম্বোধন করিয়া বলিল, “এর ফি কত ?” বিমান কোনো কথা কহিবার পূর্বেই ডাক্তার বলিল, “আট টাকা । কিন্তু আমি বলি, আপনাদের উভয় পক্ষের কারও ফি দেবার প্রয়োজন নেই। এমন ত নিত্যই ফোড়া ঘা চিকিৎসা করে পয়স। কুড়িয়ে বেড়াচ্ছি। আজ যখন এমন একটি পবিত্র ঘা চিকিৎসা করবার সৌভাগ্য পেলাম তখন পয়সাট না হয় নাই নিলাম। ব্যবসাটাকে সময়ে সময়ে একটু অব্যবসার মত করে নিলে তাতে একটু রস পাওয়া যায়।” বলিয়৷ উত্তরের অপেক্ষ না করিয়া হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল । ডাক্তার চলিয়া গেলে সুরেশ্বর কঠিল, “ভারি চমৎকার লোক ত ” প্রমদাচরণ কহিলেন, "চমৎকার ।" অবেলাঞ্জঙাক ' ' ృQS عمیدیحیی জয়ন্তী সহাস্তে কহিলেন, “তোমরা ত চমৎকার বলবেই , আট-আটট টাকা তোমাদের বেঁচে গেল !" জয়ন্তীর কথায় সকলে উচ্চহাস্ত করিয়া উঠিল। প্রমদাচরণ হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “ঠিক বলেছ জয়ন্তী ; ডাক্তার চ্যাটাজি ভাল লোক ত বটেই, তার ওপর যখন টাকা নিলেন না তখন চমৎকার লোক !" কিছু পরে সুরেশ্বর বিদায় লইবার জন্য উঠিয়া দাড়াইয়া সকলকে অভিবাদন করিল। প্রমদাচরণ উঠিয়া দাড়াইয়া কহিলেন, “আজ এক বিচিত্র ঘটনার মধ্য দিয়ে তোমাকে আমরা আত্মীয়ের মত লাভ করলাম । মাঝে মাঝে এসে আমাদের সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা সাক্ষাৎ করে৷ ” তাহার পর বিমানকে বলিলেন, “তুমি বিমান, মোটরে করে ওঁকে বাড়ী পৌছে দাও।” - সুরেশ্বর ব্যস্ত হইয়া কহিল, “না, না, মোটরের দরকার নেই, আমি এটকু হেঁটেই চলে যাব।” - বিমান কঠিল, “গতিও ত নেই, চলুন না আপনার বাড়ীটাও ত দেখে আস যাবে।” পুনরায় সকলকে অভিবাদন করিয়া সুরেশ্বর প্রস্থান করিল ; - می به همینامههایی که همه ع ( ক্রমশ: ) শ্রী উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় অবেলার ডাক অনেক ক'রে বাসতে ভাল পারিনি মা তখন যারে, আজ অবেলায় তারেই মনে পড়ছে কেন বারে বারে । আজ মনে হয় রোজ রাতে সে ঘুম পাড়াত নয়ন চুমে', চুমুর পরে চুম্ দিয়ে ফের হানত আঘাত ভোরের ঘুমে। ভাব তুম তখন এ কোন বালাই – কবুত এ প্রাণ পালাই গ্রালাই । আজ সে কথা মনে হয়ে ভাসি অঝোর নয়ন-ধারে । " অভাগিনীর সে গরব আজ ধূলায় লুটায় ব্যথার ভারে । তরুণ তাহার ভরাটু বুকের উপৃচে'-পড়া আদর সোহাগ হেলায় দু-পায় দলেছি মা, আজ কেন হায়তায় অনুরাগ ?. এই চরণ সে বক্ষে চেপে চুমেছে, আর দুচোখ ছেপে জল ঝরেছে, তখনে মা কইনি কথা অহঙ্কারে, এমনি দারুণ হতাদরে করেছি মা বিদায় তারে ॥ দেখেও ছিলাম বুক-ভরা তার অনাদরের আঘাত-কাট, দ্বার হতে সে গেছে দ্বারে থেয়ে সবার লাথি বাট ।